সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য। আমার চলমান মেইল এড্রেস ঃ shimantodhk2010@gmail.com ,
ঢাকা শহরে আমার দেখা বাংলা ভাষার বাইরে পোলা পাইন কিছু শব্দ ব্যাবহার করে। এই শব্দ গুলা কিছু কিছু মজাদার মনে হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অশ্লীল ইঙ্গিতের জন্য ব্যাবহার করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিকর শব্দ উচ্চারন করে। ।
এই গুলির বেশীর ভাগই আধুনিক কিশোর ও তরুনদের মধ্যে প্রচলিত। আপনারা হয়ত অনেকেই এই ধরনের শব্দ বা বাক্য গুলোর সাথে পরিচিত।
) কোবা সামসু কোবা। আমরা আছি তর পিছনে (কে কোবায় কারে কোবায়, আর কে এই সামসু?)
) ওররররে মামা জটিল জিনিস। দেখলেই অবাক হইয়া যাবি।
(বর্তমানে আপন মামা থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধব, রিকশাওয়ালা, চা দোকানদার পর্যন্ত মামা হইয়া গেছে। কিন্তু কোন মামা?? )
) আরে দোস্ত বুঝলি না এক্কেরে উরাধুরা খাইলাম। (উরাধুরা বাংলা অভিধানে কবে আসলো?)
) আরে মামা, জাক্কাস একটা মাইয়া দেখলাম, এক্কেরে কড়ড়ড়া মাল (অর্থ কি?)
) আরে দোস্ত তর সেট টা তো ঝোসসস!!! (ঝোসসস মানে কি?)
) আমি পুরা মাইনকার চিপায় ফাইসসা গেছি(মাইনকার চিপা মানে কি?)
) পুরা বাটে পইরা রইছি(বাটে পরা মানে কি?)
) নামের আগে ইদানিং কিছু উপমা লাগানো হচ্ছে যেমনঃ ডিজে মামুন, ডিজে ফাহাদ, আর জ়ে মুন্না, ইত্যাদি ইত্যাদি। (আগে যেমন নামের আগে মোঃ আর পরে পুরা নাম থাকতো, এখন ডিজে বলে ডাক নাম দিয়ে দিলেই হয়?)
ইদানিং পোশাক আশাকের ক্ষেত্রেও এই সব পোলাপাইনের কিছুটা বৈচিত্র এসেছে।
) ২/৩ বছর আগেও অনেক পোলাপাইনরে দেখতাম মোরগের ঝুটির মতন চুল কাটাইয়া স্পাইক মাইরা খাড়া চুল উঠাইয়া রাস্তা দিয়া হাটতো।
ইদানিং চুল গুলা লেভেল হইয়া কেপ কম গেমসের নায়কের মতন সামনের দিকে চইলা আসছে।
) আগের চিপা স্কিন টাইট জিন্স ও ঢোলা শার্ট চেঞ্জ হয়ে, ঢোলা জিন্স ও টাইট টি শার্ট পরা চালু হয়েছে। উনাদের কেউ সামান্য উপুর হলেই পাছা দেখা যায় বা পাছার ফাক বোঝা যায়। সাথে যুক্ত হয়েছে বিদ্ঘুটে চওড়া সাদা সেন্ডেল।
) ঈদের সময়ে উনাদের অনেকেই থ্রি পীস পড়েন।
জ্বী না মেয়ে দের থ্রি পিস না ছেলে দের থ্রি-পিস মানে পাঞ্জাবীর সাথে উড়না। আগে মেয়ে রা উরনা পরতো। এখন ছেলেরাও পাঞ্জাবির সাথে উরনা পরছে। আমার কাছে উহাদের কে হাফ লেডিস মনে হয়। বাহ বাহ আসলেই দেশ অনেক চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে।
) রুপ চর্চার ক্ষেত্রেও এসেছে বৈচিত্রতা। উনাদের বেড রুমে গেলে বুঝা যাবে, ছেলেদের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি হয়েছে অনেক ত্বক ফর্সা করার ক্রিম,লোশন, জেল, পাউডার ইত্যাদি। আগে জানতাম মাইয়া মানুষের গায়ের রঙ কালো হলে অনেক সামাজিক সমস্যা হয়। বিয়েতে সমস্যা হয়। কিন্তু ছেলেদের গায়ের রঙ নিয়ে কেউ প্রশ্ন করেনি।
ইদানিং সেই স্মার্ট ছেলেরা মেয়েদের মতন রুপ সচেতন হয়ে উঠেছে। যাক সবই ভালো হচ্ছে।
আল্লাহ মালুম ভবিষ্যতে আরো কতো কি দেখতে ও শুনতে হবে। শুভ কামনা রইলো সবার জন্য । হ্যাপি ফ্রেন্ডশিপ ডে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।