নোবেল বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কল্যাণে বর্তমানে সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সামাজিক ব্যবসা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই তাই এ নিয়ে চলছে নানা ধরনের কার্যক্রম। বিশেষ এ ব্যবসাকে জনপ্রিয় করতে সারা বিশ্বেই হচ্ছে নানা ধরনের উদ্যোগ ও আয়োজন। সামাজিক ব্যবসা আসলে কী? তা বোঝাতেও রয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ। বাংলাদেশের কয়েকজন তরুণ এমন একটি গেম তৈরি করেছেন, যা খেলে খেলে সামাজিক ব্যবসা বিষয়টি সহজেই বোঝা যাবে।
এই তরুণেরা ‘সোশ্যাল বিজনেস স্টুডেন্টস ফোরাম (এসবিএসএফ)’ নামের একটি সংগঠনের সদস্য। গত বছর ইউনূস সেন্টারের সহযোগিতায় এ সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। আর এ সংগঠন তৈরি করে বিশেষ একটি গেম। এর নাম ‘সোশ্যাল বিজনেস গেম’।
যেভাবে হলো
সামাজিক ব্যবসাকে সহজে সবার কাছে পৌঁছানের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করে এসবিএসএফ।
এরই অংশ হিসেবে সংগঠনটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক অনুষ্ঠানও করেছে। তবে এভাবে সেমিনার কিংবা কর্মশালা করে এ ব্যবসাটিকে জনপ্রিয় করে তোলা বেশ সময় সাপেক্ষ, বললেন এসবিএসএফের প্রধান উপদেষ্টা ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডিআইইউ) সহকারী অধ্যাপক মাসুদ ইবনে রহমান। ইউনূস সেন্টারের সামাজিক ব্যবসা অ্যাকাডেমিয়া দলের উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করছেন তিনি। জানালেন, কীভাবে কাজটি তরুণদের কাছে পৌঁছানো যায় সে চিন্তা থেকেই গেম তৈরির ধারণা মাথায় আসে। গত বছরই এ উদ্যোগটি নেওয়া হয়।
পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা পারভীনের সহায়তায় তৈরি হয় গেমটির মডেল। পরে এ কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন ডিআইইউর কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আখতার হোসেন, মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেম বিশেষজ্ঞ ফরিদা ইব্রাহিমসহ অনেকে। পুরো গেমটি তৈরির ক্ষেত্রে আরও যুক্ত ছিলেন ডিআইইউ এসবিএসএফের সদস্য আনিকা নাওয়ার, কাজী মিশু, ওয়ালিদ, ডিআইইউর জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ইকবাল মাহমুদসহ মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (এমসিসি) সদস্যরা। প্রাথমিক কাজ শেষে গেমটির কারিগরি নির্মাণ-প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয় এমসিসি। অবশেষে চলতি বছরের ২৯ জুন ঢাকায় ডিআইইউ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এসবিএসএফ সোশ্যাল বিজনেস ইয়ুথ কনভেনশন ২০১৩-এ মুহাম্মদ ইউনূস গেমটি অবমুক্ত করেন।
এ সম্মেলনে অংশ নেওয়া ১৫টি দেশের প্রতিনিধি ও তরুণেরাও পরবর্তী সময়ে নিজেদের দেশে গেমটি প্রদর্শন করেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।