যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
শেষ ফুটবল খেলেছিলাম স্কুলে। ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবল আমার প্রিয় বরাবরই। ফুটবল মানে প্রতিটা সেকেন্ড উত্তেজনার, প্রতিটা মুহূর্ত খেলার। ক্রিকেট সেখানে একেবারেই স্লো আইটেম। ১৭/১৮ বছর পরে আজকে ফুটবল খেললাম।
খুব সকালে মানে ৬টার দিকে মিরপুর স্টেডিয়ামের পাশের মাঠে নানাবয়সী লোকজনের সমাগম ঘটে। কেউ ক্রিকেট কেউ ফুটবল নিয়ে হাজির হয়। মাঠের অবস্থা বেশী একটা সুবিধার নয়। একদিকে ক্রিকেট চলে, অন্যদিকে ফুটবল। তবে দুটোর জন্যই নিয়মমত মাঠের সাইজ মেলে না।
ফলে ফুটবলের গোলপোস্ট হয়ে যায় ৫/৭ ফিট।
ঐখানে মুকুল ভাই হলেন প্রধান আয়োজক। ষাটের কাছাকাছি এই ব্যক্তিকে দেখলে ম্যারাডোনার কথা মনে পড়বে। ভুড়ি থাকলেও এখনও বলের উপরে কন্ট্রোল আছে। জায়গায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে খেলেন।
খেলা শুরুর আগে দল ভাগ করার সিস্টেমটা মজার। মুকুল ভাই প্রথমে দুজন অধিনায়ক সিলেক্ট করে বলেন প্লেয়ার বাছাই করে নিতে। আজকে মিলন ও আবু নামে দুজন হলো অধিনায়ক। আমি যে ন্যাশনাল টিমের প্লেয়ার ছিলাম এটা কেউ জানতো না বলে সব প্লেয়ার টানা হয়ে গেলে বাই ডিফল্ট আমি আবুর দলে পড়লাম।
আবু অতপর সব প্লেয়ারদের নিয়ে অধিনায়োকচিত আলাপচারি করলো।
কে কোন পজিশনে খেলবে। আমাকে লেফট ব্যাকে খেলতে বলে বললো আপনার কাজ হলো শুধু ম্যান গাড দেয়া। আমার পজিশনে ওদের যে রাইট উইং এলো সে স্রেফ আমার অর্ধেক বয়সী হবে। সারাক্ষণ কেবল বাদরের মত দৌড়াদুড়ি করছে। একে গাড দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।
তারপরেও অনেকক্ষণ দৌড়াদুড়ি করে এর পেছনে লেগে থাকলাম। ফলে যা হলো - দু মিনিটেই শরীরের সব জং গেলো ঝড়ে।
এক ঘন্টা খেলা হলো। আমার খেলার পরিসংখ্যান হলো:
হেড - তিনবার
রাইট উইং কে দেয়া পাস দেয়া থামিয়েছি ২ বার
আমাকে ৭/৮টা পাস দিয়েছে আমাদের প্রধান ডিফেন্স টাল্টু ভাই। সেগুলো সাথে সাথে লং ভলি দিয়ে ওদের ডিবক্সে পাঠিয়েছি।
কার পায়ে গেলো সেটা আমার ব্যাপার না।
মাঝখানে রাইট উইং এ এলো মুকুল ভাই। তার সামনে মোটামুটি দাড়িয়ে থাকলাম। বেচারা আমার চেয়ে দ্বিগুন বয়সী বলে এবার তাকে গাড দিয়ে প্রতিশোধ নিলাম।
সমস্ত শরীর এখন ব্যাথা করছে।
বিশেষ করে কোমড়। ন্যাপরক্স-৫০০ আর ফেনোব্যাক খেয়েও ব্যাথা কমছে না। চিত হয়ে পড়ে আছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।