সপ্ন বাস্তবে পরিনত করতে চাই।
বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের বাজারে মিষ্টি তৈরির মূল উপাদান চিনির বদলে একটি রাসায়নিক পদার্থ বিক্রি হচ্ছে। তার নাম সোডিয়াম সাইক্লোমেট । বাংলাদেশের বাজারে এ রাসায়নিকটি ঘন চিনি, কোথাও ডায়বেটিক চিনি, ডি সুগার, ডি সুগার গোল্ডসহ নানা গালভরা নামে বিক্রি হচ্ছে। স্বাদে মিষ্টি হলেও এটি মোটেও মানব স্বাস্থ্যের জন্য অনুকূল নয়।
বরং ক্যান্সারসহ নানা প্রাণঘাতী রোগ ডেকে আনতে পারে এই উপাদান। ঘন চিনি বা ক্যান্সার আলোচনার শুরুতেই বলবো খবরদার কেউ ভুলেও ঘন চিনি, ডায়বেটিক চিনিসহ যে নামেই ডাকা হোক কেনো সোডিয়াম সাইক্লোমেট খাবেন না।
আলোচনার শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ড. এ বি এম ফারুক জানালেন, সোডিয়াম সাইক্লোমেট চিনির চেয়ে ত্রিশ গুন বেশি মিষ্টি, দামে চিনির চেয়ে সস্তা। যে কোনো খাবারে স্যাকারিন পরিমাণের চেয়ে সামান্য বেশি হলে তা খাওয়ার পর মুখ খানিকটা তিতা হয়ে যায়। একে বিটার আফটার টেষ্ট বলা হয়।
কিন্তু সোডিয়াম সাইক্লোমেট ব্যবহারে এমন কোনো সমস্যা দেখা দেয় না। এ জন্য বহু আগে থেকেই সোডিয়াম সাইক্লোমেট বাংলাদেশে মিষ্টি তৈরির কাজে ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ সংস্থা বা এফডিএ সাইক্লোমেট গ্রোত্রের সকল রাসায়নিক অর্থাৎ সোডিয়াম সাইক্লোমেট, পটাসিয়াম সাইক্লোমেটকে খাদ্যে ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এফডিএ সে সময় বলেছিলো, যুগের পর যুগ ধরে এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে। তাতে প্রমাণিত হয়েছে যে, এটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
এফডিএ মানব স্বাস্থ্যে এর ক্ষতিকারক প্রভাবের ব্যাপারে এতোটাই নিশ্চিত যে, ভবিষ্যতে কখনোই সোডিয়াম সাইক্লোমেট বা এ জাতীয় উপাদানকে খাদ্যে ব্যবহারের অনুমতি দেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। সোডিয়াম সাইক্লোমেট ব্যবহার করলে মানব দেহের কি কি ক্ষতি হতে পারে তার কথা বলতে যেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এবিএম ফারুক জানালেন যে, ১৯৭২ সালে প্রথম জার্মানীর বিজ্ঞানীদের গবেষণায় ধরা পড়ে যে, সোডিয়াম সাইক্লোমেট যকৃত বা লিভারের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলছে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিউটের জার্নালে বলা হলো, সোডিয়াম সাইক্লোমেট ব্যবহারের মানব হৃদপিন্ডের মাংসপেশী শক্ত হয়ে যায়। চিকিৎসা বিদ্যার ভাষায় একে মাইয়োকার্ডিয়াল ক্যালাসিফেকেশন বলা হয়। এটি কেবল হৃদপিন্ডের মাংসপেশীর ক্ষেত্রেই ঘটে তা নয় বরং মুত্রথলি সহ দেহের অন্যান্য পেশীতে এ ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে টক্সিলজি নামের একটি জার্নালে একই কথা বলা হয়। সে সাথে জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন বা 'জামা'তেও একই কথা বলা হয়।
এভাবে এই রাসায়নিক উপাদানের আরো ক্ষতিকারক দিক বের হতে থাকে। যেমন এই উপাদানে তৈরি মিস্টি-দই, কেক, পানীয় বা যাই হোক না কেনো। তা খাওয়ার পর দেহের ত্বক বিশেষভাবে সূর্যের আলোর প্রতি স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে।
অর্থাৎ এ ধরণের উপাদানে তৈরি খাদ্য খাওয়ার পর রোদে ঘোরাফেরা করা হলে তার পরিণামে গায়ের রং কালো হয়ে যাবে। এ ছাড়া এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ খাওয়ার সময় যদি সোডিয়াম সাইক্লোমেট বা ঘন চিনিতে তৈরি খাবার খাওয়া হয় তা হলে দেহ ভালভাবে এন্টি বায়োটিকসকে গ্রহণ করতে বা শোষণ করতে পারে না। এন্টিবায়োটিক ব্যবহায় দেহের যে ক্ষতিকারক জীবাণু প্রবেশ করেছে তা মারা জন্য। কিন্তু এন্টি বায়োটিকস যদি দেহ সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করতে না পরে তবে জীবাণু নিধনের কাজটিও সঠিক করতে পারবে না।
তবে এখানেই শেষ নয়।
সোডিয়াম সাইক্লোমেট গ্রহণ করার ফলে সেক্স ক্রোমোজমের ক্ষতি হতে পারে। আর এ কারণে শেষ পর্যন্ত অস্বাভাবিক সন্তানের জন্ম হতে পারে। ক্রোমোজমের এরকম ক্ষতির কারণে ডাউনসিড্রোম নামে আক্রান্ত প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নিতে পারে। সোডিয়াম সাইক্লোমেটের ব্যবহারে ফলে পুরুষের অন্ডকোষের ক্ষতি হয়। টেস্ট টস্টেরণ হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়।
তাতে পুরুষত্বের হানি ঘটতে পারে। কমে যেতে পারে যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে। তার ফলে সন্তান উৎপাদনে অক্ষমতা সৃষ্টি হতে পারে।
খাবারে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও এর উৎপাদন নিষিদ্ধ করে নি যুক্তরাষ্ট্র। বৃহৎ কোম্পানীগুলোর বাণিজ্যিক স্বার্থ বিবেচনা করে তা করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সে সব কোম্পানী পরে তাদের কারখানা সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে গেছে। এখন অবশ্য বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের বহু দেশেই বেশির ভাগ সোডিয়াম সাইক্লোমেট আসে চীন থেকে। বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে প্রণীত জাতীয় ওষুধনীতি অনুযায়ী ওষুধে এই রাসায়নিকের উপাদান ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু খাদ্য দ্রব্যে এর ব্যবহারের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা সে সময় বাংলাদেশে কার্যকর করা হয় নি।
থাইল্যান্ড,ই্ন্দোনেশিয়া, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশেই খাদ্যে এই রাসায়নিকের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
২০০১ সালে সিঙ্গাপুরে সোডিয়াম সাইক্লোমেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জয়েন্ট কমিশন এখন পর্যন্ত খাদ্যে সোডিয়াম সাইক্লোমেটের ব্যবহারের অনুমোদন দেয় নি। ১৯৮৫ সাল থেকে অধ্যাপক ফারুকসহ আরো অনেকে খাদ্যে ঘন চিনি বা সোডিয়াম সাইক্লোমেটের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু তা দুর্ভাগ্যজনক তা মেনে নেয়া হয় নি।
২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিএসটিআই খাদ্য ও পানীয়তে এই রাসায়নিকের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি করে।
২০০৫ সালে বাংলাদেশের সরকারী এই সংস্থা পরিস্কার ভাষায় ঘোষণা করে যে সোডিয়াম সাইক্লোমেট মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। ২০০৬ সালের ৬ই মার্চ বাণিজ্যিক মন্ত্রণালয় খাদ্য ও ওষুধে সোডিয়াম সাইক্লোমেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে একই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত আমদানী রফতানী দফতর ২০০৬ সালের পরও সোডিয়াম সাইক্লোমেট বাংলাদেশে আমদানীর অনুমতি দিয়েছে। এখনও এটা বাংলাদেশে আমদানী হচ্ছে এই সরকারের আইনের ফাঁক গলে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, রাসায়নিক এই উপাদানটি মিষ্টি করার কাজ করা ছাড়া আর কোনো কাজেই ব্যবহার হয় না।
এ কথা সবাই জানেন। তারপরও এটি কি করে আমদানী হয় তা ভাবার বিষয়।
অনেকেই বলে থাকেন, বৃটেনসহ ইউরোপের কোনো কোনো দেশে সোডিয়াম সাইক্লোমেট ব্যবহার একেবারে নিষিদ্ধ নয়। সেখানে এটি ব্যবহারের একটি মাত্রা বেঁধে দেয়া হয়েছে। এই মাত্রার কথা বলতে যেয়ে আজকের আলোচনার প্রথমেই অধ্যাপক ড. এ বি এম ফারুক জানালেন, বৃটেনে সোডিয়াম সাইক্লোমেট ব্যবহারের উপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা নেই।
তবে এটি ব্যবহারের একট মাত্রা ঠিক করা আছে। সে অনুযায়ী একজন পূর্ণ বয়সী মানুষ প্রতিদিন তার প্রতি কেজি ওজনের বিপরীতে দৈনিক সর্বোচ্চ ১১ মিলিগ্রাম পর্যন্ত সোডিয়াম সাইক্লোমেট ব্যবহার করতে পারবেন। কারো ওজন যদি ৬৯ কেজি হয় তা হলে তিনি দৈনিক সর্বোচ্চ ৭৬৯ মিলিগ্রাম সোডিয়াম সাইক্লোমেট খেতে পারবেন। অর্থাৎ এক গ্রাম নয় প্রায় পৌনে একগ্রাম সোডিয়াম সাইেক্লামেট খেতে পারবেন। এখন এ হিসেব মোতাবেক রসগোল্লা হলে অর্ধেকটা খাওয়া যাবে আর চমচম হলে খাওয়া যাবে একটি চমচমের চারভাগের একভাগ।
সত্যিই আমরা কেউ কোনোদিন এ ভাবে মেপে রসগোল্লা-চমচম খেয়েছি নাকি খাবো ?খেয়াল রাখতে হবে এটি বলা হয়েছে, পূর্ণ বয়সী একজন মানুষের জন্য । তবে যার মেটাবিলিজম বা বিপাকক্রিয়া অর্থাৎ দেহে প্রতিদিন যে ভাঙ্গা-গড়া চলছে যেখানে যদি কোনো সমস্যা থাকে তবে তিনি এই হিসেব মোতাবেকও রসগোল্লা বা চমচম খেতে পারবেন না। অন্যদিকে একটি শিশুর দেহ পূর্ণভাবে গঠিত নয়। তার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো থাকে অপূর্ণ। তার জন্য এই পরিমাণ মোটেও প্রযোজ্য হবে না।
অন্যদিকে তাদের দেহের গঠন তখনো অপরিপক্ক থাকায় তাদের জন্য বিপদের ঝুঁকি অনেক অনেক গুণ বেশি।
তবে মিষ্টি আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে। একে ত্যাগ করা সম্ভব নয়। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বা সস্তায় মিষ্টি তৈরির জন্য সোডিয়াম সাইক্লোমেটের বিকল্প উপাদান রয়েছে। এসব উপাদানের মধ্যে অন্যতম হলো, এসপাটিন, নিউটিন, সুক্রালোজ ।
চিনির বিকল্প হিসেবে আমরা এ সব উপাদান ব্যবহার করতে পারি। তবে এ সব উপাদান ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একটু সতর্ক থাকতে হবে কারণ এর মধ্যে কোনো কোনোটির কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।
বাংলাদেশের কোন কোন খাদ্যে সোডিয়াম সাইক্লোমেট পাওয়া যায় তা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগ একটি জরীপ চালিয়েছিলো। এই জরীপের ফলাফল সে সময় অনেকেই হতবাক করে দিয়েছিলো। এই জরীপে দেখা গিয়েছিলো, বাংলাদেশে বিক্রি করা হয় এমন তথাকথিত ফলের রস বা জুসে সোডিয়াম সাইক্লোমেট রয়েছে।
মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক এ উপাদান রয়েছে, কেক প্যাসট্রি, বিস্কিট, আইসক্রীম, তথা কথিত কোমল পানীয়সহ নানা রকম মিষ্টি খাবার ও দইতে । এ ছাড়া বাচ্চাদের জন্য যে সব খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা হয় তাতে সোডিয়াম সাইক্লোমেট প্রচুর পরিমাণে পাওয়া গেছে- যা হতভম্ব করে দিয়েছে জরীপের সাথে জড়িত সবাইকে।
ক্যান্সারসহ নানা মারাত্মক ও দুরারোগ্য অসুখের জন্য দায়ী সোডিয়াম সাইক্লোমেট বাংলাদেশে ব্যাপক হারে ব্যাবহার হচ্ছে। তবে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যের উপর কি পরিমাণ প্রভাব ফেলেছে তা নিয়ে আজো কোনো জরীপ চালানো যায় নি- কেবলমাত্র পর্যাপ্ত অর্থের কারণে। এ ছাড়া সরকারী দফতরগুলোর সমন্বয়ের অভাব বা দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে আইনের ফাঁক দিয়ে বাংলাদেশর বাজারে সোডিয়াম সাইক্লোমেট প্রবেশ করছে।
এটি অবিলম্বে প্রতিহত করতে হবে। এ জন্য সরকারী দফতরগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। এ কাজ সরকার ছাড়া আর কারো পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। অন্যদিকে খাদ্য সংক্রান্ত সকল বিষয় থাকতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায়। এটি অবশ্যই শিল্প বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকতে পারে বলে অধ্যাপক এবিএম ফারুক জানান।
তিনি বলেন, বিশ্বের সকল স্থানেই খাদ্য এককভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে।
বাংলাদেশে ওষুধ প্রশাসন বিষয়ক সংস্থা আছে কিন্তু খাদ্য প্রশাসন বলে কোনো সংস্থা নেই। অথচ সামান্য উদ্যোগ গ্রহণ করলেই খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন গড়ে তোলা যায়। এ জন্য ব্যাপক কোনো অর্থ ব্যায়ের প্রয়োজন হবে না; হবে না নতুন কোনো গবেষণাগারের দরকার। কারণ ওষুধ প্রশাসনের যে আধুনিক গবেষণাগার বাংলাদেশে গড়ে তোলা হচ্ছে তাতেই খাদ্য প্রশাসনের কাজ চলবে বলে অধ্যাপক এবিএম ফারুক জানান।
অন্যদিকে কেবল সরকার ইচ্ছা করলেই এ ধরণের রাসায়নিক উপাদান সহ খাদ্য ও ওষুধে নানা ভেজাল বন্ধ করতে পারবে না। এ জন্য গণ-সচেতনতার প্রয়োজন। মিডিয়া যদি নিজ ভূমিকা পালনে যথাযথভাবে এগিয়ে আসে তবে জনগণকে সচেতন করে তোলা অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়।
সোডিয়াম সাইক্লোমেট ব্যবহারে কি ক্ষতি হয় আসুন আর একবার সে দিকে নজর দেই। এ উপাদানের ব্যবহারে মানব হৃদপিন্ডের মাংসপেশী শক্ত হয়ে যায়।
চিকিৎসা বিদ্যার ভাষায় একে মাইয়োকার্ডিয়াল ক্যালাসিফেকেশন বলা হয়। এটি কেবল হৃদপিন্ডের মাংসপেশীর ক্ষেত্রেই ঘটে তা নয় বরং মুত্রথলি সহ দেহের অন্যান্য পেশীতে এ ঘটনা ঘটে।
সোডিয়াম সাইক্লোমেট গ্রহণ করার ফলে সেক্স ক্রোমোজমের ক্ষতি হতে পারে। আর এ কারণে শেষ পর্যন্ত অস্বাভাবিক সন্তানের জন্ম হতে পারে। ক্রোমোজমের এরকম ক্ষতির কারণে ডাউনসিড্রোম নামে আক্রান্ত প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নিতে পারে।
সোডিয়াম সাইক্লোমেটের ব্যবহারে ফলে পুরুষের অন্ডকোষের ক্ষতি হয়। টেস্ট টস্টেরণ হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। তাতে পুরুষত্বের হানিও ঘটতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।