ছায়া ছায়ায় পথ হেটে চলি--ছায়া আমার সামনে ও পিছে।
কারওয়ান বাজারে আন্ডারপাস দিয়ে যারা নিয়মিত চলাচল করেন তারা হয়তো দেখেছেন। একটি ছোট্ট মেয়ে। বয়স কত আর হবে ৭ বা ৮। এরচেয়ে ছোটও হতে পারে।
অন্ধ। অন্ধকারেই শুয়ে থাকে। কেউ শুইয়ে রাখে হয়তো!
আমি প্রতিদিন আসা-যাওয়ার পথে যখন ওই মেয়েটাকে দেখি। মনের ভেতর একটা অন্যরকম অনুভূতি হয়। 'ওর চোখে বিশ্ব' কেমন তা নিয়ে ভাবি।
তার কাছে হয়তো জগৎটা আলোহীন। শব্দময়। রঙহীন। কষ্টের পুরো একটি মানচিত্র। আমি ভাবি।
আমি ভাবি তাকে নিয়ে। এভাবে মানুষের দু'এক টাকার জন্য পড়ে থাকে অন্ধকারে। আচ্ছা টাকা দেখতে কেমন তা কি সে জানে? হয়তো জানে না। দু'টাকার ময়লা-ছেড়া নোট তার কাছে কোনো মায়না রাখে না। সেটা কাগজই।
আচ্ছা সে কি জানে টাকাও একপ্রকার কাগজ? কাগজ দেখতে কেমন?
এমন হাজারটা প্রশ্ন উঁকি দিয়ে যায়। আমি ভাবি। ওই পথ মাড়িয়ে যতোবার আমি যাই ততোবার ওর দিকে তাকিয়ে বলি-
'না, সে নয় । অন্য কেউ এসেছিল । ঘুমো তুই ঘুমো ।
এখনো রয়েছে রাত্রি, রোদ্দুরে চুমো
লাগেনি শিশিরে ।
ওরে বোকা,
আকাশে ফোটেনি আলো, দরজায় এখনো তার টোকা
পড়েনি ।
টগর-বেলা-গন্ধরাজ-জুঁই
সবাই ঘুমিয়ে আছে, তুই
জাগিসনে আর । '
কিংবা ফুটপাতে যথন দেখি পাহীন-হাতহীন বিকলাঙ্গ কাউকে। তাদের কাছে পৃথিবীটা কেমন।
হয়তো ভাবে- জগৎটা যদি তাদের মতোই খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতো! খুব কী ক্ষতি হতো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।