আমি আজ রাতে বই পড়বো না,টিভি দেখবো না,কম্পিউটার নিয়ে বসবো না। গাঢ় ঘুম দেব। এক ঘুমেই রাত পার করে দিব। আনন্দময় একটা ঘুম দেব এবং সুন্দর স্বপ্ন দেখবো। মা'র ঘরে গিয়ে দু'টা ঘুমের ট্যাবলেট নিলাম,এবং চুপি চুপি খেয়ে বিছানায় গেলাম।
জানালা এবং লাইট বন্দ করে দিলাম। আগেই মোবাইল অফ করে ড্রয়ারে রেখে দিয়েছি। আনন্দময় কিছু ভাবলে ঘুম তাড়াতাড়ি আসে,তাই 'হিমি'র কথা ভাবা শুরু করলাম। 'হিমি'র জন্য আমি অনেক গুলো শাড়ি কিনে রেখেছি। বেশির ভাগই নীল শাড়ি।
শাড়ি গুলো কিনেছি হঠাৎ করে। রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি,দেখি একটা পুতুলকে শাড়ি পরিয়ে রেখেছে-দেখে এতো সুন্দর লাগলো কিনে ফেললাম। আরো কতো কি কিনেছি...!
এই পর্যন্ত ভাবতে ভাবতে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। আর কি আশ্চর্য সাথে সাথে স্বপ্ন দেখা শুক রলাম!আমি আজিম পুরের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি বিকেল বেলা। আহ্ কি সুন্দর বিকেল!হঠাৎ দেখি একটা চায়ের দোকানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসে আছেন।
সামনে গিয়ে দেখি শুধু রবীন্দ্রনাথ না আরো আছেন আইনষ্টাইন এবং বানার্ড শ। তারা কিনে আলোচনা করছিলেন শোনার জন্য আমি আইনষ্টাইনের পাশে গিয়ে চুপ করে বসি। অবাক হয়ে শুনি তারা তিন জনেই নারী রহস্য নিয়ে গভীর ভাবে আলোচনা করছেন। বানার্ড আমার দিকে তাকিয়ে বললেন বাবু তুমি এখানে কি করছো?যাও গ্রামে যাও। আইনষ্টাইনও বললেন যাও গ্রামে যাও।
আমি রবীন্দ্রনাথের দিকে তাকিয়ে বললাম চাচা আপনি কি আমাকে একটা কবিতা শুনাবেন?আপনার মুখে আপনার একটা কবিতা শুনেই আমি গ্রামে চলে যাবো। রবীন্দ্রনাথ বললেন পুরো কবিতা শুনাতে পারবো না তবে কবিতার কয়েকটা লাইন শুনিয়ে দেই। পুরো কবিতা মনে থাকে না। আমি মাথা নেড়ে বললাম আচ্ছা। চাচা কবিতা আবৃওি শুরু করলেন-
"কী করিয়া শুনাইব,কী সহজ ভাষায় ধরিয়া-
দিব তারে উপহার ভালোবাসি যারে,
মোরে করেছ সম্রাট।
তুমি মোরে পরায়েছ গৌরব মুকুট;
নিভৃত সভায় আমারে চৌদিকে ঘুরে সদা গান গায়
বিশ্বের কবিরা মিলি;
প্রেমের অমরাবতী,
বিকশিত পুষ্পবীথিতলে শকুন্তলা আছে বসি,
হাত ধ'রে মোরে তুমি লয়ে গেছ সৌন্দর্যের নন্দন ভূমি
অমৃ্ত-আলয়ে।
সহস্রের মাঝে একজন- সদা বহি
সংসারের ক্ষুদ্র ভার,কত অনুগ্রহ
কত অবহেলা সহিছে অহরহ।
অয়ি মহীয়সী মহারানী,
তুমি মোরে করিয়াছো মহীয়ান।
হে মহিমাময়ী,মোরে করেছ সম্রাট্।
আমি কবিতা শুনে এবং এক কাপ চা খেয়ে বিদায় নিলাম।
রবি বাবু'র কবিতা আবৃওি ভালো হয়নি। এর'চে গোলাম মোস্তফা বা নূর সাহেব ভালো আবৃওি করেন।
তাদের কথা শুনে আমি সত্যি সত্যি গ্রামে চলে গেলাম এবং বিয়ে করে ফেললাম 'হিমি'কে। এখন আমি সারাদিন জমিতে কাজ করি। দুপুর বেলা 'হিমি' আমার জন্য ভাত নিয়ে আসে।
খাবার মেন্যু আহামরি কিছু না। 'হিমি' দুই হাত ভরতি থাকে সবুজ কাঁচের চুড়ি,'হিমি আমাকে ভাত বেড়ে দেয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।