তাহার সাথে জড়িত জীবনের প্রথম লুলকাহিনী। কতশত স্মৃতি। কত হাসি আনন্দ। মনে উঠলে বুকের মধ্যে কেমন যেন করে। আবারো লুলামি করিতে মুণ্চায়।
কিন্তু তাহারে সেই যে হারাইলাম, আর খুজিয়া পাইলাম না। উনি চলে গেলেন। কিছু বলে গেলেন না। তার খোজে আমি অহর্নিশ। খাইতে গেলে সে, ঘুমুতে গেলে সে।
বিশাল ইতিহাস পাঠককে জানাইয়া লাভ নেই। সেই বয়সে আমি তার প্রেমে হাবুডুবু। মরিয়া যাই যাই অবস্থা। উনারে আমি দেখিলাম। কি বুঝিলাম জানিনা।
লুলামি করিতে মন ছটফট করিতে লাগিল। কারে যে কি বলি, সারাদিন ভাবি। মনের কথা বলার লোক নাইরে। কি জানি কি বুঝিয়া আপন বড় ভাইকেই বলিয়া ফেলিলাম জোসনাকে আমি বিয়া করবার চাই।
পাঠক নিশ্চয় জোসনা কে তাহা জানিতে চাহিতেছেন।
জোসনার ঠিকানাটা এখনই দিব। তার আগে বলি উনার ঠিকানাটা আপনারা একটু কষ্ট করে মনে রাখবেন। যদি কখনো তার সাথে আপনাদের কারো দেখা হয়, দয় করে বলবেন, তার জন্য আমি এখনো পথ চেযে আছি। আর কত অপেক্ষা করব তার জন্য? এই নায়িকা অপরূপ সুন্দরী। পায়ে নুপুর পড়ে হাটেন।
নিক্কনের শব্দে আমার ঘুম হারাম হয়। এই অপ্সরীর সাথে আমার দেখা হয়েছিল বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানি পুলিশ ক্যাম্পে। উনার বাবা ও আমার বাবা সহকর্মী হিসাবে তখন ঐ ক্যাম্পে কর্মরত।
যা হোক মূল ঘটনায় আসি। ভাইকে বলার সাথে সাথে রেজাল্ট।
আমাদের ভালবাসায় কেউ ভিলেন হয় নাই। তার বাপ-মা রাজি হলো। আমার বাপ-মা আমাকে আশাহত করে নাই। এক শুভ সন্ধ্যায় আমাদের ২ জনের মহা মিলন ঘটাই দিয়া উনারা আয়েশ করে কোরমা পোলাউ খাইতে লাগিলেন। বাবা মার প্রবাস জীবেন এই টুকু আনন্দের উপলক্ষ্য তারা হাত ছাড়া না করিয়া ২ বেয়াই্ বেয়াইন সাহেব একে অন্যের বাড়িতে মেহমান হইয়া যাতায়াত করিতে লাগিলেন।
আমার ভাই বোনেরা সেই রূপসীর ভাইবোনদের সাথে সখ্য করিলেন। অনেক হাসির ঘটনা ঘটাইয়া আমরা আমাদের সঙসার জীবনের খেলা শুরু করিলাম্।
আমার সুখ বোধ হয় বিধির সইলো না। এত সুখ দেখিয়া তিনি জেলাসী হইলেন। তার বাবাকে বদলী করিয়া দিলেন অন্য থানায়।
রূপসী রাজকন্যা আমারে ফাকি দিয়া তার বাবার সাথে চলে গেল। তার পর দীর্ঘ ২৩ বছর অতিবাহিত হইলো। ঐ চম্পাবতীর দেখা আর পাই নাই। আহারে তাহারে দেখিতে আমার বড় সাধ জাগে! ১ম প্রেম। প্রথম লুল কাহিনী।
পাঠকের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি আমার বর্তমান বয়স ২৯।
(যদি কোন সহৃদয় বান ব্যক্তি জোসনার খোজ দিতে পারেন তাহাকে যথাযথ পুরৃস্কৃত করা হইবে। ফরিদপুর জেলা নিবাসী। বাবার নাম মহিউদ্দিন। সম্ভবত ৩ বোন ১ ভাই।
১৯৮৬-৮৭ সালে বরগুনা জেলার চরদুয়ানী পুলিশ ক্যাম্পে মহিউদ্দিন সাহেব কর্মরত ছিলেন। এই পর্যন্ত জানি আর কিছু জানিনা)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।