#থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে,
দেখবো এবার জগৎটাকে কেমন করে,
ঘুরছে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ নিয়ে #
কিন্তু হায় কপাল ! আমি কষ্টে ভারাক্রান্ত হই যখন দেখি আমার প্রাণ-প্রিয় আইন প্রতিমন্ত্রি মশাই বলেন, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের শুধু বিচার হবে, তখন কষ্ট লাগে আবার কেহ একই ইস্যু নিয়ে ভবিষ্যতে রাজনীতি করুক এ সুযোগ আপনি দিতে চান। আবার বিরোধী পক্ষ বলুক শুধু মাত্র প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্যই এ অভিনয় করল বর্তমান সরকার । তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বলব,আমরা এ প্রজন্ম যে আশা পেয়েছিলাম নির্বাচন পূর্ব কথায় তার প্রতিফলন দেখতে চাই। না হলে আপনারাও জানা উচিত এ প্রজন্ম দল বা ব্যক্তি নয় শুধু দেশকে শত্র“মুক্ত দেখতে চায় । তারা চায় না দেশের কথা বলে নিজের স্বার্থ কেহ বাঁচাক ।
আমরা ইতিহাস থেকে জেনেছি যে, এই স্বাধীনতা যুদ্ধে শুধুমাত্র তথিত দল-ই বিরোধীতা করেনি, করেছিল বাম ঘরনার আরও কিছু দল, যারা ঘুমটি মেরে আছে আপনার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে । তারা যদি বেঁচে যায় তাহলে এই ঘরহীন শত্র“রাও এক সময় দেশটাকে খেয়ে ফেলবে । আপনি কি ভাবছেন আপনার সরকারে তৎকালীন শত্র“ পক্ষের লোকেরা মন্ত্রী হয়নি। কিন্তুু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য যে সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম উদ্যোগী হয়েছিল তারাতো শুধু এ কয়জনের বিচার চায়নি , তারা চেয়েছিল এ দেশ হবে সত্যিকারার্থে শত্র“ মুক্ত। আজ মন্ত্রী সাহেবের কথায় বলা যায় সরকার সবার বিচার করার ক্ষমতা রাখেনা ।
কেননা এক বিচার অর্ধেক করা ও যায়না । যা আপনার মন্ত্রী সাহেবরা বলছেন।
গত ১৭ ই জুলাই মন্ত্রী সাহেবরা যা বললেন তাতে আমরা যুব সমাজ কোন স্বপ্ন দেখবে, বলবেন কি মাননীয়া প্রধান মন্ত্রী ?
আমি কথা বলে দেখেছি কথিত দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা থেকে কর্মীদের সংগে তারাও প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় । এমন কি তারা বলেছে গ্রেপ্তারকৃত ব্যাক্তিরাও যদি সত্যিকারার্থে যুদ্ধাপরাধী হয় তাদের ফাঁসি হওয়া দরকার।
আর একটি বিষয় ৭২ এর সংবিধান নিয়ে সর্বোচ্চ বিচারালয়ের ব্যাখ্যা না আসতেই কেন বাবু সাহেব ও ইসলাম সাহেবের এ সাংঘর্ষিক বিবৃতি তা বোধগম্য নয়।
আবার সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সকল দল থেকে সংবিধান সংশোধনী কমিটির সদস্য করা হবে মন্ত্রী সাহেবের একথা ঠিক থাকলো কোথায় । তথিত দলের বর্তমান সংসদ সদস্যদের মাঝেতো আর যুদ্ধাপরাধী নেই । তাদের কথা বলার সুযোগ দিলে রাজ্য পরিচালনায় সঠিক নীতিই বলবৎ থাকতো বলে আমাদের মনে হয়। যদিও তাদের মনে কি আছে তা তারাই তা ভালো জানেন। আমারা যতটুকু সংবিধানের জ্ঞান তাতে মনে হয় দেশের এত বছরের সাংসদীয় বিলগুলোকে উপেক্ষা করে শুন্যতা সৃষ্টি করে রাজনীতি শুভফল বয়ে আনবেনা।
তার চেয়ে জল ঘুলা না করে দেশের স্বার্থে সহজভাবে বললেই হয় সংবিধানের স্বাভাবিক পরিবর্তন দরকার ।
বৃহৎ হবার চেয়ে ছোট থেকেও বড় অর্জন সম্ভব এ কথা ভুলে রাজ্য পরিচালনা করা বরং বোকামী। আমরা ভুলি নাই আমার দেশ পত্রিকা সরকার রাজনৈতিক ভাবে ব›দ্ধ করেও প্রকাশের সুযোগ দিতে বাধ্য হয়েছে । বঙ্গবন্ধু কন্যা আপনি আপনার ও আপনার মন্ত্রীদের মুখে চিন্তাশীল ও দায়িত্বশীল কথা বলাতে চেষ্টা করালে ভালো হয় এবং দেশ পুর্নগঠনে কৌটিল্যের নীতি অনুসরণ করে ভারত মুখিতা কমিয়ে উন্নয়ন কর্মসুচি গ্রহন করুন । আমাদেও নতুন প্রজন্মকে কথা বলার সুযোগ দিন ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।