আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পারলে একবার কেওকারাডং ঘুরে আসবেন-১

“First rule of business, protect your investment.”

২য় পর্ব এখানে ভাল ভ্রমনগুলো খুব বেশি সুপরিকল্পিত না হওয়া ভালো, একটু ফাঁকফোঁকর থাকলে সেটা দিয়ে একটু বাড়তি আনন্দ আসতে পারে। অনার্স এ পড়ার সময় একটা অপরিকল্পিত ভ্রমনের সুযোগ এসেছিল। প্ল্যান ছিল এরকম যে, বান্দরবন যাব, এরপর যতটুকু গহীনে যাওয়া যায়। জুনিয়র রোমেল এর বাড়ী বান্দরবন, সে ও যাবে। চারদিন এর ট্যুর যতটুক সম্ভব অল্প লেখা্য়(!)বলার চেষ্টা করা যাক।

কিছু ছবি ও দিয়েছি, ভ্রমন কাহিনীতে ছবি দেওয়া ওয়াজিব। বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রা শুরু করে বান্দরবান শহরে পৌছতে পৌছতে সকাল ১১ টা। ৫ কি ৬ জন ছিলাম আমরা। এরপর রুমেলের বাসা, দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে বললাম, 'রুমেল এখন কি? রুমেল বলল চিন্তার কিছু নাই, ভ্রমনের প্রথম স্টেপ হল ঘর থেকে বের হওয়া। ওকে ঠিক আছে, বের হওয়া যাক, এতদিন ডিসকাভারি দেখাইছে, এইবার আমরা দেখাই।

সবাই চান্দের গাড়ীতে উঠে পড়লাম প্রথমবারের মত, রুমেল ছাড়া, ও আগেও চড়েছে। জনপতি ৫০ টাকা করে করে নিল বিনিময়ে পৌছলাম ককিনঝিরী নামক জায়গায়। নেমে ভাবলাম অনেক ভিতরে এসে গেছি, একটা রহস্যময় টাইপ আনন্দ পাবার চেষ্টা করলাম, রুমেল বলল ঘোড়ার ডিম ভিতরে এসেছেন। ককিনঝিরী যাওয়ার পথে বিরতি হোটেলে ঢুকে চা-সিগারেট খেয়ে নৌকায় উঠলাম, এখানে আবার নৌকা কেন? আমাদের পাহাড়ী সাংগু নদী হয়ে যেতে হবে রুমাবাজার, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল, ঠান্ডা শীতল অনুভুতি, ভালই লাগছিল, যাত্রার মাঝপতে সেনারা চেক করল,এবার কইলজা ঠান্ডা হয়ে আসল, সবাই বলল এটাই নিয়ম, আমারা যারা বেড়াতে যাচ্ছি তাদের নাম লিখে নিল। রুমাবাজার পৌছতে পৌছতে সন্ধ্যা প্রায়।

এখন আর অগ্রসর হওয়া যাবেনা। রাতটা এখনেই কাটাতে হবে। হোটেলে জিনিস পত্র রেখে বাজারে ঘরাঘুরি করলাম, বাকি জনবসতিগুলোর জন্য এটাই সবছেয়ে বড় বাজার। লোকজনদের সাথে কথা বললাম, কেওকারাডং যাবার ব্যাপারে কথা হল, এজন্য নাকি সেনাদের অনুমতি নিতে হয়, ভ্রমনকারীদের নিরাপত্তার জন্যই নাকি এতসব। যাইহোক ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে রান্না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।

রুমা বাজার, সেনা ক্যাম্প থেকে তোলা পরেরদিন সকালে উঠেই চলে গেলাম সেনা ক্যাম্প। পাহাড়ের উপর। ২-৩ জন সৈনিক বসে আছে, অফিসার আসলে কথা বলতে বলল। অফিসার এলেন, বললেন যেতে তো পারবেন না, আবহাওয়া খারাপ (আইলা/সিডরের কারনে সতর্কসংকেত ছিল, মনে নাই), পরের সেনা ক্যাম্প থেকে অনুমতি মিলছেনা। অনেক কুঁতাকুঁতি করলাম, লাভ হলনা।

এইবার একটা পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যে অফিসারকে আবদ্ধ করার চেষ্টা করলাম, বললাম 'ভাইয়া, কিছু একটা করা যায় কিনা একটু দেখেন, অনেক আশা করে এসেছি.......। ' এইবার তার মন গলল, বললেন দেখি চেষ্টা করে। দুপুর একটায় অনুমতি মিলল, একজন গাইড ও ঠিক করে দিল, নাম আলমগির, তাকে দৈনিক ২৫০ টাকা করে দিতে হবে। বেপারনা আলমগির, রওনা দেয়া যাক। নাম জানা যায়নি (বাকিটা আগামি পর্বে, খোদার কসম ঐটার পর আর কোন পর্ব নাই, 'বাকিটা আগামি পর্বে' লাইনটা লিখে, বিশ্বাস করেন আমার নিজের ও লজ্জা লাগতেছে, হালার আমিতো ফাঁপড় নেওয়ার মত কোন লেখক না।

)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.