জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির দায়ে সিন্ডিকেট এক শিক্ষককে পদাবনতি করায় এবং আরেক শিক্ষকের বিষয়টি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়ায় ক্যাম্পাসে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাংশ এ ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও অপর অংশসহ অনেক শিক্ষার্থী তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
সিন্ডিকেট সদস্যরা গত শনিবার জরুরি সভা করে যৌন হয়রানির দায়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক সানোয়ার হোসেনকে (আহমেদ সানি) সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপকে পদাবনতি দেন। একই সঙ্গে তাঁকে বেতনসহ দুই বছরের ছুটি দেওয়া হয়েছে। সানোয়ার হোসেনকে লাঞ্ছিত করার দায়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ছয় শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং তাঁদের শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরেক শিক্ষক আব্দুল্লাহেল কাফির বিষয়ে সিন্ডিকেট কোনো সিদ্ধান্তে পেঁৗছাতে না পারায় বিষয়টি হাইকোর্টে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সদস্য এ কে এম রাশেদুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, সিন্ডিকেট আব্দুল্লাহেল কাফিকে পদাবনতি দিতে চাইলে দুজন সদস্য ঘোর আপত্তি জানান। তাঁরা কাফির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তখন বিষয়টি হাইকোর্টে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক শামসুল আলম সেলিম বলেন, নিপীড়নবিরোধী সেলের প্রতিবেদনে কাফি দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরও তিনি একটি বিশেষ দলের সমর্থক হওয়ায় কালক্ষেপণের জন্য বিষয়টি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরও অভিযুক্তের বিচার না করে প্রশাসন তাঁর অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে দিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।