আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার জানলা দিয়ে দেখি আমার পৃথিবী

স্বপ্ন দেখি বিশ্ব ভ্রমনের।
"আমার জানলা দিয়ে একটুখানি আকাশ দেখা যায়, একটু বর্ষা, একটু গ্রীষ্ম, একটুখানি শীত। সেই একটুখানি চৌকো ছবি আঁকড়ে ধরে রাখি, আমার জানলা দিয়ে আমার পৃথিবী...। " জুলাইয়ের ,২০০৯ মেলবোর্ণে পা রাখার পর কনকনে ঠান্ডা বাতাসই যেন বরণ করে নিলো আমাকে। ঠিক দুই মেরুর আবহাওয়াওয়ার বৈপরিত্য।

সব কিছুই আমার কাছে খুব বেশি নতুন ছিলো, এখনও। নতুন দেশ, নতুন সংসার (সংসার মানে আমি আর আমার বাবা আর অসুস্হ মা মিলে ছোট্ট সংসার ), নতুন বাসা, সেই বাসা নতুন করে গোছানো, সংসারের টুকিটাকি অজস্র নতুন জিনিসপাতি...কত কি নতুনের মাঝে নতুন এক আমি। আমার প্রিয় সংগীটিও এখন নতুন এক ভূমিকায়, সেই কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের ক্যাম্পাস চষে বেড়ানো তারেক-তিথি এখন তিরিং-বিরিং বন্ধুই শুধু নয়, বাসার আশে প্বার্শে ছোট ছোট কিছু বাচ্চা ও বটে। হি হি , ভাবতেই ফিক করে হাসি চলে আসে মুখে! এতসব নতুনের মাঝে আমার ভূমিকাগুলো মাঝে মাঝেই অবাক করে দিচ্ছে আমাকে। আমি রান্ধি-বাড়ি, এটা আমার মাঝে মাঝে নিজেরই ঠিক বিশ্বাস হতে চায় না।

তবু হয়ে যাচ্ছে সব ঠিকঠাকই আসলে। কেমন এক ধরনের চ্যালেঞ্জিং যেন সব। আস্তে আস্তে দেখি, আজীবন যেই ভূমিকায় আমি সবচেয়ে অদক্ষ ছিলাম, সেই রাঁধুনীর ভূমিকার আমি রীতিমতো এক্সপার্ট হয়ে যাচ্ছি। এক সময় মা'র রান্নাঘরের দরজায় উঁকি মেরে চলে আসতাম, এখন নিজের ছোট্ট কিচেনটাকে অনেক আপন মনে হয়। আমি ঠিক গোছানো লক্ষী মেয়ে নই কখনই, বরং অনেক বেশি অগোছালো করে ফেলে রাখার অভ্যাস সব কিছু।

তবু রান্নার হরেক রঙের মশলাগুলোকে জলরঙের গুঁড়ো ভেবে আলাদা আলাদা কৌটোয় সাজিয়ে রাখি সুন্দর করে। কিচেনের ঠিক পাশেই একটা জানালা। রান্না চড়িয়ে মাঝে মাঝেই তাকিয়ে থাকি জানালার ফাঁক দিয়ে। বাম পাশ দিয়ে রাস্তা আর অনেক বাড়িঘর দেখা যায়। বাড়িগুলো সুন্দর, ছিমছাম।

আমরা ঠিক শহরে থাকি না বোধহয়, এটাকে বরং উপশহর বলা যেতে পারে। তাই হয়তো মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিংয়ের চাইতে এই ছোট ছোট আপন-আপন বাড়িগুলোই বেশি চোখে পড়ে। আর জানালা দিয়ে ডান দিকে চোখে পড়ে একটা ছোটমোট পার্ক-বাচ্চাদের। আর জানালার ঠিক সামনেই একটা গাছ, অনেক ডালপালা ছড়ানো। যখন আমি প্রথম এই বাসায় উঠেছি, সেই ডালপালাগুলো খুব একলা ছিলো, একটা সবুজ পাতাও দেখিনি আমি।

তীব্র শীতের প্রবল ছাপ গাছটা জুড়ে- কেবল ফ্যাকাসে, ধুসর রঙে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে ছিলো যেন আমার রান্নাঘরের সংগীটি। আজ অনেক দিন পরে আমার সংগী গাছটি মন খুলে হাসছে। শীত কমে গেছে, রোদ উঠেছে দারুণ। আর সেই খুশিতে সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে গাছটার মরা ডালপালা। বড় ভালো লাগলো দেখে।

সবুজের দেশের মানুষ আমরা, এই ভিন দেশের মলিন গাছগুলোকে দেখে বড় মায়া হতো। আজ ওদের খুশিতে আমারও মন খুশি। ক্যামেরার ছোট্ট গোল বাটনে তর্জনীর একটা টিপ পড়ে তাই - ক্লিক"আমার জানলা দিয়ে একটুখানি আকাশ দেখা যায়, একটু বর্ষা, একটু গ্রীষ্ম, একটুখানি শীত। সেই একটুখানি চৌকো ছবি আঁকড়ে ধরে রাখি, আমার জানলা দিয়ে আমার পৃথিবী...। " জুলাইয়ের ,২০০৯ মেলবোর্ণে পা রাখার পর কনকনে ঠান্ডা বাতাসই যেন বরণ করে নিলো আমাকে।

ঠিক দুই মেরুর আবহাওয়াওয়ার বৈপরিত্য। সব কিছুই আমার কাছে খুব বেশি নতুন ছিলো, এখনও। নতুন দেশ, নতুন সংসার (সংসার মানে আমি আর আমার বাবা আর অসুস্হ মা মিলে ছোট্ট সংসার ), নতুন বাসা, সেই বাসা নতুন করে গোছানো, সংসারের টুকিটাকি অজস্র নতুন জিনিসপাতি...কত কি নতুনের মাঝে নতুন এক আমি। আমার প্রিয় সংগীটিও এখন নতুন এক ভূমিকায়, সেই কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের ক্যাম্পাস চষে বেড়ানো তারেক-তিথি এখন তিরিং-বিরিং বন্ধুই শুধু নয়, বাসার আশে প্বার্শে ছোট ছোট কিছু বাচ্চা ও বটে। হি হি , ভাবতেই ফিক করে হাসি চলে আসে মুখে! এতসব নতুনের মাঝে আমার ভূমিকাগুলো মাঝে মাঝেই অবাক করে দিচ্ছে আমাকে।

আমি রান্ধি-বাড়ি, এটা আমার মাঝে মাঝে নিজেরই ঠিক বিশ্বাস হতে চায় না। তবু হয়ে যাচ্ছে সব ঠিকঠাকই আসলে। কেমন এক ধরনের চ্যালেঞ্জিং যেন সব। আস্তে আস্তে দেখি, আজীবন যেই ভূমিকায় আমি সবচেয়ে অদক্ষ ছিলাম, সেই রাঁধুনীর ভূমিকার আমি রীতিমতো এক্সপার্ট হয়ে যাচ্ছি। এক সময় মা'র রান্নাঘরের দরজায় উঁকি মেরে চলে আসতাম, এখন নিজের ছোট্ট কিচেনটাকে অনেক আপন মনে হয়।

আমি ঠিক গোছানো লক্ষী মেয়ে নই কখনই, বরং অনেক বেশি অগোছালো করে ফেলে রাখার অভ্যাস সব কিছু। তবু রান্নার হরেক রঙের মশলাগুলোকে জলরঙের গুঁড়ো ভেবে আলাদা আলাদা কৌটোয় সাজিয়ে রাখি সুন্দর করে। কিচেনের ঠিক পাশেই একটা জানালা। রান্না চড়িয়ে মাঝে মাঝেই তাকিয়ে থাকি জানালার ফাঁক দিয়ে। বাম পাশ দিয়ে রাস্তা আর অনেক বাড়িঘর দেখা যায়।

বাড়িগুলো সুন্দর, ছিমছাম। আমরা ঠিক শহরে থাকি না বোধহয়, এটাকে বরং উপশহর বলা যেতে পারে। তাই হয়তো মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিংয়ের চাইতে এই ছোট ছোট আপন-আপন বাড়িগুলোই বেশি চোখে পড়ে। আর জানালা দিয়ে ডান দিকে চোখে পড়ে একটা ছোটমোট পার্ক-বাচ্চাদের। আর জানালার ঠিক সামনেই একটা গাছ, অনেক ডালপালা ছড়ানো।

যখন আমি প্রথম এই বাসায় উঠেছি, সেই ডালপালাগুলো খুব একলা ছিলো, একটা সবুজ পাতাও দেখিনি আমি। তীব্র শীতের প্রবল ছাপ গাছটা জুড়ে- কেবল ফ্যাকাসে, ধুসর রঙে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে ছিলো যেন আমার রান্নাঘরের সংগীটি। আজ অনেক দিন পরে আমার সংগী গাছটি মন খুলে হাসছে। শীত কমে গেছে, রোদ উঠেছে দারুণ। আর সেই খুশিতে সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে গাছটার মরা ডালপালা।

বড় ভালো লাগলো দেখে। সবুজের দেশের মানুষ আমরা, এই ভিন দেশের মলিন গাছগুলোকে দেখে বড় মায়া হতো। আজ ওদের খুশিতে আমারও মন খুশি। ক্যামেরার ছোট্ট গোল বাটনে তর্জনীর একটা টিপ পড়ে তাই - ক্লিক
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।