প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
আমার জানলা দিয়ে একটুখানি আকাশ দেখা যায়
একটু বর্ষা, একটু গ্রীষ্ম, একটুখানি শীত
সেই একটুখানি চৌকো ছবি আঁকড়ে ধরে রাখি
আমার জানলা দিয়ে আমার পৃথিবী।
সেই পৃথিবীতে বিকেলের রং হেমন্তে হলুদ
সেই পৃথিবীতে পাশের বাড়ির কান্না শোনা যায়
পৃথিবীটা বড়ই ছো্ট আমার জানালায়
আমার জানলা দিয়ে আমার পৃথিবী।
সেই পৃথিবীতে বাচঁবো বলেই যুদ্ধ করি রোজ
একটুখানি বাঁচার জন্য হাজার আপোষ
সেই পৃথিবীর নাম কলকাতা কি, ভারত জানি না
তুমি তোমার পৃথিবীর নামটা জান কি?
তুমি বলবে আমায় বেনিয়াপুকুর, তোমার বেহালা
তুমি গন্ডী কেটে দেখিয়ে দেবে পশ্চিম বাঙলা
হয়তো কেরালার আকাশ আর একটু বেশি নীল
তবু সেটাও কি নয় আমার পৃথিবী?
আমার জানলা দিয়ে যায়না দেখা ইসলামাবাদ
শুধু দেখি আমি রোজ আমার পাশের বাড়ির ছাদ
একটা হলদে শাড়ি শুকোচ্ছে, আর মোজার রংটা নীল
আজ পৃথিবীটা বড়ই রঙিন।
কেউ জানলা খুলে অ্যালাবামায় বাংলা গান গায়
কেউ পড়ছে কোরআন বসে তার জাপানী জানলায়
তুমি হিসেব করে বলতে পারো প্যারিসের সময়
কিন্তু, কার জানালায় কে কী দেখে হিসেব করা যায় কি বলো?
মনের জানলা আছে, মনের জানলা দিয়ে তুমি বেরিয়ে পড়তে পারো
মেক্সিকোতে বসে বাজানো যায় গীটার
কোথায় তুমি টানবে বলো দেশের সীমারেখা
আমার জানলা দিয়ে গোটা পৃথিবী
তাই জানলা আমার মানে না যে ধর্মের বিভেদ
জানলা জাতীয়তাবাদের পরোয়া করে না
জানলা আমার পূব না পশ্চিমের দিকে খোলা
জানলা সে তো নিজেই জানে না!
জানলা আমায় সকাল বেলায় শোনায় ভৈরবী,
আর সন্ধ্যে বেলায় শোনায় জন কোন্ট্রিঙ
গানে দেশে রেশারেশি-দেশাদেশি নেই
আমার গানের জানলা গোটা পৃথিবী।
কথা ও সুর: অন্জন দত্ত
অ্যালবাম: অসময়
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।