মার্ক
১. মানুষের পাকস্থলীতে দিনে ২ লিটার পর্যন্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড তৈরি হয়,যা কিনা ধাতুকেও পর্যন্ত ক্ষয় করতে সক্ষম। কিন্তু পাকস্থলীর কোন ক্ষতি হয় না কারন এতে প্রতি মিনিটে ক্ষয়ের সমানতালে ৫০০,০০০টি করে নতুন কোষ উতপন্ন হচ্ছে।
২. একজন পুরুষের শরীরে গড়ে ৫ লিটার রক্ত থাকে,নারীর শরীরে থাকে ৪.৩ লিটার।
৩. মানুষের চুল দিনে দৈর্ঘ্যে ০.৫ মিলিমিটার করে বাড়ে।
৪. হাতের নখ সপ্তাহে .০৫ সেন্টিমিটার করে বাড়ে।
আর পায়ের নখ এর এক-চতুর্থাংশ গতিতে বাড়ে।
৫. আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের ভেতর দিয়ে ঘন্টায় ২৯০ কিমি বেগে সংকেত আদান-প্রদান হয়।
৬. হাঁচির সময় নাক দিয়ে ১৬০ কিমি/ঘন্টা বেগে বাতাস বের হয়।
৭. মানুষের ত্বক থেকে প্রতি মিনিটে ৫০,০০০ মৃত মাইক্রোস্কপিক কণা ঝরে পড়ে।
৮. পুরুষের চেয়ে নারীর শরীরের একই অস্থি সাধারনত ৬-১৩% ছোট হয়ে থাকে।
৯. মানুষের শরীরের ৯৯ শতাংশই অক্সিজেন,কার্বন,হাইড্রোজেন,নাইট্রোজেন,ক্যালসিয়াম আর ফসফরাস দিয়ে তৈরি।
১০. মানুষের শরীরের সম্মিলিত অস্থির ভর মোট শরীরের ভরের পাঁচ ভাগের এক ভাগ।
১১. মানুষের শরীরে যত রক্তবাহী নালী আছে সেগুলা জোড়া লাগালে ১০০,০০০ কিলোমিটার হবে যা দিয়ে পৃথিবীকে ২.৫বার প্যাচানো যাবে।
১২. মানুষের রক্তে ২৫,০০০,০০০,০০০-৩০,০০০,০০০,০০০ টি লোহিত কণিকা থাকে যেগুলার গড় আয়ু ১২০ দিন। প্রতি মুহুর্তে শরীরে ১,২০০,০০০-২,০০০,০০০ টি লোহিত কণিকা তৈরি হয়।
একজন মানুষের শরীরে তার জীবদ্দশায় যত লোহিত কণিকা তার মোট ভর প্রায় আধা টন।
১৩. মানুষের শরীরে যে পরিমান কার্বন আছে তা দিয়ে ৯০০ টি পেন্সিল তৈরি করা যাবে। জমে থাকা চর্বি দিয়ে বানান যাবে ৭৫টি মোমবাতি। ২২০টি ম্যাচের কাঠি বানাবার মত ফসফরাস আছে শরীরে।
১৪. হৃদপিন্ড মিনিটে গড়ে ৭০ বার করে দিনে প্রায় ১০০,০০০ বারের বেশি সারাদিনে পাম্প হয়।
প্রতিবারে ৫৯ সিসি রক্ত পাম্প হয় যার পরিমানটা দিনের হিসেবে ১৩,৬৪০ লিটার।
১৫. ত্বকের ৩,০০০,০০০ ঘর্মগ্রন্থি দিয়ে দিনে .৫ লিটার ঘাম নির্গত হয় যার পরিমান গরমের দিনে ১৩.৫ লিটার পর্যন্ত হতে পারে।
১৬. মানুষ গড়ে মিনিটে ২০ বার শ্বাস নেয়,এতে ৬ লিটার বাতাস থাকে। এভাবে দিনে মোট ৮,৬৪০ লিটার বাতাস ২৮,৮০০ বার শ্বাসগ্রহণের মাধ্যমে নেয় মানুষ।
১৭. বয়স ও পরিপার্শ্বে উপর নির্ভর করে মানুষের দিনে ৪০০ মিলিলিটার থেকে ২ লিটার পর্যন্ত প্রস্রাব হতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।