শেষ বলে কিছু নেই
একটা বাবলা-কাঠের তলোয়ার ছিল তার
বিকেলের আলোছায়ার বিভ্রমে অথবা
দুপুরের বনবাসী হাওয়া-উৎক্ষিপ্ত খোলামঞ্চে
কান পেতে ওটার ওঙ্কার শুনতো সে: অচিন ভূবনের রোমাঞ্চ
হানা দিত আদাজল খেয়ে লাগা ছেলেবেলার ধুলো-কাদায়
কাদার মত মন আহা
ঘাসের মত সবুজ কল্পনায় রক্তের মত লাল হয়ে
বয়ে যেত সাম্রাজ্যের এপার থেকে ওপার:
সে এক সাম্রাজ্য ছিল বটে
কত কত প্রেম!
সেই তলোয়ারের শক্তিতে বলীয়ান
একরত্তি বীর
রাজকন্যাদের সোনালী ঠোঁট থেকে ছিনিয়ে এনে
মুক্তোদানার মত বসিয়ে দিয়েছে সন্ধ্যার আঁচলে...
ধুলোর পাঠশালা খুলে
খড়িমাটির রূপালী স্বপ্ন
আর তলোয়ারের আঘাতে বিখন্ডিত হওয়া জীবনের
এক একটা আড়াল:
জেগে উঠেছে নতুন সাম্রাজ্য
সম্রাজ্ঞীর মণিমুক্তোর আলোতে উজ্জ্বল হয়েছে রাতের আকাশ
পিটাসবুর্গ...
লেলিনগ্রাদের সূর্য বয়ে এনেছে অচেনা রানার
তপ্ত সমোভার থেকে চায়ের ধারা নেমে এসেছে
সাম্যবাদের পেয়ালায়
ট্রানজিস্টারে উচ্চকিত ভয়েস অব এ্যামেরিকা
হাতের মূদ্রায় বন বন করে ঘুরে গেছে কাঠের তলোয়ার
উদয়নের পাতায় ফেনিয়ে উঠেছে পতনের শব্দ
মেরুকরণের দিনগুলোতে নগ্নতা;
বড় হয়েছে সে একটু একটু করে...
এক-মেরু বিশ্ব, গ্লোবাল ভিলেজ
পাষাণের মত কঠিন, ঝকঝকে জীবনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
আজ
ঘাড় ঘুরিয়ে দ্যাখে সে: মগজের হিমঘরে শুয়ে আছে
উজ্জ্বল সেই সব হাওয়া-সাম্রাজ্য, সম্রাজ্ঞী
আলো বেশি উজ্জ্বল রাজকন্যাদের নীল চোখের চাহনী
চিরে দেয়া বাবলা-কাঠের তলোয়ার...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।