আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খেলায় হারজিত থাকতেই পারে, তবুও.................

thanks all over

মানুষ যদ্দিন পৃথিবীতে বেঁচে থাকে, সেই বেঁচে থাকা জীবনটাই একটি খেলা। খেলার শুরুতে যেমন হৈচৈ ঘটে তেমনি শেষটায়ও হৈচৈ পড়ে যায়। মানুষ বিনোদন প্রিয় বিধায় পৃথিবীর প্রত্যেক বিষয়ে মতামত, সমর্থন প্রতিফলিত হয়ে উঠে। চলতি বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। খেলায় হারজিত থাকতেই পারে, তবুও মানুষ খেলে।

বিশেষ করে সারা বিশ্বে সোরগুল সৃষ্টির জন্য বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা, একথা বলাই বাহুল্য। চলতি ্িবশ্বকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টে বিভিন্ন দেশ ও দলকে সমর্থন দিয়ে খেলাকে মূল্যায়িত করেছে ফুটবলপ্রেমিরা। বিশেষ করে শিশু, কিশোর, যুব, পৌঢ় এমনকি বৃদ্ধরাও ফুটবল খেলা নিয়ে ছিল উদ্বেলিত। অন্যান্য দেশের চেয়ে মনে হয় বাংলাদেশেই ফুটবল খেলা নিয়ে প্রত্যেক পরিবারে ছিল জল্পনা, কল্পনা আর সমর্থনের ভাগাভাগি বিশ্বকাপ আমেজ। ফুটবল ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশনের (ফিফা) আয়োজনে বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের খেলা বেশী আন্দোলিত করেছে বাংলাদেশকে।

কেননা, প্রত্যেক পরিবারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গৃহ কর্তা যে দলকে সমর্থন করেন, গৃহকত্রী সমর্থন করেন অন্য দলকে, ছেলে সমর্থন করেছে যে দলকে, মেয়ে তা সমর্থন না করে অপর দলকে সমর্থন দিয়েছে। বলতে গেলে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ছিল বিশ্বকাপ ফুটবলের আমেজ। খেলা এখন শেষ মুহুর্তে। সমর্থকদের প্রত্যাশা কোন কোন খেলায় পূর্ন হলেও শেষ খেলাটি স্পেন সমর্থকদের মনে দৃঢ়তার জন্ম দিতে সম হয়েছে। স্পেন ১ম রাউন্ডে উরুগুয়ের সাথে খেলে হেরে গিয়ে কিছুটা হুচট খেলেও পরবর্র্তী খেলা সমর্থকদের মনে শান্তনা আর আশার আলো দেখিয়েছিল।

তাদের সেই ধারাবাহিকতা রেখেই শেষ টান টান মুহুর্তে জার্মানকে ১-০ গোলে পরাজিত করে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে স্পেনিশরা। বাংলাদেশে ফুটবল প্রেমিকের সংখ্যা ৯৫%। ধনী, গরীব, বয়ষ্ক, নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর সব বয়সের মানুষের কাছে ফুটবল প্রিয় খেলা। চলতি বিশ্বকাপে ৩২ টি দেশের ৩২টি দল অংশ নিলেও বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার সমর্থক ছিল প্রায় ৪৫০%, ব্রাজিলের সমর্থক ৩৫%, জার্মানীর সমর্থক ৫%, স্পেনের সমর্থক ৩%, ইংল্যান্ড সমর্থক ২%, অন্যান্য দলের সমর্থক ১৫%। সমর্থক আর দর্শকরা প্রথমেই ধরে নিয়েছিল এবারে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ফাইনালে জিতবে।

যদি ব্রাজিল তাদের প্রতিবন্ধকতা না করে। এনিয়ে গোটা দেশে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের পতাকা উড্ডয়নের প্রতিযোগিতা চলে। কে, কত বড় ্এবং কত বেশী উচুতে পতাকা উড়াবেন, এনিয়ে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে ছিল ‘হাসিনা-খালেদা’ প্রতিযোগিতার মত। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল সমর্থকরা যখন এসব নিয়ে বেশী মাতামাতি করছিল, তখন অন্যান্য দলের সমর্থক কম থাকায় তাদের আনন্দ আর প্রতিযোগিতা করার সুযোগ আর সাহস হয়নি। তবে ওস্তাদের মার, শেষ রাতে---- শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালেই ঝরে গেল।

সামনে এলো হল্যান্ড (ন্যাদারল্যান্ড) এবং জার্মানী। স্পেনকে কোনটাসা করার চেষ্টা কোন দলই কম করেননি। সমর্থকদের মধ্যেও এমনি দেখা গেছে। বিশেষ করে আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলা যায়, স্পেনের সমর্থক আমি’ একথা শুনে অনেকেই মুখ টিপে হাসতো। যদিও প্রকাশ্যে কিছু বলার সাহস করতো না কেউ, সম বয়সীরা তো বলেই ফেলতো স্পেন কখনও ্িবশ্বকাপের ভাল পর্যায়ে যেতে পারবে না।

তবে আমি স্পেনের খেলোয়াড়দের কৌশলগত খেলার জন্য মুগ্ধ। ৩২ দলের মধ্যে একমাত্র স্পেনই আমার কাছে সেরা দল, সেরা খেলোযাড়। যারা আমার যুক্তিকে মানতে নারাজ তাদেরকে মনে করিয়ে দেয়া দরকার, দল বদল আর সমর্থন বদল উচিত নয়, যাকে ভাল বলবেন, সমর্থন করবেন, ভেবে চিন্তেই বলবেন। তাই বলে যে সব ভাল দল ছিটকে পড়েছে, তাদের সমর্থকদের কটা করছিনে। কারণ খেলায় হারজিত থাকবেই।

এরই মাঝে আমরা খোঁজে নেব আনন্দ আর বিনোদনের খোরাক। স্পেনের সমর্থক হিসেব সত্যি আমি আজ আনন্দিত। আমার আনন্দে আরও অংশীদার করতে চাই ব্লগের সকল বন্ধুদের। আসুন আমরা সবাই স্পেনের সমর্থক হয়ে ১০ তারিখের ফাইনাল খেলা উপভোগ করি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.