কেস নং ১: এক মেয়ের (৮ বছরের) বাবা, হাম হয়ে চোখের ভেতর থেকে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। তিন বছর। নানা রকম পরামর্শ, ভুল চিকিৎসা, তিন বছর পার। অবশেষ কর্ণিয়া সংযোজন। অপারেশন কালে দেখা গেল তাতে ছানিও পড়েছে।
লেন্সও লাগানো হলো। বাড়তি কিছু খরচ হোল। কিন্তু অন্য বড় খরচ একটা বাঁচলো, আলাদা করে পরে করাতে হোল না। আশা করা যায়, ভাল দেখতে পাবেন। ভাইবোনরা এগিয়ে এসেছে বড় ভাইয়ের চিকিৎসা করাতে।
কেস নং ২: এক শিক্ষক মোটর সাইকেলে যাচ্ছেন। মোবাইল, টাকা আছে সাথে। আচমকা কেউ এ্যসিড ছুড়ে চলে গেল। লাগলো চোখে। পাশের বাসায় যেয়ে চোখে প্রচুর পানি দিলেন।
হাসপাতালে গেলেন। কিছু না নিয়ে, না বলে এমন ব্যবহার পেয়ে তিনি হতবাক। চিকিৎসা চলছে। কিন্তু কে এমন কাজ কেন করলো তার উত্তর কে দেবে?
কেস নং ৩: এক কিশোরী ধানক্ষেতে হঠাৎ কিছুর খোঁচায় চোখে আঘাত পেলো। চিকিৎসা হোল।
সারলো না, অপারেশন হোল। কষ্ট কিছু থেকে গেল। আবার অপারেশন। হয়েছে। ব্যথা আছে, কষ্ট হচ্ছে।
ডাক্তার দেখছেন। কুষ্টিয়া থেকে এসে এসে চিকিৎসা চলছে। আজ দেখা হঠাৎ মেয়েটির সাথে। ব্যথা কমেছে। অনেক ভালো এখন সে, অনেক।
মুখভরা উজ্জল দ্যুতিময় হাসি, ঝলমল করছে নতুন জীবন, আলো পাওয়া চোখ!
কেস নং ৪: চোখের মনি বিন্যাস দুটো, হাল্কা দুরকম। যেটা অন্যরকম। সেটাতে দৃষ্টি নেই। কোনদিন ছিল না মনে হয়। ডাক্তার বললেন, দেখি কি করা যায়।
আসেন, অপারেশন করে ট্রাই করি। সফল অপারেশন। ডাক্তার খুশী। রোগী তো মহাখুশী। যে চোখে কখনো দেখেন নি।
আজ শেষ বয়সে দেখতে পাচ্ছেন।
কেস নং ৫: চোখের অপারেশন হয়ে গেছে। রোগীর শুয়ে থাকার কথা। বিশ্রাম নেবে। না! অস্হির, অস্হির! ধারাবাহিকভাবে দেড় মিনিট শোয়, দুই মিনিট ত্রস্ত পায়ে ওয়ার্ডে পায়চারী করে।
আবার শোয়। আবার হাঁটা। জানতে পারলাম, কারন, সিগারেট খেতে দেয়া হচ্ছে না। বলা হোল চোখের ক্ষতি হবে..মানছেন না
শেষ কথা- আপনার চোখের যত্ন নিন
চোখ আপনার যত্ন নেবে। ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।