বা
গ্রীষ্মের পাহাড়
বৃষ্টিহীনতায় প্রায় শুকিয়ে গেছে খালটি, আমি লাফ দিয়ে এসে থমকে দাড়াই, একটি ব-দ্বীপ যেন চারিধারে প্রবহমান জলধারা, মাঝে এখখন্ড শক্ত মাটির চর,ছোট- আমি লাফ দিয়ে অন্য পারে চলে আসি। গাছের ছায়াটা বেশ শীতল, মৃদুমন্দ বায়ু বয় আর কল্ কল্ ধ্বনি শোনা যায়। পিছন ফিরে দেখি- রোদ্রের উত্তাপ এখনও যায়নি পুরোপুরি, দূপুরটা প্রৌঢ় হয়ে গেছে, হালকা ঝলসানো ঘাসে এসে আছড়ে পড়েছে সূর্য্যরে আলো। একটা চিল আকাশ গাঙে পাল তুলে চক্কর দিচ্ছে সামনের পাহাড়টা ঘিরে। আমার নিচে স্রোত এড়িয়ে ছোট মাছ খালের কিনারায় এসে ইত:স্তত নড়ে চড়ে উঠছে।
আমি হেটে হেটে পাহাড়টার গাছ আবৃত দিকটাতে চলে এলাম এবং উপড়ে উঠতে শুরু করলাম। সবুজ বন, ঝরে পড়া পাতাদের আর মাটির গন্ধে বাতাস মাতোয়ারা। কিছু কাঠবিড়ালী আপন মনে খেলা করছিল আমার মাথার উপর। আমার উপস্থিতি ভেঙ্গে দিল চঞ্চলতা, তারা গাছের উপরের ডালে ছুটে পালাল। নিরবতা ভেঙ্গে দিয়ে একটি পাখি চিৎকার করে উঠল আর গাছ ছেড়ে উড়ে চলে গেল।
উপরের দিকে কিছু মৌমাছি গুণ গুণ করে গাছের খোলের ভিতর ঢুকছে আর বেরুচ্ছে।
পাহাড়ের যে দিকটায় গাছ কম, ঘন ঘাসে আবৃত, সেখানে পা ছড়িয়ে আমি বসলাম। পাহাড়ের চুড়া হতে আমি নিচের দিকে তাকাই। দু একটা গরু-বাছুর দেখলাম এখানে সেখানে ঘাস খেয়ে বেড়াচ্ছে। আমি লম্বা হয়ে আকাশের দিকে মুখ করে শুয়ে রইলাম সটান হয়ে মাথাটা একটু উচু ঘাসে ঢাকা মাটিতে।
দু’পায়ের ফাকে দেখলাম নিচে একজন কৃষক কোদালে মাটি কেটে যাচ্ছে অনবরত। তার পাশে ছোট ছোট ঘরগুলো ছবির মতো স্থির সেখানে কোন চলমান দৃশ্য নেই। সূর্য্য আস্তে আস্তে পাহাড়ের নিচে নেমে গেলে আমি চলে এলাম, এতটা পথ হাটার কান্তি ঝেড়ে ক্ষুধার্ত আমি রাতের খাবারের দিকে হামলে পড়লাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।