আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাইকোর্টে গ্রীষ্মের ছুটি কেন?

আদালত, বিচারকক্ষ ও বিচারকদের কক্ষ থেকে শুরু করে বিচারকদের গাড়ি পর্যন্ত সবকিছু যখন সরকারি খরচেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, তখন কেন হাইকোর্টের বিচারকদের গ্রীষ্মের ছুটি উপভোগ করতে হবে?
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ভারতের মাদ্রাজ হাইকোর্টে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলায় (পিআইএল) আজ মঙ্গলবার এ প্রশ্ন তোলা হয়। মামলার বাদী আইনজীবী কে শ্যাম সুন্দর। মামলার আবেদনে বলা হয়, গ্রীষ্মের ছুটি দেওয়া একটি ঔপনিবেশিক অবশেষ। আদালতে যখন কয়েক লাখ মামলা ঝুলে আছে, তখন এ ধরনের দীর্ঘ ছুটি দেওয়ার বিষয়টি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। শ্যাম সুন্দর আদালতকে অনুরোধ করেন, গ্রীষ্মের দাবদাহ এড়ানোর অজুহাতে প্রতিবছরের ১ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত ৩৩ দিনের ছুটি দেওয়ার ঘোষণা বাতিল করা হোক।


শ্যাম সুন্দর বলেন, ‘ব্রিটিশ বিচারকেরা যখন ছিলেন, তখন হাইকোর্টে গ্রীষ্মের ছুটি দেওয়ার চল চালু হয়। কারণ তাঁরা গরম সহ্য করতে পারতেন না। এখন অধিকাংশ উচ্চ আদালত, বিচারকের কক্ষ ও গাড়ি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে গ্রীষ্মের দীর্ঘ ছুটি দেওয়ার বিষয়টি এখন প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। ’
শ্যাম সুন্দর বলেন, হাইকোর্ট এখন বছরে মাত্র ২১০ দিন খোলা থাকে।

এ সময় শুধু জরুরি মামলাগুলো দায়ের করা যায়, কিন্তু আইনজীবীরা চাইলেই মামলা দায়ের করতে পারেন না। অধিকাংশ নিম্ন আদালত গ্রীষ্মে খোলা থাকে। তাই শুধু উচ্চ আদালতকে এ ধরনের সুযোগ দেওয়াটিও অন্যায়। তিনি আরও বলেন, সংবিধানে হাইকোর্টকে যেসব সুবিধা দেওয়া হয়েছে, গ্রীষ্মের ছুটি তার অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই আদালত কোনো বেআইনি সুবিধা নিতে পারেন না।


আগামীকাল বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.