আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নেপাল ভ্রমণ: পর্ব-৫



ভোর সাড়ে চারটায় আমাদের সান রাইজিংয়ের দৃশ্য দেখতে যাওয়ার কথা। চারটার সময় ট্যাক্সি ড্রাইভার রোশান ফোন করল। আমাদের হোটেল কোন গলিতে সেটা চিনতে ওর কষ্ট হচ্ছিল। আমি নিচে নেমে ট্যাক্সিওয়ালাকে খুজতে গেলাম। কয়েকবার ফোনের পর আমাদের হোটেলর সামনে চলে এল গাড়ি।

আমরা গোছগাছ করে মেয়েকে ঘুম ঘুম অবস্থায় তুলে নিয়ে চললাম অন্নপূর্ণা পাহাড়ের ওপর সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখতে। একটু এক্সাইটেড ছিলাম। আবার ভেতরে ভেতরে ভয়ও লাগছিল। বিদেশ বিভূইয়ে চেনা-জানা কেউ নেই। এতগুলো ডলার, নেপালি রুপি, পাসপোর্ট, ক্যামেরা-মূল্যবান সব জিনিসপত্র নিয়ে অন্ধকার থাকতে থাকতে বের হচ্ছি।

বুকের ভেতর অজানা আশঙ্কা। তবু আল্লাহর ওপর ভরসা করে ট্যাক্সিতে উঠলাম। রাস্তায় বেরিয়ে আমাদের ভয় কেটে গেল। দেখলাম আমাদের মতো আরো অনেক পর্যটক সূর্যোদয় দেখতে বের হয়েছে। কেউ জগিং করতে করতে পাহাড়ে উঠছে।

কেউ ট্যাক্সি ও ট্যুরিস্ট বাসে। আমরা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উঠছি তো উঠছিই। পাহাড়ি রাস্তায় এভাবে ওপরে ওঠার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। খাড়া পাহাড়। মনে হচ্ছিল এই বুঝি পড়ে গেলাম।

ট্যাক্সির ভেতরে বসেই অল্প অল্প ভয় পাচ্ছি। এন্ট্রি ফি দিতে হলো পথে ৬০ রুপি। প্রায় ২০-২৫ মিনিট পর আমরা চলে এলাম সূর্যোদয় দেখার ভিউ পয়েন্টে। দেখি আমাদের আগে আরো শ দুয়েক মানুষ এসে জড়ো হয়েছে। অনেক বাঙালি দেখলাম।

আমাদের ভাগ্য ভালোই বলতে হবে। আগের রাতে বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছিল। শঙ্কা ছিল সূর্যোদয় দেখতে পারব কি না। কিন্ত সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে সুয্যি মামা উকি দিল অন্নপূর্ণার শ্বেত শূভ্র চূড়ায়। সে এক দেখার মতো দৃশ্য।

ভারচুয়াল নয় চাক্ষুষ অবলোকন। খুবই ভালো লাগলো। বেশ কয়েকটি ছবি তুললাম। ভিডিও করলাম। এরপর রোদ অনেকটা চড়ে গেলে নিচে নেমে পাশের এক দোকানে চা-কফি খেলাম।

বিল কতো হলো জানেন! ১৯০ রুপি। সাবাশ!!! এরপর আমরা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ভোরের পোখরা দেখতে দেখতে নিচে নামতে লাগলাম। তখনো পাহাড়ি জনপদ জেগে ওঠেনি ভালোভাবে। গৃহস্থ বাড়ির বউরা শুধু নিজেদের উঠোন নিকোতে লেগেছে। আমরা এক সময় সমতলে নামলাম।

আমাদের এবারের গন্তব্য পাহাড়ের ওপরে নির্মিত পিস প্যাগোডা। বাকিটুকু আগামী পর্বে পড়ুন। আগের পর্বগুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন: Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৫ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।