একমুখাপেক্ষি না হয়ে যা কিছু ভাল তা গ্রহন করা উচিৎ...
বাংলাদেশের হুজুগে মানুষের কান্ডকারখানার সমাপ্তি হলো আজ।
বিশ্বকাপ ফুটবল চারবছর আগেও হয়েছিলো। কিন্তু এ বিশ্বকাপের সাথে গতো বিশ্বকাপগুলোর যেনো মিল খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিলো না । একে তো মিডিয়ার প্রচার-প্রসার, অন্যদিকে যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতি এবং প্রযুক্তির ছোঁয়া। এলাকায় এলাকায় বিশেষ করে মিটিং প্লেসগুলোতে বড় পর্দায় খেলা দেখানো, ছোটোখাটো জয় এ মিছিল বের করা এবং শেষ দিকে কোনো দলের পরাজয়েও মিছিল বের হওয়া।
সারাদেশেই যেনো অন্যরকম একটা আমেজ এবং উৎসবমুখর পরিবেশ ।
কতিপয় হুজুগে বাঙালীরা দেশবাসীকে ক্ষনে ক্ষনে বিনোদনও দিয়েছে বটে! ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা তর্কে অনেকেই অনেকের সাথে রেশারেশিতে জড়িয়ে পড়লেও খেলা শেষে আবার সেটা স্বাভাবিক হয়ে যাওয়াটাই ছিলো স্বাভাবিক। এই রেশারেশি অথবা যুক্তি-তর্কের ব্যাপারটাকে অনেকেই উপভোগ করলেও বিরক্ত হওয়া লোকের সংখ্যাও কম ছিলো না! আমি নিজেই একবার বিরক্ত হয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম “কোথায় ব্রাজিল আর কোথায় আর্জেন্টিনা, মানুষের যতোসব পোলাপাইনি কান্ডকারখানা!”
য্ইা হোক, অনেকের কাছেই হয়তো বিশ্বকাপটা আজই শেষ মনে হচ্ছে। এই বিশ্বকাপে খারাপ লাগার মধ্যে অন্যতম হলো আমরা আবারো প্রমান করলাম আমরা হুজুগে এবং আমরা ভবিষ্যতেও তার প্রমান ক্ষনে ক্ষনে দিয়ে যাবো(এখানে উল্লেখ্য যে এই হুজুগে বাঙালীর ভেতর থেকে আমিও আমাকে বাদ দেই না!)। ভব্যিষতেও খেলা দেখতে না পেরে আমরা রাস্তায় ভাংচুর করে নিজেদের সম্পদ নষ্ট করবো।
গাছটার ঐ ডালটার জন্য দেখা যাচ্ছে না প্রজেক্টরের পর্দা? ভেঙে ফেলবো ঐ ডালটা! গাছটার কি হলো, তা দেখার প্রয়োজন আছে কি? আমরা আবারো পতাকা কিনবো এবং তা খুব যতেœ পোড়াব। আমরা কোটি টাকাই পোড়াব! আমাদেরতো টাকার অভাব নেই! সারাদেশে হয়তো পতাকাই বিক্রি হয়েছে কোটি টাকার। বিজয় দিবসেও এতো এতো পতাকা দেখা যায় কিনা সন্দেহ!! কিছু কিছু এলাকায় ঢুকে হয়তো ভুল করে কেউ বলেই ফেলেছেন ‘এটা বাংলাদেশ নাকি আর্জেন্টিনা?’ অথবা ’এটা বাংলাদেশ নাকি ব্রাজিল?’ পতাকার সাইজের ব্যপারটা নাই বা তুললাম।
আবারও খেলার বিবেচনায় সবকিছুই হয়তো মেনে নিবে সবাই। বিশ্বকাপতো আর প্রতিবছর আসে না! চারবছর পর পর আসে।
সুতরাং চারবছর পর আবারও জমবে, কে সেরা? তর্কে এবং যুক্তিতে, ব্লগে অথবা ফেইসবুকে অথবা প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায়। কে সেরা? ব্রাজিল নাকি আর্জেন্টিনা? আবারও মাতিয়ে রাখবে হুজুগে বাঙালীরা দেশটাকে. . . . এবং আবারো হয়তো কাপ নিয়ে যাবে তৃতীয় কোনো দল!!!
মুখে না বললেও সব বাঙালীরাই হুজুগে বাঙালীর কান্ডকারখানা খুবই উপভোগ করে. . . .
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।