শাকিরা আর শুটকি ভর্তা
মনটা আজ বড় ফুরফরে। রঙ্গিন প্রজাপতির মত উড়ে বেডাচ্ছে । উড়বেই তো, উড়বে না কেন?দক্ষিন আফ্রিকা মাতানো শাকিরা এসেছিল আমাদের বাসায়
। প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। হঠাৎ করেই থেমে গেল।
ওমনি শুনতে পেলাম বাইরে প্রচন্ড শব্দ। বেরিয়ে দেখি ওমা একি!আস্ত একটা উড়োজাহাজ নেমে এলো আমাদের উঠুনে। দরজা খুলতেই যা দেখলাম তাতে চক্ষু আমার ছানা বড়া হয়ে গেল। আনন্দের আকষ্মিকতায় বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। কিছু দিন আগে একটা ইমেইল করে দাওয়াত দিয়েছিলাম।
আসবে তাও আবার এত তাড়াতাড়ি ভাবতেই পারি নি। সম্বিত ফিরে পেলাম শাকিরার অমৃত ঝড়া ভূবন ভুলানো হাসিতে। আমিও খুশিতে আটখানা হয়ে বত্রিশ পাটি দাত বের করে বললাম ,"নাইস টু মিট ইউ"। ওমা একি!শাকিরা মুক্ত ঝড়ানো দাতাল হাসিতে বলল "আপনি ভাল আসেন?"
আমিতো অবাক !আমি ড্রইং রুমে বসতে চাইলাও শাকিরা পিড়িটা এগিয়ে নিয়ে বসে পড়ল। বসবেই তো -কারণ বাঙালির রক্ত না? ওর পূর্ব পুরুষরা থাকত টাঙ্গাইলের হাটুভাঙ্গা।
তেতাল্লিশের মনন্তরে কলম্বিয়া চলে গিয়েছিল । ঐ খানে বড় হয়েছে তবে বাঙ্গালিয়ানা ভুলে নি। বলল শুটকি মাছ বড় পছন্দের আর ইলিশ মাছ। দৌড়ে জাল নিয়ে চললাম পুকুরের দিকে। পুকুরটা খনন করেছিলেন আমার দাদার দাদা তার দাদা ।
বিরাট পুকুর ,চার পাড় ঘুরে আসলে একটা গর্ভবতী গাভী প্রশব করে ফেলে। তো স্প্রীট বুট নিয়ে মাঝ পুকুরে গিয়ে জাল ফেলতেই পাঁচটা ইয়া বড় ডিমওয়ালা ইলিশ উঠল। এসে পাটশাক,শুটকি ভর্তা ,ইলিশ ভাজি আর সরষে ইলিশ দিয়ে দুপুরে খেলাম। খেয়েদেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিল। বিকেলে নৌকায় ঘুরবার কথা ছিল।
আর আমাকে ঐ গান শুনানোর কথা ছিল"সামিনা মিনা ওয়াকা ওয়াকা..."কিন্তু কোথা থেকে যেন ফোন আসতেই বলল তাড়া আছে যেতে হবে। তবে কথা দিয়ে গেছে আর একদিন এসে আমাদের বাড়িতে থাকবে। তাই মনটা ফুরফুরে । প্রণে বাজছে "সামিনা মিনা ওয়াকা ওয়াকা...."
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।