সারা বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি লোট শ্বাসনালির সচরাচর সমস্যা_অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়। তাদের ৯০% এরও বেশি অত্যাধুনিক চিকিৎসা পায় না এবং অনেক রোগী মারা যায়। অথচ এ মৃত্যুর ৮০% প্রতিরোধ করা সম্ভব যদি আধুনিক চিকিৎসা ও ডাক্তারের তদারকির মাধ্যমে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেওয়া যায়। অন্যদিকে বয়স্কদের জন্য অ্যাজমা রোগটি খুব ভয়াবহ। কারণ শিশু বা তরুণদের তুলনায় বয়স্করা এ রোগে বেশি কষ্ট পায়।
অ্যাজমা : অ্যাজমা বা হাঁপানি আসলে শ্বাসনালির অসুখ। যদি কোনো কারণে শ্বাসনালিগুলো অতিমাত্রায় সংবেদনশীন হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনায় উদ্দীপ্ত হয় তখন বাতাস চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি হয়, ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
কেন হয় : জেনেটিক পরিবেশগত কারণে কারও কারও বেশি হয়ে থাকে। ঘর-বাড়ির ধুলো ময়লায় মাইট জীবাণু, ফুলের বা ঘাসের পরাগ রেণু, পাখির পালক, জীব-জন্তুর পশম, ছত্রাক, কিছু কিছু খাবার, কিছু কিছু ওষুধ, নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি থেকে এলার্জিজনিত অ্যাজমা হয়ে থাকে।
কাদের হতে পারে : যে কোনো বয়সের স্ত্রী, পুরুষ, শিশু-কিশোর যে কারো হতে পারে।
যাদের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের হাঁপানি আছে তাদের হবার আশঙ্কা প্রবল।
অ্যাজমা কি ছোঁয়াচে রোগ: না, অ্যাজমা ছোঁয়াচে রোগ নয়। পারিবারিক বা বংশগতভাবে অ্যাজমা হতে পারে। কিন্তু ছোঁয়াচে নয়। আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খেয়ে শিশুদের অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
মায়ের সংস্পর্শ থেকেও হওয়ার আশঙ্কা নেই।
উপসর্গ : বুকের ভেতর বাঁশির মতো সাঁই সাঁই আওয়াজ, শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট, দম খাটো অর্থাৎ ফুসফুস ভরে দম নিতে না পারা , ঘন ঘন কাশি,বুকে অাঁটসাট বা দম বন্ধ ভাব, রাতে ঘুম থেকে ওঠে বসে থাকা।
চিকিৎসা : রক্ত পরীক্ষা_ বিশেষত রক্তে ইয়োসিনোফিলের মাত্রা বেশি আছে কিনা তা দেখা। সিরাম আইজিই'র মাত্রা_ সাধারণত এলার্জি রোগীদের ক্ষেত্রে আইজিই'র মাত্রা বেশি থাকে। স্কিন প্রিক টেস্ট_ এই পরীক্ষায় রোগীর চামড়ার উপর বিভিন্ন অ্যালার্জেন দিয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং এই পরীক্ষাতে কোন কোন জিনিসে রোগীর অ্যালার্জি আছে তা ধরা পড়ে।
প্যাচ টেস্ট_ এই পরীক্ষায় রোগীর ত্বকের ওপর করা হয়।
বুকের এঙ্-রে_ হাঁপানি রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা শুরু করার
আগে অবশ্যই বুকের এঙ্-রে করে নেওয়া দরকার। কারণ অন্য কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে
দেখা চিকিৎসকের জন্য জরুরি।
ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাশ
দি অ্যালার্জি অ্যান্ড অ্যাজমা সেন্টার। ফোন: ০১৭২১৮৬৮৬০৬
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।