ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন।
বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন জামাত নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর অবিলম্বে মুক্তি চেয়েছে বিএনপি।
দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এক বিবৃতিতে জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বলেন, ''মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জামায়াতের নেতৃবৃন্দের গ্রেপ্তার করে সরকার দেশে বিরোধীদল শূন্য নব্য বাকশালী ব্যবস্থা পুনঃপ্রর্বতন করতে চায়।
''
বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে নেতৃবৃন্দের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, ''অন্যথায় আপনাদের অপকীর্তির জন্য ভবিষ্যতের পরিণতি থেকে রেহাই পাবেন না। ''
তিনি বলেন, সরকার গণতন্ত্রের বদলে একদলীয় শাসনের উত্তরাধিকার বহন করছে। বিরোধী দল ও মতকে পদদলিত করছে। তাদের নিষ্ঠুর নির্যাতন ও অপকীর্তির বৈধতা দিতে পুলিশ প্রশাসন ও আদালতকেও নির্লজ্জ্বভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তিনজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য না দেওয়ার জন্য দলটির নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি এই পরামর্শ দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানোর মাধ্যমে পুলিশ আইনগত বাধ্যবাধকতা পালন করেছে। তাই এর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য প্রদান আদালত ও আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা, অবজ্ঞা ও অবমাননার সামিল। এ ব্যাপারে ডিএমপি সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।
তাহলে মানে দাঁড়াচ্ছে, সুনির্দিষ্ট মামলায় যারা গ্রেফতার হন তাদের মুক্তি দাবী করা যাবে না। আদালতেই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করতে হবে। বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন নিজে এক জন উকিল। আমার মনে হয় তিনিও বিষয়টি জানেন। তাহলে তিনি কেন বিবৃতি দিতে গেলেন? আইনী লড়াইয়ে যদি উনারা মুক্তি পান সেটাই তো মনে হয় অধিক গ্রহণযোগ্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।