চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ লা মং রোববার বিকালে এ আদেশ দেন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী মো. খোরশেদুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ৩৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেছেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
২০০১ সালের ১০ নভেম্বর খুন হন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় চেমন আরা খাতুন (৫৮)। তার ছেলে অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম সেন্টু চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পিপি।
এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- আবু মোকাররম, শাহ আলম, জোহরা খাতুন, শাহিদুল ইসলাম শাহেদ।
রায়ের সময় তারা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আর যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- মো. আরিফ, মিন্টু দাশ, মোহাম্মদ ইউনুস, জাহাঙ্গীর আলম ও সাইফুল ইসলাম।
এদের মধ্যে ইউনুস ও সাইফুল কারাগারে থাকলেও বাকিরা পলাতক।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, স্থানীয় বৈদ্য আবু মোকাররম ও সহযোগীরা ‘দৈব উপায়ে স্বর্ণের ডেকচি’ পাইয়ে দেয়ার আশা দিয়ে এবং বিপদের ভয় দেখিয়ে সেন্টুর মা চেমন আরার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ও গয়না হাতিয়ে নেয়।
কিন্তু দীর্ঘদিনেও সেই ‘সোনার ডেকচি’ না পাওয়ায় মোকাররমকে টাকা ও গয়না ফেরত দিতে বলেন চেমন আরা। তা না হলে ছেলেকে সব বলে দেয়ারও হুমকি দেন।
এরপর ২০০১ সালের ১০ নভেম্বর মোকাররমসহ আসামিরা চেমন আরাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন চন্দনাইশ উপজেলার বিজি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন বেরুনি বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
চেমন আরার ছেলে অ্যাডভোকেট সেন্টু পরদিন চন্দনাইশ থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ২০১০ সালের ৭ অগাস্ট ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। একই বছর ১৮ অক্টোবর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
মৃতুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে শাহ আলম ও জোহরা খাতুন হত্যাকাণ্ডের শিকার চেমন আরার প্রতিবেশী বলে মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।