ফুলটাইম ক্রুয়েল জোকার, পার্ট টাইম সিরিয়াস
আগের পর্ব এইখানে।
ব্রাজিল আর্জেন্টিনা বড় কথা না। বড় কথা হল দুই দল ই ফুটবল পাগল। এইবার আসেন আমাদের হলে ব্রাজিল - আর্জেন্টিনার উন্মাদনার কিছু ফডুক দেখেন
আজকের পোস্ট টা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার আড্ডাবাজির উপর।
আমাদের শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থাও মনে হয় আর সবার মতোই ।
বিশ্বকাপ জ্বর। কালাজ্বর ও বলা যায়। সবাই আক্রান্ত। তবে কেউ হতাহত না । বিয়াফক আলোন্দিত।
(আনন্দিত+আন্দোলিত)
ক্যাম্পাসের আলোচনা তো একটাই। বিশ্বকাপ। বাকযুদ্ধ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে। সবাই ফুটবল খেলা দেখছে, আড্ডা দিচ্ছে। ঝগড়া হচ্ছে।
হাতাহাতি হচ্ছে। পরক্ষনেই মিলে যাচ্ছে। মধুর সময় পার করছে । যারা দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ বর্ষে পড়ছে তাদের জন্য হয়ত এটাই ভার্সিটিতে পড়াকালিন শেষ বিশ্বকাপ। তাই, আনন্দ, মাতামাতির কোনো কমতি নেই।
আমরা যারা হলে আছি, তাদের মধ্যে ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনার জার্সি নেই, এমন আম পাবলিক খুব কম ই আছে। দূরবীণ দিয়া খুজতে হবে। ব্রাজিল - আর্জেন্টিনার খেলার সময় যারা জার্সি পড়ে টিভি রুমে থাকছে না, তারা যথারীতি চরম ক্ষ্যাত বলে বিবেচিত হচ্ছে সমঝদার (!!!!!!!!) মহলে।
আমাদের উৎপাতে (ফালাফালি দেখে) অন্য দলের সাপোর্টার রা লইজ্জা পাচ্ছে। ।
ইতালি (অলরেডি হার নিশ্চিট কইচ্চে), স্পেন, জার্মানির সাপোর্টার রা তো কইতাছে এমন পুংটামি লাগাইছোছ তোরা, খাড়া অহন কিছু কমুনা। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যাই্ । তারপর ফাডাইয়ালামু।
বিকাল হলে মনে হবে, খাইছে এইডা কই আইলাম মামু(!!!!) । ব্রাজিল-আর্জেন্টিার বাঘা বাঘা সব (সব লেভেলের) ফুটবলার রা মাঠে নেমে পড়তেছে।
লেভেলওয়াইজ খেলা হচ্ছে প্রতিদিন বিকালে । ঐ ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা। জিতলেই আনন্দ মিছিল । হারলে্ও গলাবাজি।
লেডিস হল ও পিছাইয়া নাই।
মেয়েরা পইড়াই হুশ পায় না। তারপর্ও, যে পরিমাণ উৎসাহ দেখতাছি (আহারে, আপুরা, আন্নেরা কই আছিলেন এতোদিন) প্রমিলাদের উৎসাহে বহুত ভুরিওয়ালা ফুটবলার ভাইয়ারা এখন মেসি, কাকা, রোনালদো হইয়া গেছে। নিয়মিত ফুটবল খেলে। আর্জেন্টিনার হইয়া ব্রাজিলের গোলপোস্টে গোল না দিতে পারলে গার্লফ্রেন্ড এর কাছে ইজ্জত পাংকচার খাইয়া যাইবো। ব্রাজিল হইয়া আর্জেন্টিনার জালে বল জড়াইয়া (সাম্বা ফিউশন, ভুড়ি দোলানো নাচ) গোল দিতে না পারলে তারও পেরেসটিস যাইব গা
সব মিলাইয়া বিয়াফক বিনুদুন।
বহুত ফাউ গ্যাজাইছি। ওহন ছবিগুলা দেহেন।
প্রথমেই আমগো ভার্সিটির আর্জেন্টিনা দলের কাপ্তান সাহেব । নিপুন
ব্রাজিলের সমর্থক কোনো পোলা কাপ্তান পোজ দিতে রাজি হয় নাই। তারা নাকি আনইজি ফিল করতাছে।
হেগো নাকি চেহারা মুবরক ক্যামেরায় দাড়ালে সইন্দয্য হয় না। হেগো আনইজি অবস্থা কাটানোর জন্য কাপ্তান পোজ দিল, লেডিস হল থেকে আগত
আমাদের ফাগুন, লেডিস হলের আগুন (থুক্কু ব্রাজিল দলের আগুন)
এইবার মাঝখানে যে হলুদ জার্সি পড়া পোলাডা দেখতাছেন ্ওইডা হইল নির্মল দা। কট্টর আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। মাগার ব্রাজিলের জার্সি গায়ে দিয়া ফড়ুক দিল কেলা বুজবার পারলাম না।
এইবার দেহেন ভাবের দ্বৈরথ
আড্ডার একাংশ।
বাকি গুলারে খুইজা পাই নাই। বাম দিক থেকে ফাগুন, নির্মল দা, আরাফাত, (এইটা জুনিয়র আপু নাম জানি না) , নিপুণ গং, সোনিয়া।
এই ফডুক টা ভালা লাগছে।
কেমুন লাগল ??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।