যে কোন লড়াই শেষ পর্যন্ত লড়তে পছন্দ করি।
ফেসবুক ও বিভিন্ন ব্লগে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, সৌদি আরবে একজন প্রভাবশালী ইমাম ফতোয়া জারি করেছেন যে, নারী পুরুষ একসাথে সহকর্মী হিসেবে কাজ করতে হলে, নারীকে তার পুরুষ সহকর্মীকে বুকের দুধ পান করিয়ে দুধ মা হতে হবে! এবং সেটা বৈধ হবে।
"সৌদি মেয়েদের অনাত্মীয় পুরুষদের বুকের দুধ খেতে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ফতোয়া দিয়েছেন সৌদি রয়্যাল কোর্টের উপদেষ্টা এবং আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক শেখ আল ওবেইকান । টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেছেন, যে মেয়েরা নিয়মিত অনাত্মীয় পুরুষের সংস্পর্শে আসেন তাদের উচিৎ ওইসব পুরুষদের তাদের বুকের দুধ খেতে দেওয়া। "
সূত্র: http://taiyabs.com/2010/06/28382
পোষ্ট করেছেন: Taiyab A. K. Sheikh
(এই সব খবর সৌদি পত্রিকাসহ লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকাতেও এসেছে।
সৌদি আরবে বসবাসরত আমার পরিচিত জনরাও সংবাদটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। )
গাড়ীর ড্রাইভারকে বুকের দুধ খাইয়ে তার "দুধ মা" বনে গেলে তখন তার সাথে একা একা গাড়ীতে ভ্রমন করা যাবে। কারণ সৌদি আরবে দুধ মাতাকে রক্তের সম্পর্কীয় আত্মীয়ের পর্যায়ে গণ্য করা হয়।
শিশুকে দুধ দিয়ে দুধ মা হওয়া বিশ্বের অনেক দেশে প্রচলিত আছে। তাই বলে পুর্ণ বয়স্ক পুরুষ সহকর্মীকে দুধ খাওয়ানো!!! এইসব চিন্তা এমাত্র সৌদিদের মাথায় আসাই সম্ভব!!! অবশ্য স্তনে মুখ লাগিয়ে দুধ খেতে হবে একথা সৌদি ইমাম বলেননি।
বলেছেন আর এক মিসরীয় ইমাম। কিন্তু দুগ্ধ দানকারী পশুর মত নারীকে দোহন করে তার দুধ খেতে হবে এ কোন সভ্য মানসিকতা?
ইসলামে ২.৫ (আড়াই) বছরের উপরের কোন মানুষের মাতৃদুগ্ধ পান করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। তা সে সরাসরি হোক আর দোহন করে পাত্রে মুখ দিয়ে হোক।
মিসরের একজন তো সরাসরি খেতে বলেছেন। ফেসবুকে কাজী মামুনের একটি কমেন্ট থেকে জানলাম--"Kazi Mamun: In May 2007 Dr. Izzat Atiyya, lecturer at Cairo's Al-Azhar University, issued a fatwa that suggested that male and female colleagues could use breastfeeding to get around a religious ban on being alone together. The fatwa said that if a woman fed a male colleague "directly from her breast" at least five times they would establish a family bond and thus be allowed to be alone together at work. "Breast feeding an adult puts an end to the problem of the private meeting, and does not ban marriage," he ruled. "A woman at work can take off the veil or reveal her hair in front of someone whom she breastfed."
এ প্রসঙ্গে কাজী মামুন ফেস বুকে লিখেছেন, "বাংলাদেশের অজপাড়া গাঁর একজন কাটমোল্লার ধর্মচিন্তা আর মিসরের আল আজহার ইউনি কিংবা মদীনা ইউনি থেকে বেরিয়ে আসা ইসলামিক স্কলারের ধর্মচিন্তা কি এক?" আমি বলবো এক, কারণ দুজনেই ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আছেন।
একজন বাংলায় হিল্লা বিয়ের প্রচলন করেন আরেকজন পুরুষ সহকর্মীকে নারী সহকর্মীর বুকের দুধ পানের ফতোয়া দেন। দুটোই বিকৃত যৌনতারই প্রতিফলক। "
আগে তো হেরেম দাসী বান্দী নিয়ে ওরা ভালই ছিল। এখন সুন্ন্দরী মহিলারা ধীরে ধীরে বিভিন্ন পেশায় যোগ দিচ্ছে। আসছে বিদেশী/প্রবাসী আকর্ষণীয় সব নারী কর্মীরা।
এখন পাপিষ্ঠরা তাদের সাথে ফষ্টি-নষ্টি করার উপায় বের করার চেষ্টা করছে। মনের মত ও ইফেক্টিভ হলে শরিয়া আইনে পাশও হয়ে যাবে।
সৌদি রাজতন্ত্র হচ্ছে জন্ম থেকেই অবৈধ কাজ আর লাম্পট্যে ভরা। ওদের ভিতরের খবর আমরা খুব কম জানি। ওদের দ্বারা অনেক কিছু সম্ভব।
(সৌদি রাজতন্ত্রের ইতিহাস খুব বেশী দিনের পুরাতন নয়। আগে এদের কোন অস্তিত্ব ছিল না। মহানবী (সঃ) এর বংশধর ছিল হাশেমীয় শাসক/রাজারা। তাদের রাজ্যের মধ্যে বর্তমান জর্ডান, ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, প্রভৃতি দেশ ছিল। সৌদিরা মূলতঃ বেদুঈন।
বৃটিশরা হাশেমীয়দেরকে দুর্বল করার জন্য সাহায্য সহায়তা দিয়ে এই বেদুঈন সর্দারকে দিয়ে হাশেমীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘটিয়ে "সৌদি আরব" প্রতিষ্ঠা করে। এই ভাবেই সৌদি আরব এবং সৌদি রাজতন্ত্রের জন্ম। যে কৃতজ্ঞতার কারণে, সৌদি রাজারা ১৯৪৯ সালে ফিলিস্তিন যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সাহায্য না করে বৃটিশ আনুগত্য নিয়ে দুরে বসে তামাশা দেখেছিল। )
ওদের বর্তমান আইনে কোন পুরুষ অনাত্মীয় কোন নারী বা মেয়েকে একা পেলেই নির্ঘাত ধর্ষণ করবে। কারণ, ওদের আইনে ধর্ষণকারীর কোন বিচার হবে না।
বরং ঐ নারী বা মেয়ে পুরুষ আত্মীয়কে সাথে না নিয়ে একা কেন বাইরে গিয়েছে তার বিচার হবে। ঐ নারীকে দোররা মারা হবে, কিংবা মাটিতে অর্ধেক পুতে পাথর মারা হবে। (এ বিষয়ে ২০০৮-০৯ সালের সেই বিখ্যাত মামলাটির কথা স্মরণ করুন, যেখানে একজন নারীকে থানার পুলিশ একা পেয়ে ধর্ষণ করেছিল। কিন্তু সেই মামলায় ধর্ষিত নারীকে শাস্তি দিয়েছিল সৌদি আদালত এবং ধর্ষিতা নারীর পক্ষে উকিল ছিলেন যে মহিলা তার ওকালতি লাইসেন্স বাতিল করা হয়ছিল। পরে বিশ্ব ব্যাপী প্রতিবাদের ঝড়ের মুখে সৌদি রাজা নিজেই শাস্তি মওকুফ করে দিয়েছিলেন।
ধর্ষিতা মেয়েটির নাম কখনও প্রকাশ করা হয়নি সামাজিক কারণে। এই রকম ঘটনার উদাহরণ অনেক আছে)।
ওরা কেমন তা জানতে হলে সরকারী ভাবে বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে গৃহকর্মী হিসেবে কয়েক শত নারী ভিডিপি সদস্যকে পাঠানোর পর প্রথম তিন মাসের মধ্যে যে ৩৬ জন ফিরে এসেছিল তাদের মর্মান্তিক কাহিনী ভরা জবানবন্দী শুনুন!
শুধু ইসলামী রাষ্ট্র বা সংবিধানে বিসমিল্লাহ লাগালে হয় না। আমাদের ঢাকা শহরে প্রতি রাতে হোটেলে হোটেলে এবং নানান জায়গায় হাজার হাজার নারী (এমন কী ছোট্ট ছোট্ট কন্যা শিশু) দেহ দান করছে। তারা তো দান করছে, কিন্ত গ্রহণ করছে কারা? তারা নামাজ পড়ে কোন মসজিদে? ঈদের জামাত করে কোথায়? ধিক এইসব লম্পটদেরকে!!!
সৌদি আরবে ৭০ বছর বয়সের একজন বৃদ্ধাকে দোররা মারা এবং জেল দেয়া হয়েছে কারণ তিনি নিকট সম্পর্ক নয় এমন দুজন পুরুষকে রূটি খাইয়েছেন! লিংকটি দেখুনঃ
Click This Link
এই যাদের আইন তারা সাবালক হবার পরও সহকর্মী নারী এবং পরনারীর দুধ খাবার ধান্দা বের করবে না!!!!!
(বিভিন্ন কমেন্টের কারণে আট দফা সম্পাদিত ও সংযোজিত)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।