আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু মানবীয় অনুভূতির সাথে সময়কাল

পতন আবশ্যক ...............
কিছু মানবীয় অনুভূতির সাথে সময়কাল বিশ্বাস বিশ্বাস বলতে সাধারণতঃ পারিপার্শ্বিক বস্তুসমূহ ও জগৎ সম্পর্কে ব্যক্তির স্থায়ী প্রত্যক্ষণকৃত ধারনা (উপলব্ধি) বা জ্ঞান এবং তার নিশ্চয়তার উপর আস্থা বোঝানো হয়। কিন্তু সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, জ্ঞানতত্ব(এপিস্টেমিওলজি – দর্শনের শাখা যাতে “জ্ঞান” কালে বলে এই সব নিয়ে আলোচনা হয়) ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্বাস শব্দটি বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে খানিকটা আলাদা অর্থ বহন করতে পারে, তাই জ্ঞান, সত্য, ইত্যাদির মত বিশ্বাসেরও কোন একটি সর্বজনসম্মত সংজ্ঞা নেই। কোন বিষয় সত্য না মিথ্যা তা বিচার করে - সত্য মনে করলে তা "বিশ্বাস করা" হল, মিথ্যা মনে হলে অবিশ্বাস করা হল আর মিথ্যা হবার সম্ভাবনা বেশী মনে হলে সন্দেহ করা হল (সন্দেহ অর্থাৎ বিশ্বাসের অভাব)। বিশ্বাস মানে হতে পারে আস্থা (trust), ভরসা (faith) বা বিশ্বাসের দৃঢ়তা (বিশ্বাস যত বেশী সন্দেহ তত কম) যা খুব বেশী হলে তাকে বলা যায় ভক্তি বা অন্ধবিশ্বাস। আবার বিশ্বাস মানে হতে পারে আশা (hope) বা আশ্বাস (assurance) বা বিশ্বাস করার ইচ্ছা (willingness to trust)।

বিশ্বাস হতে পারে কোন বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ অনুভুতির সচেতন অনুধাবন; বা কোনো তথ্য (information) বোধগম্য হওয়া; এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে যাচাই করার পর এই বোধের নিশ্চয়তা সম্বন্ধে প্রত্যয় বা প্রতীতি জন্মালে (সত্য বলে স্থায়ী ধারণা) হলে তাকে জ্ঞান (knowledge) বলা যায়। পর্যবেক্ষণের উপর যুক্তির (ও পূর্বলব্ধ জ্ঞানের) সাহায্যে বিচার (ডিডাক্সন) করে কোন বিষয় সত্য বলে সিদ্ধান্ত নিলে তা থেকে নতুন জ্ঞান জন্মায়। এইভাবে মনের মধ্যে উপলব্ধ সত্যগুলিকে জুড়ে যে তত্বের জাল বোনা হতে থাকে তাদের বিষয়বস্তুগুলি সামগ্রিকভাবে হল জ্ঞান আর তাদের গ্রহণযোগ্যতার সচেতন অনুমোদন হল বিশ্বাস। জ্ঞানের বিশেষত্ব হল শুধু পূর্বের অভিজ্ঞতাই নয় ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি ও অজ্ঞাত পরিস্থিতি সম্বন্ধেও এর দ্বারা (ইন্ডাক্সন) ভবিষ্যৎবাণী করা সম্ভব ও সেই ভবিষ্যৎবাণীর সাফল্য বিশ্বাসকে বজায় রাখে। জ্ঞানের গভীরতা, ব্যাপ্তি ও বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাকে প্রয়োগ করে ভালো ফল লাভের সম্ভাবনার উপর নির্ভর করে জ্ঞান ক্ষেত্রবিশেষে বিচক্ষণতা, প্রজ্ঞা(wisdom) বা দূরদৃষ্টি (insight) ইত্যাদি হিসাবে পরিগণিত হতে পারে।

বিশ্বাস হতে পারে একজনের ব্যক্তিগত কষ্ট কল্পনা। যেমন সিজোফ্রেনিয়ার রোগীরা অনেক কিছু দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করে থাকে এবং তার বিরুদ্ধে প্রমাণ দেখালে সেই বিশ্বাস আরো বদ্ধমূল হয়ে যেতে থাকে। এই ধরণের ভিত্তিহীন বা যুক্তির অতীত বদ্ধমূল অন্ধবিশ্বাসকে বলে ডিলিউসন (delusion)। আবার বিশ্বাস হতে পারে কোন জনতার সম্মিলিত জনমত। যেমন নানা ধরণের ধর্মবিশ্বাস।

বিশ্বাসের সঙ্গে মূল্যবোধ ও ভালোমন্দ বিচারও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কোন কিছুকে ভালো বলে বিশ্বাস না হলে তাকে খারাপ বলেই সন্দেহ হবে। সন্দেহ (বিশ্বাস করার অনিচ্ছা) খুব জোরালো হলে এবং অন্যান্য চিন্তাকে আচ্ছন্ন করে দিলে তাকে বলে প্যারানোইয়া, যার বিশেষণ হল প্যারানয়েড। সিজোফ্রেনিয়ার চারটি প্রধান ধরণের মধ্যে প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়া একটি। অনুভূতি দেহে বা মনে সংবেদন সৃষ্টি হওয়াকে বলা হয় অনুভূতি।

অনুভূতি শারীরিক ও মানসিক দুই ধরনের হয়। স্পর্শের দ্বারা ঠাণ্ডা, গরম কিংবা ব্যাথা, আরামের অনুভব করা শারীরিক অনুভূতির মধ্যে পড়ে। মনের আনন্দ, ব্যাথা-বেদনা, হতাশা, ভালোবাসা ইত্যাদি মানসিক অনুভূতির উদাহরণ। অনুভূতি, মনোবিজ্ঞানে অন্যতম বিতর্কিত প্রসংগ হিসেবে দার্শনিক ও চিন্তাবিদদের মাঝে বহুবার আলোচিত হয়ে এসেছে। মানসিক অনুভূতি তীব্রতাভেদে অনেক সময় শারিরীক অনুভুতির উৎস হয়ে থাকে।

স্বপ্ন স্বপ্ন মানুষের একটি মানসিক অবস্থা, যাতে মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় বিভিন্ন কাল্পনিক ঘটনা অবচেতনভাবে অনুভব করে থাকে। ঘটনাগুলি কাল্পনিক হলেও স্বপ্ন দেখার সময় আসল বলে মনে হয়। অধিকাংশ সময়ই দ্রষ্টা নিজে সেই ঘটনায় অংশগ্রহণ করছে বলে মনে করতে থাকে। অনেক সময়ই পুরনো অভিজ্ঞতার টুকরো টুকরো স্মৃতি কল্পনায় বিভিন্ন ভাবে জুড়ে ও পরিবর্তিত হয়ে সম্ভব অসম্ভব সব ঘটনার রূপ নেয়। স্বপ্ন সম্বন্ধে অনেক দর্শন, বিজ্ঞান, কাহিনী ইত্যাদি আছে।

স্বপ্নবিজ্ঞানের ইংরেজি নাম Oneirology। কিছু স্বপ্নবিজ্ঞানীর মতে নিদ্রার যে পর্যায়ে কেবল আক্ষিগোলক দ্রুত নড়াচড়া করে কিন্তু বাকি শরীর শিথিল (সাময়িকভাবে প্রায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত) হয়ে যায় সেই আরইএম (র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট স্লীপ) দশায় স্বপ্ন হয়। কিন্তু এই বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে। স্বপ্ন হল ধারাবাহিক কতগুলো ছবি ও আবেগের সমষ্টি যা ঘুমের সময় আমাদের মনের মধ্যে আসে। এগুলো আমাদের কল্পনা হতে পারে, অথবা আমাদের অবচেতন মনের কথাও হতে পারে।

সাধারনতঃ আমরা অনেক স্বপ্ন দেখি। তবে সবগুলো মনে থাকে না। আর সময় হলো সময় সম্বন্ধে একাধিক স্বতন্ত্র মতবাদ রয়েছে। একটি মতানুসারে সময় মহাবিশ্বের মৌলিক কাঠামোর একটি অংশ যেটি একটি বিশেষ মাত্রা এবং যেখানে ভৌত ঘটনাসমূহ একটি ক্রমধারায় ঘটে। এটি বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি যা আইজ্যাক নিউটনের তত্ত্বসম্মত।

এই মতানুসারে সময় একটি ভৌত রাশি, যা পরিমাপযোগ্য। লক্ষ্য করুন পাঠক মান্যবর - ইহা একটি কপি পেস্ট টাইপ পোস্ট, কিছূই মৌলিক নহে, মূলত বিজ্ঞানের অপ্রচলিত কিন্তু কৌতূহলী সব বিষয় এর প্রাথমিক কথা উল্লেখ থাকবে। মাফ করিবেন মহাপুরুষেরা, আমার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। এর ট্যাগ থাকবে - অন্য ধারার বিজ্ঞান
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।