সামহোয়ারইন ব্লগে নিজের নিক রেজিস্ট্রেশন করতে পেরে আনন্দিত। সব ভাল আমার আপন, সব খারাপ আমার পর......সবাইকে শুভেচ্ছা। শ্যামল বাংলা।
বোটানিক্যাল গার্ডেনের বেহাল অবস্থা
বোটানিক্যাল গার্ডেন বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যান। এই উদ্যানের মূল আকর্ষণ গোলাপ, ক্যাকটাস, অর্কিড বাগান।
কর্তৃপক্ষীয় অবহেলায় গোলাপ, অর্কিড, ক্যাকটাস সব বাগানই প্রায় মৃত। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এবং বিদেশ থেকেও পর্যটক আসেন এই গার্ডেন দেখার জন্য। জাতীয় উদ্যানের এই হাল পর্যটকদের হতাশ করে।
এক সময় এখানকার গোলাপ বাগান পুষ্পপ্রেমিকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় ছিল। অবহেলায় বেশ নামকরা গোলাপ জাতগুলো মারা গেছে আর সেগুলো বেঁচে আছে তাদের হালও করুণ।
অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত নতুন গোলাপ জাত তৈরি এবং সংরক্ষণে অনেক এগিয়ে। সেখানে আছে ৪০০০ জাতের গোলাপ গাছ। আর বাংলাদেশে আছে ১০০ গোলাপের জাত। বোটানিক্যাল গার্ডেন গোলাপের চারা বিক্রি করে, দাম ২০ টাকা। এক জরিপে জানা যায়, সারাদেশে গোলাপ চারার চাহিদা প্রতিবছর ১০ লাখের ওপরে।
নতুন গোলাপের জাত এলে এই চাহিদা ২০ লাখে গিয়ে দাঁড়াবে। এ গার্ডেন প্রতিবছর ২ লাখ চারা করে ৩০ টাকা দামে বিক্রি করলে বছরে আয় হবে ৬০ লাখ টাকা। প্রবেশ টিকেট মূল্য, গোলাপ ফুল, চারা ইত্যাদি বিক্রি করে এই উদ্যান থেকে বছরে ৩ কোটি টাকা আয় সম্ভব। সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে অনেক বেশি উদ্বৃত্ত থাকবে।
প্রাইভেট নার্সারিগুলোর মধ্যে বরিশাল নার্সারি, কাঞ্চন নার্সারি সাভার কলমা খুবই নামকরা।
তারা স্বল্প পরিসরে অতিকষ্টে নতুন জাত সংরক্ষণ এবং প্রতিবছর ২ লাখ করে গোলাপ চারা বিক্রি করছে। জায়গার অভাবে মাদার গাছ কম থাকায় চাহিদা অনুযায়ী চারা দিতে পারছে না। যেখানে বরিশাল কাঞ্চন নার্সারি গোলাপচারা তৈরির কাজ শুরু করে অক্টোবর থেকে, সেখানে বোটানিক্যাল গার্ডেনে চারা তৈরির কাজ শুরু হয় জানুয়ারি থেকে। কাঞ্চন বরিশাল নার্সারি ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে চারা বিক্রি শুরু করে। শীতের শুরুতেই চারা টবে লাগাতে পারলে শীতেই চারা বড় হয়ে যায়।
বোটানিক্যাল গার্ডেন মার্চের আগে চারা বিক্রি করতে পারে না। শীতের শেষে গোলাপ চারা লাগালে সেই চারা ভালো হয় না। যেখানে বিডিআর, কাঞ্চন, বরিশাল নার্সারির চারা বিক্রি প্রায় শেষ, সেখানে এই উদ্যান চারা তৈরি মাত্র শুরু করলো তাও ১০ হাজারের ওপরে হবে না। এই হলো বোটানিক্যাল গার্ডেনের হাল। এর ভার এমন ব্যক্তিকে দেয়া উচিত, যিনি কৃষিবিদ।
প্রয়োজনে এই উদ্যানকে ব্যক্তি মালিকানাধীনে দেয়া যায় কি না সেটাও ভেবে দেখা যেতে পারে। পরিশেষে বোটানিক্যাল গার্ডেনকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরবং সকল সচেতন নাগরিকদের সহযয়গীতার হাতবাড়াতে হবে-নাহলে বোটানীক্যাল উদ্যাণ মরুভুমিতে পরিনত হতে বেশী সময় লাগবেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।