!!
আমার অসুখবিসুখ তেমন একটা হয় না। বড়জোর বছরে একেকবার দুয়েকদিনের জন্য সর্দিজ্বর। তবে যে কয়েকবার ক্লিনিকে যেতে হয়েছে তার বেশীরভাগ সময়ই পড়তে হযেছে ঝামেলায়।
চার মাস আগের কথা কয়েকদিন ধরে শরীর দুর্বল লাগছে মাথাটাও ঘোরাত। ঐসময় হঠাৎ করেই আমার ওজনও বেড়ে গিয়েছিল।
আমার এক মেডিক্যাল পড়ুয়া ফ্রেন্ড বলল, দোস্ত তুই কখনও তোর ব্লাড সুগার চেক করেছিস?
না বললে সে বলল তুই rbs চেক করা। ওর কথা মত আমাদের জেলাশহরের এক ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে rbs টেস্ট করলাম। রিপোর্ট আনতে যাওয়ার সময় কাউন্টারে যে মেয়ে বসেছিল সে রিপোর্টটি দেখে বলল ভাইয়া, পেশেন্ট কে?
আমি বললাম কেন আমি নিজেই।
সে একটু উৎকন্ঠা নিয়ে বলল, ভাইয়া রিপোর্টটিতে সম্ভবত ভুল হয়েছে। এমন রেজাল্ট তো আসার কথা নয়।
তার অস্বস্তি দেখে রিপোর্টটি হাতে নিয়ে দেখলাম লেখা ২.৫মিলিমোল। ব্যাপারটি আমি ঠিক বুঝলাম না আমার ফ্রেন্ডকে ফোন করে বলতেই সে বলল কি বলিস তুই ২.৫ এর মানে বুঝস। এমন আসলে তুই এতক্ষন বিছনায় থাকতি। তুই নতুন করে টেস্ট করা। যাই হোক নতুন করে আরেকটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করার পর রিপোর্ট এল ৪.৬।
দেখেন কান্ড!তবুও ভাবি আল্লাহ বাচাইছে যদি ts চেক করতে গিযে এমন উল্টাপাল্টা রিপোর্ট আসত তবে লজ্জায় ওখানেই ফাসি নিতে হত।
গত বছরের মার্চ এর কথা। বারভেল নেওয়ার সময় খুট করে ডানকাধে শব্দ হলো। সাথে অসহ্যকর ব্যাথা। বুঝলাম ২য়বারের মত সোলডার ডিসলোকেট হয়েছে।
ব্যায়াম ট্যায়াম সব বন্ধ। মাসদুয়েক পর ঠের পেলাম ডানহাত শুকিয়ে যাচ্ছে। একইসাথে জোরও কম পাচ্ছি। আমাদের দেশের সেরা নিউরোলজিস্ট দ্বীন মোহাম্মদ স্যারকে দেখালাম। উনি mri, ncs ও emg
করার জন্য বললেন।
দেশের অন্যতম ডায়াগনষ্টিক ইবনে সীনায় গেলাম পরীক্ষা করাতে। ncs করালেন একজন সহযোগী অধ্যাপক। তিনি আবার মেডিকেলের সর্বোচ্চ ডিগ্রি mdর অধিকারী। নাম বলে উনাকে লজ্জা দিতে চায় না। রিপোর্ট নিয়ে দ্বীন মোহাম্মদ স্যারের কাছে এলাম।
উনি রিপোর্ট দেখেই বলল, এ রিপোর্টে ভুল আছে। আমি রিপোর্ট দেখব না। সমস্যা কি বলতেই উনি বলল, তোমার ডানহাতে সমস্যা না?
হু।
কিন্তু উনি রিপোর্টে লেখেছেন(this electrophysiologic findings are consistent with chronic left brachial plexopathy) এতবড় ভুল যেখানে সেখানে অন্য ভুলও থাকতে পারে। তুমি অন্য কোথাও করাও।
কি আর করা ncs এর মত কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল টেস্ট আমার আবারও করতে হলো ঐ ডাক্তারের ভুলের জন্য।
আমরা যখন রোগাক্রান্ত হয় তখন শুধু শাররিকভাবেই নয় মানসিকভাবেও অসুস্থ্য থাকি। তখন আমরা ক্লিনিক বা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা আশা করি। এদেশের ক্লিনিকগুলো রক্তচোষা টাকা টানে, ব্যবহারের কথা বলাই বাহুল্য তার উপর যদি এমন সব কান্ড করে তখন কেমন লাগে বলেন দেখি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।