অসম্ভব প্রিয় একজন লেখক সত্যজিৎ রায়। তাঁর লেখা ফেলুদা আর প্রফেসর শঙ্কু পড়ে ছোটবেলায় ঘুমোতে যেতাম। নিউ মার্কেটে গেলেই বইয়ের দোকানে খুঁজতাম তাঁর বই। মনে আছে দুই ভাই বোন দুপুরের ঘুম মাটি করে একটার পর একটা ফেলুদা রহস্য শেষ করতাম।
যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন বাসার স্যার প্রথম পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল বিজ্ঞানী প্রফেসর শঙ্কুর সাথে।
ভেবে অবাক হই যে কত বছর আগে লেখা, কিন্তু প্রফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর প্রতিটা কাহিনী কি টান টান উত্তেজনায় ভরপুর। প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরী পড়তে পড়তে যেন হারিয়ে যেতাম কোন কল্পজগতে।
সত্যজিত রায়ের ছোটগল্প এক সময় প্রচুর পড়েছি। বইয়ের পাতায় তাঁর আঁকা ছবিও থাকত। কিছু ছবি দেখে দেখে নিজে আঁকার চেষ্টাও করতাম।
ভাবতাম, একটা মানুষ এত প্রতিভাবান হয় কি করে? গত বছর দেশে গিয়ে ধূলোমলিন ছোটগল্পের বইগুলো শেলফ্ থেকে নামিয়ে আবারও পড়েছিলাম।
তাঁর তৈরী পথের পাঁচালী দেখেছিলাম কোন এক সময়। ছোটবেলায় দেখা বলে গল্পের তেমন কিছুই আর মনে নেই। মনে আঁকা আছে শুধু দূর্গা আর তার ছোট ভাইয়ের কিছু চিত্র।
অনেক দিন বই পড়া হয়না।
ভাল একটা অভ্যাস ছিল, কিন্তু সেটি হারাতে বসেছি। আবারও সুযোগ হলে পড়বো সত্যজিতের ফেলুদা অথবা প্রফেসর শঙ্কু।
সত্যজিত রায়ের ছবিঃ সৌজন্যে উইকিপিডিয়া
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।