আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজয়ী ৫৫ ওয়ার্ড কাউন্সিলর

দেশকে ভালবাসা

বিজয়ী ৫৫ ওয়ার্ড কাউন্সিলর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণা সন্ধ্যা ৬টার দিকে শেষ হয়েছে। এরপর ১৪টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বন্দরনগরীর এই নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার সমাপ্তি টানা হয়। বিজয়ী সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলররা হলেন- ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলীর মো. শাহজাহান (৭১৭২ ভোট), ২ নম্বর জালালাবাদের ফরিদ আহমেদ চৌধুরী (৫১৪৪), ৩ নম্বর পাঁচলাইশের শফিকুল ইসলাম (৮৩৪২), ৪ নম্বর চান্দগাঁওয়ের মাহবুবুল আলম (১৫২৬৬), ৫ নম্বর মোহরার মোহাম্মদ আজম (৭৮৮৯), ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহরের মো. হাসান লিটন (৭৪৪১),৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহরের এস এম ইকবাল হোসেন (১১৮৪৪), ৮ নম্বর শুলকবহরের শামসুজ্জামান হেলালী (৬০৪৮), ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলীর আবদুস সাত্তার সেলিম (৯৪১৬), ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলীর নিছার উদ্দিন (৯৭৫৩), ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলীর মোরশেদ আক্তার চৌধুরী (৫৫৩৪), ১২ নম্বর সরাইপাড়ার বাবুল হক (১১৫৫৪), ১৩ নম্বর পাহাড়তলীর মাহফুজুল আলম (১১২৭৫), ১৪ নম্বর লালখান বাজারের আবুল ফজল কবীর আহম্মদ (৮৬৮৬), ১৫ নম্বর বাগমনিরামের মো. গিয়াস উদ্দিন (৯৩৮৮), ১৬ নম্বর চকবাজারের সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু (৫০৪৫), ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়ার একেএম জাফরুল ইসলাম (১১৮০৯), ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়ার মোহাম্মদ তৈয়ব (৫৭৭৯), ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়ার ইয়াছিন চৌধুরী আছু (৬২৪৭), ২০ নম্বর দেওয়ান বাজারের চৌধুরী হাসান মোহাম্মদ হাসনী (৮৭৩৪), ২১ নম্বর জামালখানের বিজয় চৌধুরী কিষাণ (৫১৬৯), ২২ নম্বর এনায়েত বাজারের আবদুল মালেক (৫৩৮৮), ২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলীর নিয়াজ মোহাম্মদ খান (৩৮৯৮), ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রবাদের সিরাজুল ইসলাম (১১৭৪০), ২৫ নম্বর রামপুরের আবদুস সবুর লিটন (৫০৮০), ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহরের মোহাম্মদ হোসেন (৭৮৪২), ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদের মো. সেকান্দার (১২৫৪০), ২৮ নম্বর পাঠানটুলীর নজরুল ইসলাম বাহাদুর (৮২৫৬), ২৯ পশ্চিম মাদারবাড়ির শহীদুল ইসলাম (৫৬৯৩), ৩০ পূর্ব মাদারবাড়ির জহির আহম্মদ চৌধুরী (৫৭৩৩), ৩১ আলকরণের দিদারুর রহমান (৪১১৪), ৩২ আন্দরকিল্লার জহরলাল হাজারী (৫১৮০), ৩৩ ফিরিঙ্গীবাজারের- জহিরুল আলম দোভাষ (৭৭৫৩), ৩৪ পাথরঘাটার মোহাম্মদ ইসমাইল (৪৯৪৭), ৩৫ বক্সিরহাটের হাজী মো. নুরুল হক (৪৯২৭), ৩৬ গোসাইলডাঙ্গার জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (৮৭৬৪), ৩৭ উত্তর মধ্যম হালিশহরের হাসান মুরাদ (৭১৪৬), ৩৮ দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরের গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী (৯৮৪০), ৩৯ দক্ষিণ হালিশহরের সরফরাজ কাদের (১৮২০৫), ৪০ উত্তর পতেঙ্গার আবদুল বারেক (৬৩৩৭) ও ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গার নুরুল আবছার (১১৭২২)। সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচিতরা হলেন� সংরক্ষিত- ১ এর ফেরদৌস বেগম মুন্নী (২৭২২৩ ভোট), সংরক্ষিত- ২ এর জোবায়রা নার্গিস খান (৩০০৫৫), সংরক্ষিত- ৩ এর জাহানারা বেগম (২১৬৪৩), সংরক্ষিত- ৪ এর আরজু শাহাবুদ্দিন (২৫৯৯৯), সংরক্ষিত- ৫ এর মনোয়ারা বেগম মনি (২৩০৮৬), সংরক্ষিত- ৬ এর শাহেদা কাশেম সাথী (২১২০১), সংরক্ষিত- ৭ এর আঞ্জুমান আরা বেগম (১৮১৩৯), সংরক্ষিত- ৮ এর রেখা আলম চৌধুরী (১৬৭৩৬), সংরক্ষিত- ৯ এর রেহানা বেগম রানু (৪৫৪২০), সংরক্ষিত- ১০ এর ফেরদৌস আরা তাহের (২৩৭১৭), সংরক্ষিত- ১১ এর জান্নাতুল ফেরদৌস (১৪৩৫৮), সংরক্ষিত- ১২ এর আফরোজা কালাম (২৫৮২৩), সংরক্ষিত- ১৩ এর লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী (২১৯৭৭) এবং সংরক্ষিত- ১৪ এর শাহনূর বেগম (৪৬৬৮৩)।

শুক্রবার বিকাল ৪টার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার অস্থায়ী কার্যালয় চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মিলনায়তনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন। নির্বাচনে ৪১টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৯ জন এবং ১৪টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর আগে সকালে এখান থেকে মেয়র নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তখন বলা হয়, বিকাল ৩টার দিকে নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করা হবে। মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বিএনপি সমর্থক চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের প্রার্থী এম মনজুর আলমের কাছে ৯৫ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।

সিসিসির সর্বশেষ তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ লাখ ৯৪ হাজার ৯৫৫। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। সময় বাড়ার সঙ্গে ভোট কেন্দ্রগুলোয় ভোটার সংখ্যা বাড়তে থাকে। এদের মধ্যে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

এই নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে দেশে প্রথমবারের মতো ই-ভোট চালু হয়েছে। মহানগরীর জামালখান রোড এলাকার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটাররা পছন্দের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীকে ব্যালট পেপারে নয়; ইলেকট্রনিক মেশিনে সাটানো প্রতীকের পাশে বোতাম টিপে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনী এলাকায় সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ২০ হাজার সদস্য নিয়োজিত আছে। নির্বাচনে একটি অস্থায়ী কেন্দ্রসহ মোট ভোট কেন্দ্র ছিলো ৬৭৪টি; ভোট কক্ষ ৪ হাজার ৭৪৮টি। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ছিলেন ১৪ হাজার ৯১৮ জন।

এর মধ্যে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ৬৭৪ জন, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ৪৭৪৮ জন এবং পোলিং কর্মকর্তা ৯৪৯৬ জন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।