আজ সংবাদপত্রে গণশত্রু মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করে ১৫ সম্পাদকের প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে আমরা যুগপৎ বিস্মিত, মর্মাহত এবং ক্ষুদ্ধ। আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পবিত্র কাবা শরিফের গিলাপ পরিবর্তন সংক্রান্ত মিথ্যাচার এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী দেলওয়ার হোসেন সাঈদীকে চাঁদে দৃশ্যমান, এহেন সংবাদ এবং ছবি প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে বাংলাদেশকে সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে এই পত্রিকাটি ক্রমাগতভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও বাড়ীঘরে হামলা করতে নিরীহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে উত্তেজিত করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়ীঘর পোড়াতে সাহায্যে করেছিল। আমরা মনে করি, পরিকল্পিত ভাবে সামাজিক নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী এমন একজন সম্পাদককে গ্রেপ্তার ও পত্রিকা নিষিদ্ধ করা যে কোনো দায়িত্বশীল সরকারের অবশ্য করণীয়। আমরা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি; আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।
একই সঙ্গে এও বিশ্বাস করি যে, সেই স্বাধীনতা সামাজিক নৈরাজ্য ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার হাতিয়ার হতে পারে না। আমরা মনে করি যে, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার উৎখাত এবং বিচার বিভাগকে কটাক্ষ করে আমার দেশ পত্রিকায় পরিবেশিত সংবাদসমূহ দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। এমতাবস্থায় জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা, দেশের শান্তি শৃংঙ্খলা অক্ষুন্ন রাখা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার স্বার্থে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা সরকারের একটি সময়োচিত পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করি। সাংবাদিকতা ও সম্পাদনার সকল রীতি-নীতি, নৈতিকতা ও আদর্শ উপেক্ষা করে যে ব্যক্তি রাষ্ট্র ও জনজীবনকে বিপন্ন করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে সংবাদপত্রকে অপব্যবহার করে সেই ব্যক্তির মুক্তি দাবি করা আমাদের মোটেও যৌক্তিক মনে হয় না। মাহমুদুর রহমান একটি পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হওয়ার সুবাদে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর পরিণত করার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে অপচেষ্টা চালিয়েছিল।
বিবৃতিতে ১৫ সম্পাদকের মধ্যে প্রগতিশীল ও মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন সম্পাদকের সাথে কতিপয় প্রগতিবিরোধী ও ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা দানকারী সংবাদপত্রের সম্পাদকের নাম দেখে আমরা মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। আমরা আশা করব, আমাদের দেশপ্রেমিক সম্মানিত সম্পাদকগণ এ ব্যাপারে তাঁদের সুবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নেবেন।
মেজর জেনারেল কে. এম. শফিউল্লাহ, বীরউত্তম
সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম
নাসির উদ্দীন ইউসূফ
সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট
শাহরিয়ার কবির
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি
ডাঃ কামরুল ইসলাম খান
সাধারণ সম্পাদক, পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।