ঘুনে খাওয়া হৃদয়টাকে নিয়ে চলতে চলতে আজকাল খুব ক্লান্ত লাগে নিজেকে..
দুখিনী গোলাপটিও বুঝলনা আমার বেদানার্ত হৃদয়ের কথা। কাঁটার আঘাতে ছিন্ন ভিন্ন করে দিল অবলীলায়। আমি চোখের শরীরে কাফন লাগিয়ে চলে এলাম। কাফনে লেগে রইলো গোলাপের দেয়া শেষ চিহ্নের ছাঁপ।
আমি আর কোনদিন যাইনি সেই গোলাপের কাছে, যদিও একাকী কেঁদে কেঁদে কাটিয়েছি অনেক বিবর্ণ সময়।
বারান্দায় রাখা হেলানো চেয়ারটিতে বসে বসে কতদিন যে অশ্রুর প্লাবনে ভেসেছি তার হিসেব আর কাউকেই কোন দিন দিতে হয়নি আমায়।
এমনি করে কত দিন গেল, রাত গেল তবুও তার কাছে আর যাওয়া হয়নি আমার। বলা হয় নি হৃদয়ের না বলা ভেঁজা ভেঁজা আর্তনাদগুলোর কথা। হয়তো এই জীবনে কখনও আর বলাও হবে না সেসব অবশিষ্ট কথনের গল্পগুলো।
মাঝে মাঝে আনমনে ভাবি, এই বুঝি সে এলো।
আমার ডান হাতটা
তার হাতের ছোঁয়ায় হঠাৎ করেই চমকে ওঠে। পরক্ষণেই সম্বিত ফিরে পেয়ে আবার কান্নার সাগরে ঝাঁপ। আকাশ বাতাস ছাঁপিয়ে একটা চিৎকার করে মরে যেতে ইচ্ছে করে খুব।
বুকের ভেতরে সবসময় শুনতে পাই এক ঝাঁক পাখির কিচির মিচির শব্দ। আমি সেই শব্দের অর্থ বুঝতে পারি।
তারা বলতে থাকে, এই পৃথিবীতে তোর জন্ম শুধুই যন্ত্রণা আর বঞ্চনা সহ্য করার জন্য। তারা আরও বলতে থাকে, পৃথিবীর তাবৎ দুঃখের নদী তোরই চোখে ভাসুক। তুই হয়ে যা সারা পৃথিবীর সমস্ত কষ্টের, সকল দুঃখ বেদনার এক পরিপূর্ণ পেয়ালা..................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।