বাবুল ভীষণ ভাবুক। যার কারণে ও লেখক হিসেবেই আমাদের কাছে পরিচিত, অবশ্য লেখালেখিও করে বিস্তর তার সাথে পড়াশোনা। তবে এই লেখা ওর লেখক বিত্তান্ত নয়, আমাদের সর্বগ্রাসী আড্ডার কিঞ্চিত এক চিত্রমাত্র। আমাদের আড্ডার প্রধান কেন্দ্র নারায়ণ গঞ্জ শহীদ মিনারের ঝর্ণা চত্বর। সেখান থেকে আড্ডা এবং আমরা গড়িয়ে গড়িয়ে যেখানে যাবার প্রয়োজন, যাই।
কিছুদিন আগে এক বন্ধুর বোনের বিয়েতে গিয়েছি আমরা সবাই। বলা বাহুল্য আমাদের কাল-পাত্র জ্ঞান তেমন নেই, আর এ জন্য আমাদের দোষ দেয়া উচিত হবে বলে আমি মনে করিনা। তো আড্ডা দিচ্ছি, হাঃ হাঃ হোঃ হোঃ, স্বরযন্ত্রের বিকট আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। বিয়ে বাড়িতো শব্দ অপরিহার্য, তাই কিছু বলার কেউ নেই। কি নিয়ে আড্ডা হচ্ছিল বলতে পারবোনা, কি কারণে খায়রুল যেন বাবুলকে দোষারোপ করল।
আর বাবুল যা বলল তা হলো, সব মাছে ‘হুমায়ূন’ খায়, নাম পড়ে ঘাউরা মাছের। আমরা থ্। বাবুল মুখে হিসেবী শব্দ ব্যবহার করে জানি, উপমা ব্যবহারে আমাদের অন্তত আমার চেয়ে এগিয়ে মানি, কিন্তু এযে এক্কেবারে বাজিমাত্। স্বীকার করি কথার সম্পুর্ন মোজেজা বুঝতে পারিনি, তবু....। তবে আমি বোধহয় একটু বেশীই মুগ্ধ হয়ে পড়েছিলাম, তাই মুখ খুলল নাঈম, বলে রাখা ভাল নাঈম বাবুলের কপি, পার্থক্য শুধু বাবুলের কথায় হিসেবী, নাঈম বেহিসেবী।
নাঈম বলল, বুঝলিনা আমাগো হুমায়ূন কাকা হের উপন্যাসে সবচেয়ে বেশী ‘গু’ শব্দটা ব্যবহার করছে, হের লেইগা আমাগো কবি সাব কইল সব মাছে ‘হুমায়ূন’ খায়, নাম হয় ঘাউরা মাছের। আমি বললাম, তুই নিশ্চিত হুমায়ূন আহমেদ তার উপন্যাসে সবচেয়ে বেশী গু শব্দটা ব্যবহার করেছে? নাঈম আমার কথার উত্তর দেবার আগেই খায়রুল মাসুমকে বলল, দোস্ত তুই এটা নিয়ে পি. এইচ. ডি. করতে পারিস। হুজুগে বাঙালির প্রতীক সহজ সরল মাসুম অবলীলায় মাথা নেড়ে বলল, আমি এটা নিয়েই পি. এইচ. ডি করব, আরে এই তথ্য আমিইতো বাবুলকে দিয়েছি। বাবুল এবার কটমট করে মাসুমের দিকে তাকালো। আমরা কয়েকজন মাথা নেড়ে বললাম, হুম্ম্!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।