পরজীবীর মত বেঁচে আছি। সবার শ্রম আর ঘামের উপর দখলদারিত্ব করে। আমার মত অসৎ সকলে, যারা উৎপাদন ও শ্রমের সাথে যুক্ত না হয়ে বেঁচে থাকে।
দৈনিক ফালুর দেশ পত্রিকায় প্রকাশক হিসেবে অবৈধভাবে আলহাজ হাসমত আলীর নাম ব্যবহার করার অভিযোগে গতকাল পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়। যার প্রেক্ষিতে আজ ভোর ৪ টায় দৈনিক ফালুর দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় আলহাজ হাসমত আলী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বাদী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালুর ভাই।
জানা যায়, গত ২০০৮ সালের ২১ আগস্ট হাসমত আলী দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পূর্ণ শেয়ার মাহমুদুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে গত বছরের ২৮ জুন জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে তার নাম পরিবর্তন করে তাকে মালিকানা থেকে অব্যাহতি নেন। একই সঙ্গে গত বছর ১১ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে তিনি ফরম-সি পূরণ করে প্রকাশক ও পরিচালক হিসেবেও তার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
এর প্রতি উত্তরে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুর রহমানকে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় তার নাম ব্যবহার না করার জন্য চিঠি দেন (স্মারক নম্বর -জেপ্রঢা/প্রকা২০১০-৯৮)। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রকাশনা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা চলতি বছরের ১৫ মার্চ আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের কাছে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন প্রকাশক পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করার পরও প্রিন্টার্স লাইনে তার নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। সাত দিনের মধ্যে এর ব্যাখ্যা চেয়ে সম্পাদকের কাছে একটি চিঠি দেন (স্মারক নম্বর-জেপ্রঢা/প্রকা:-২০১০)। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের লিখিত আদেশের পরও গত বছর প্রথম দফায় ২৩ ডিসেম্বর ও দ্বিতীয় দফায় চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি মাহমুদুর রহমানকে চিঠি লিখে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় হাসমত আলী তার নাম প্রকাশক হিসেবে ব্যবহার না করার অনুরোধ জানান।
এরপরও অদ্যাবধি মাহমুদুর রহমান তার নাম ওই পত্রিকায় ব্যবহার করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। ইতোমধ্যে আমার দেশ পত্রিকায় বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর সংবাদ প্রকাশের কারণে প্রকাশক হিসেবে নাম প্রকাশিত হওয়ায় হাসমত আলীর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে প্রায় ৩০টি ফৌজদারি মামলা রুজু হয়েছে। আইনগতভাবে তিনি ওই পত্রিকার প্রকাশক না হওয়ার পরও এসব মামলার কারণে বিভিন্ন আদালতে হাজিরা দেওয়ার কারণে চরমভাবে অপমানিত, হয়রানি ও অর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ ব্যাপারে হাসমত আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, মাহমুদুর রহমান অবৈধভাবে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রিন্টার্স লাইনে তার নাম ছাপাচ্ছেন। ২০০৮ সালেই তিনি ওই পত্রিকার মালিকানা ছেড়ে দিয়েছেন।
তিনি কোনোভাবেই আমার দেশের প্রকাশক নন।
এ ব্যাপারে হাসমত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান।
এদিকে বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করেন, সরকার হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশনা বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, হাসমত আলীকে এনএসআই তুলে নিয়ে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।