আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিবৃতি প্রদান অগনতান্ত্রিক এবং একনায়কত্বের চুড়ান্ত বহি:প্রকাশ

আমি কেবলই আমার মতো পত্রিকাগুলোর সম্পাদকগন সবসময়েই রাজনৈতিক দলের ভিতরে গনতন্ত্র আছে কি-না সেটা নিয়ে ব্যাপক ম্যাৎকার চালিয়ে আসছে। বড় দলগুলোতে একনায়কত্ব নাকি বহুত্ববাদীতা ক্রিয়াশীল এটা নিয়েও ব্যাপক বাক্যবাগীশ চালিয়ে আসছে। এই সবই নৈতিক, সাংবিধানিক এবং সাংগঠনিক স্বচ্ছতার বক্তব্য। উনাদের এসব কথার কোন জবাব দিচ্ছিনা বা দিতে চাইছিও না। কিন্তু এখন প্রশ্ন দাড়িয়েছে উনারা পত্রিকা অফিসে গনতন্ত্রের চর্চা করেন কি-না।

নাকি সেখানেও একনায়কত্ব চলমান? সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বিবৃতির মধ্য দিয়ে এটার ষ্পষ্টতা দেখা দিয়েছে। উনারা বিবৃতি দেয়ার আগে উনাদের অফিসে এটা নিয়ে কোন আলোচনা করেন নাই। একজন 'সম্পাদক' যখন বিবৃতি দেন তখন সেটা প্রতিষ্ঠানের বিবৃতি হিসেবে ধরা হয়। কোন 'ব্যক্তির' বিবৃতি নয়। ফলে পত্রিকা অফিসে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বিদ্ধান্ত নেয়াই গনতান্ত্রিক।

আর ব্যক্তির একক ইচ্ছায় কোন বিবৃতি দেয়া একনায়কত্ব। কিন্তু একজন সম্পাদকও পত্রিকা অফিসে ন্যুনতম আলোচনা করেন নাই। কাজেই উনাদের এই বিবৃতি প্রদান অগনতান্ত্রিক এবং একনায়কত্বের চুড়ান্ত বহি:প্রকাশ। এর মধ্য দিয়ে পত্রিকাগুলো নিজেদেরকে অগনতান্ত্রিক এবং একনায়কত্ববাদী প্রমানের পাশাপাশি অগনতান্ত্রিকতা এবং একনায়কত্বতার বিপক্ষে কথা বলার অধিকার হারাইলেন। আমার এই কথা বলার মাধ্যমে কোন দলের কোন অন্যায়কে বৈধ করার চেষ্টা করছি না।

বরং পত্রিকাগলোর অস্বচ্ছ অবস্থান আমার কাছে স্পষ্ট হওয়ায় বিস্মিত ও লজ্জিত হয়েছি। আচ্ছা, কোন সম্পাদক বা সাংবাদিক অন্যায় করলে গ্রেফতার করা যাবে কি-না এই বিষয়ে উনারা কোন বিবৃতি দিবেন? এরপরেও আরেকটু বলি। যেসব সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে নির্দোষ দাবী করে মুক্তি চেয়েছেন তাদের পত্রিকায় ন্যুনতম পরিসরেও কোন সমালোচনা বা কারো অন্যায়ের সংবাদ প্রকাশের অধিকার কি রইল? ন্যুনতম নৈতিক অধিকারও আর রইল কি? এর মধ্য দিয়ে এদেশে সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা নামক শব্দটি নির্বাসনে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করল বলে আমি মনে করি। আপনি? এদেশে পত্রিকার কথা মুল্যহীন এটাই সত্য বলে গন্য হল বলে আমার ধারনা। আপনার? সত্যিকারভাবে আমরা অন্ধকার পথের যাত্রী হয়ে গেলাম।

শেষে আমার অবস্থান ক্লিয়ার করি। মানবতাবিরোধীদের বিচার সম্পন্ন করতে এবং সরকার পতনের যেকোন ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করতে সরকারের পক্ষ থেকে শুধু সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধই নয় এরচেয়েও কঠিন ও কঠোর স্বিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মৃত্যুঘন্টা বাজাতে এবং পাকিস্তান প্রীতির রাজনীতির বিষবাষ্প সমূলে উৎপাটন করতে সরকারের পক্ষ থেকে শুধু দুই একজন সাম্পাদক বা সাংবাদিককে গ্রেফতার নয় এরচেয়েও কঠিন ও কঠোর স্বিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। দেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা মোকাবেলা করতে সরকারের পক্ষ থেকে কিংবা দুই একটি পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল বন্ধ ও নিষিদ্ধই নয় এরচেয়েও কঠিন ও কঠোর স্বিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।