কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ায় গতকাল সোমবার গভীররাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে দেলোয়ার হোসেন (২৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশের সাত সদস্য। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, দেলোয়ার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
মহেশখালী থানা-পুলিশের ভাষ্যমতে, গতকাল রাত ১২টার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের আঁধারঘোনা বড় কবরস্থানসংলগ্ন মসজিদের পাশে একদল সন্ত্রাসী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
এ খবর পেয়ে স্থানীয় কালারমারছড়া ফাঁড়ির পুলিশ ও থানা থেকে পুলিশের দুটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায়। কিন্তু গ্রেপ্তার এড়াতে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রথমে ইটপাটকেল ও পরে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। ঘণ্টাব্যাপী ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনায় দেলোয়ার গুলিবিদ্ধ হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় আহত হন কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ (৪৫), কনস্টেবল আবুল কালাম (৫৩), মোহাম্মদ আরিফ (৩০), মোহাম্মদ শাহজাহান (২৭), এমদাদুল হক (২৭), শাহ করিম (২৬) ও ওসমান গণি (২৬)।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি লম্বা বন্দুক, ৩৮টি কার্তুজ ও একটি রামদা উদ্ধার করেছে।
পরে আজ মঙ্গলবার ভোররাত চারটার দিকে গুলিবিদ্ধ দেলোয়ার ও পুলিশের সাত সদস্যকে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে দেলোয়ারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিত্সক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানেই তিনি মারা যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, দেলোয়ারের বিরুদ্ধে আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা পরেশ কারবারি হত্যাসহ অন্তত ১২টি মামলা রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।