কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন না করতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, সোমবার সেই রুল দিয়েছে হাই কোর্ট।
মহেশখালীর তিন বাসিন্দার একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
আদেশে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি এবং চারপাশের জীবনের প্রতি ধ্বংসাত্মক বিবেচনায় এবং অত্যন্ত উর্বর জমি ও অধিবাসীদের স্বাস্থ্য রক্ষায় মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন না করতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না?
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব, পরিবেশ ও বন সচিব, ভূমি সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, মহেশখালী থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর এই রিট আবেদনটি করেন মো. রফিকুল ইসলাম, আবুল হাশেম, মোহাম্মদ হোসেন ও আলতাফ হোসেন।
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
তাকে সহায়তা করেন মির্জা আল মাহমুদ ও জেআর খান রবিন।
বাংলাদেশে বর্তমানে বিদ্যুতের প্রায় ৭৫ শতাংশই আসে গ্যাস থেকে, ৩ শতাংশেরও কম আসছে কয়লা থেকে।
সুন্দরবনের কাছে রামপালে ভারতের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে, তাও কয়লাভিত্তিক। ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি করবে বলেও ইতোমধ্যে আপত্তি উঠেছে, যদিও সরকারের পক্ষ থেকে তা নাকচ করা হচ্ছে।
দেশে সঞ্চিত কয়লা উত্তোলন পদ্ধতি নিয়েও বিশেষজ্ঞদের মতবিরোধ রয়েছে। ব্যয় কমাতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা আহরণের পক্ষে অনেকে বললেও পরিবেশের ক্ষতি সীমিত পর্যায়ে রাখতে ভূগর্ভস্থ পদ্ধতি অনুসরণের পক্ষেও মত রয়েছে।
দুই মতের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বলেছেন, দেশের কয়লা উত্তোলনের জন্য নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের অপেক্ষায় থাকবে সরকার।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।