বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় অপহরণকারীদের মোটরসাইকেল থেকে লাফিয়ে রক্ষা পেয়েছে তিন কিশোরী। এ সময় স্থানীয় লোকজন এক অপহরণকারীকে আটক করে। অন্য তিন অপহরণকারী পালিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাগেরহাট-গোপালগঞ্জ সড়কের গাওলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক অপহরণকারীর নাম তারিক মিঞা (২৫)।
তাঁর বাড়ি মোল্লাহাট উপজেলার কাহালপুর গ্রামে। তারিকের বক্তব্য অনুযায়ী, পালিয়ে যাওয়া তিন অপহরণকারী হচ্ছেন কাহালপুর গ্রামের অরেঞ্জ (৩০), বারুইগাতি গ্রামের মিখাইল (২৬) ও সারুলিয়া গ্রামের লাভলু শেখ (৩০)। উদ্ধার কিশোরীদের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায়।
কিশোরীরা জানায়, তারা তিনজন বাগেরহাটের রামপালে খালার বাড়ি বেড়াতে আসার জন্য গতকাল সকালে বাড়ি থেকে বের হয়। মোল্লাহাট সেতুর কাছে পৌঁছে খালাতো ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করার সময় কয়েকজন যুবক তাদের উত্ত্যক্ত করেন।
একপর্যায়ে যুবকেরা তাদের জোর করে দুটি মোটরসাইকেলে তুলে নেন। কিছু দূর আসার পর অপহরণকারীরা মোটরসাইকেলের গতি কমালে তারা মোটরসাইকেল থেকে লাফ দিয়ে নেমে চিৎকার শুরু করে এবং দৌড়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ সময় গ্রামবাসী ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে এবং এক অপহরণকারীকে আটক করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ আলম বলেন, উদ্ধার করা তিনজনকে থানায় রাখা হয়েছে এবং আটক তারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মোল্লাহাট উপজেলার গাওলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সরদার শাহিদুল ইসলাম জানান, এক পরিচিত ব্যক্তি মুঠোফোনে ওই কিশোরীদের অপহরণের ঘটনাটি তাঁকে জানান।
এই খবর পাশের সারুলিয়া ও ফলতিতা এলাকায়ও মুঠোফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়। দুটি মোটরসাইকেলে মেয়েদের নিয়ে অপহরণকারীরা গাওলা গ্রামে পৌঁছালে কিশোরীরা মোটরসাইকেল থেকে লাফিয়ে নেমে স্থানীয় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ সময় গ্রামবাসী তারিককে ধরে ফেলেন। অন্যরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।