আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডেঙ্গু জ্বর সম্বন্ধে জেনে নিন

আমি পথ মঞ্জরী ফুটেছি আঁধার রাতে

এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়। সাধারণত মশা কামড়াবার ৫/৬ দিন পর উপসর্গ শুরু হয়। ডেঙ্গু প্রধাণত দুই ধরনের। ১। ক্লাসিক ডেঙ্গু জ্বর ২।

হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর। ১। ক্লাসিক ডেঙ্গু জ্বরঃ উপসর্গঃ- * হঠাৎ জ্বর শুরু হয়। * মাথা ব্যথা হয়। * মুখ লালচে হয়ে যায়।

* চোখের পেছনের দিকে ব্যথা হয়, যা চোখ নাড়ানোর সময় বাড়ে। * অনেক সময় চোখ লালচে হয়ে যায়। * পিঠের নীচের দিকে কোমরের কাছাকাছি মাঝ বরাবর বেশ ব্যাথা হয় যাকে লো ব্যাক পেইন বলে। এটা একটা প্রধাণ উপসর্গ যা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই হয়। ৩/৪ দিন জ্বর থাকার পর কয়েকদিনের জন্য জ্বর কমে যায় এবং কয়েকদিন পর আবার জ্বর বাড়তে থাকে এবং আগের উপসর্গ গুলো ফিরে আসে তবে একটু মৃদু ভাবে।

পরীক্ষা করলে লসিকা গ্রন্থির বৃদ্ধি দেখা যায় এবং নরম তালুতে লাল ছোট ছোট বিন্দুর মত দাগ দেখা যায়। রক্ত পরীক্ষা করে যা পাওয়া যায়ঃ ১। শ্বেত কণিকা কমে যায় ২। অনুচক্রিকা কমে যায়। নিশ্চিত হওয়ার জন্য টিস্যু কালচার বা সেরোলজিক্যাল টেস্ট করা হয়।

চিকিৎসাঃ ডেঙ্গু জ্বরের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়। সাধারণত জ্বর ও ব্যাথার ওষুধ দেওয়া হয় এবং বেশী করে পানি খেতে বলা হয়। ডেঙ্গু জ্বর চলে যাওয়ার পরও কয়েক সপ্তাহ খুব দূর্বল লাগে এবং মন খারাপ (ডিপ্রেশন) লাগে। ২।

হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বরঃ এটা বেশী মারাত্নক। সাধারণত বাচ্চাদের বেশী হয়। প্রথমে কাশি, জ্বর এরকম উপসর্গ থাকে। তারপর হঠাতি শরীর খুব বেশী খারাপ হয়ে যায়। চামড়ার নীচে, কান থেকে বা নাক থেকে রক্ত পড়ে।

বমির সাথে রক্ত আসতে পারে এবং রক্তের জন্য কাল রঙের পায়খানা হতে পারে। রোগী শকে চলে যায়। এ ক্ষেত্রে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীকে রক্ত দিতে হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।