mamun.press@gmail.com
আবদুল্লাহ আল-মামুন, ফেনী
ফেনীর বহুল আলোচিত নাছির হত্যা মামলাটি প্রত্যাহার হচ্ছে। রাজনীতিক মামলা হিসেবে এটি প্রত্যাহার করার জন্য ফেনী জেলা পাবলিক প্রসিকিউটরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ২৯ মার্চ সকাল ১১ টায় ছাত্রদল নেতা তুষার হত্যার প্রতিবাদে জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি ট্রাংক রোড পিটিআই স্কুল সংলগ্ন পশ্চিম গেইটের কাছে পৌঁছলে আজহারুল হক আরজু, একরামুল হক একরাম, শাহজাহান সাজু, বাহার, সুমন, রাসেল, সোহেল, শাহ আলম, স্বপন, খোকন, লিটন, আদেল, সিরাজ, শিবলু, বাবু (১), বাবু (২), জহির, সাজু (২) সহ আরো ২৫-৩০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিলের উপর হামলা চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে শরিফুল ইসলাম নাছির নিহত হয়।
আহত হয় তৎকালীন জেলা যুবদলের আহবায়ক মনোয়ার হোসেন দুলাল ও হারুনুর রশিদ মজুমদার সহ ছাত্রদল-যুবদলের ১৫-২০ জন নেতাকর্র্মী। ১৯৯৭ সালের ৩১ মার্চ আহত দুলাল বাদী হয়ে ফেনী থানায় মামলা দায়ের করে। ফেনী থানার ওসি মামলা তদন্ত করে ১৯ জনকে আসামী করে অভিযোগ দাখিল করে। তৎকালীন বিরোধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ বহু নেতা এর বিচার দাবী করেন। ঘটনাটি তখন সারাদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়।
পরবর্তীতে ফেনী দায়রা জজ (জি.আর- মামলা নং- ৬৬/৯৭, দায়রা-১৯/০২) মামলাটি গুরতর মনে করে অভিযোগ গঠন করেন এবং ১০ জন সাীর স্যা গ্রহণ করেন। সাীগণ আসামীদেরকে চিহ্নিত করে সাী দেয়। এদিকে মামলাটি লোমহর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু আসামীরা বার বার উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নেয়ায় মামলাটি আর অগ্রসর হতে পারিনি। বর্তমানেও মামলাটি হাইকোর্টে স্থগিত অবস্থায় আছে।
মামলার অন্যতম আসামী জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট শাহজাহান সাজু বলেন, ওই সময় তিনি ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। মামলার অপরাপর আসামীরাও তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে ছিলেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে উল্লেখিতদের এই মামলায় আসামী করা হয়েছে। যা বর্তমান সরকার প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মামলার বাদী বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন দুলাল উক্ত খবরে ুদ্ধ প্রতিক্্িরয়া জানিয়ে বলেন, যে মামলার বাদী ও স্বাীদের স্যা গ্রহন হয়েছে সেই মামলা প্রত্যাহার করা বেআইনি।
বর্তমান সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের কারাদন্ড থেকে বাঁচাতে এই হীন উদ্যোগ নিয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।