১৭৬৬ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা বিকন লাল পান্ডে (বেণুর ঠাকুর বা লক্ষীনারায়ণ ঠাকুর নামে ও পরিচিত ) ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট থেকে এ অঞ্চলের মালিকানা গ্রহণ করেন । তিনি প্রভু নারায়ণের সেবার ব্যয়ভার বহনের জন্য একটি উইলের মাধ্যমে শীতলক্ষা নদীর তীরে অবস্থিত মার্কেটকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন । তাই পরবর্তী কালে এ স্থানের নাম হয় নারায়ণগঞ্জ । এ জেলার আয়তন ৭৫৯,৫৪ বর্গ কিলোমিটার । ঢাকা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে গঙ্গা-ব্রক্ষপূত্র-মেঘনা অববাহিকায় পাললিক মাটি জাতীয় সমতল ভূমিতে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ শহরের জনসংখ্যা ২.৪ মিলিয়ন ।
শহরের পূর্ব পাশে শীতলক্ষা নদী এবং দক্ষিণ ও পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদী । জেলায় উপজেলা ৫, ইউনিয়ন ৪১, মৌজা ৮৮১, গ্রাম ১৩৭৪, পৌরসভা -৬। উপজেলাগুলো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর, সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার। নারায়ণগঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সোনারগাঁ যা সূক্ষ বা মিহি মসলিন তৈরির জন্য ঐতিহাসিকভাবে বিখ্যাত।
প্রাচীন নিদর্শন ও প্রত্নসম্পদঃ সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহের সমাধি (১৩৮৯-১৪১১), বাবা সালেহ মসজিদ (১৪৮১), গোয়ালদী মসজিদ (১৫১৯), সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহের এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ (১৪৮৪), হাজীগঞ্জের ঈশা খাঁ কেল্লা, সোনাকান্দা দুর্গ, কাঁচপুর ব্রিজ, কদমরসুল দরগাহ, বন্দর শাহী মসজিদ উল্লেখযোগ্য।
ঐতিহাসিক ঘটনাবলিঃ ঈশা খাঁর আমলে বর্তমান সোনারগাঁও উপজেলাকে রাজধানী করা হয়। প্রাচীনকাল থেকে এ উপজেলাটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিত লাভ করছে। ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর ফতুল্লার মর্মান্তিক গণহত্যায় পাকবাহিনী ১৩৯ জন লোককে হত্যা করে
(লেখাটি জেলা তথ্য বাতায়ন অবলম্বনে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।