প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়েক দিনের বিক্ষোভ ভাংচুরের পর ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানায় বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে শুরু করে। সকাল সাড়ে ১০পর্যন্ত শঅন্তিপূর্ণভাবেই সব চলছিল। তবে এরপর নয়ামাটি এলাকার রূপসী গার্মেন্ট ও মাহাবুবা গার্মেন্টের শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা করার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।
এক পর্যায়ে তারা ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শ্রমিকরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করলেও ভাংচুরের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ফতুল্লা মডেল থানার এএসপি আবদুল্লাহ আল মাসুম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ সতর্ক রয়েছে। কোনো ভাংচুর বা বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখেছি আমরা। শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়ারও চেষ্টা চলছে। ”
এর আগের দুই দিনও শিবু মার্কেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে ব্যাপক ভাংচুর করে শ্রমিকরা।
এদিকে বুধবার ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত টাইমস স্যুয়েটার্স, ইউরো টেক্স ও সিক গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যোগ দিতে এলেও তাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মালিকপক্ষ জানিয়েছে, কারখানার ভেতরে ভাংচুর হওয়ায় কাজের পরিবেশ নেই। এ কারণেই আপাতত শ্রমিকদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। মেরামত শেষ হলে দুপুরের পর থেকে কাজ শুরু হবে।
আদমজী শিল্প পুলিশ-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ বলেন, “পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে। বুধবার বেশ কয়েকটি কারখানার ভেতরে ভাংচুর হওয়ায় শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে দেয়া হচ্ছে না।
কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।