আমি সর্বদা আশাবাদী
এএইচএম হাসান
মানুষের আয়ুর সঙ্গে বাতাসের স¤পর্ক দুই ধরনের-ইতিবাচক ও নেতিবাচক। দূষিত বাতাসের কারণে আয়ু কমে। অন্যদিকে নির্মল বাতাসে আয়ু বাড়ে। সা¤প্রতিক এক গবেষণায় এর সত্যতা মিলেছে। বায়ুদূষণ কমিয়ে আনায় যুক্তরাষ্ট্রে গত দুই দশকে নগরবাসীর গড় আয়ু পাঁচ মাস বেড়েছে।
ব্রিংহাম ইয়াং এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষকের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এ ২২ জানুয়ারি গবেষণার ওই ফলাফল প্রকাশিত হয়। বাতাসের মান উন্নয়নে যে মানুষের আয়ু বাড়ানো সম্ভব, তার তথ্যপ্রমাণ-সমৃদ্ধ এটাই প্রথম গবেষণা।
১৯৮০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ওয়াশিংটনসহ ৫১টি মহানগরে বাতাসের মান ও আয়ুর তুলনামূলক পর্যালোচনা করে গবেষকেরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান। তবে গবেষকেরা জানান, আয়ু বৃদ্ধিতে আরও নানা বিষয় কাজ করে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে জনসংখ্যা, আয়, শিা, অভিবাসন, জনসংখ্যাতত্ত¦, ধূমপান প্রভৃতি। এসবের ভিত্তিতে তাঁরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে নির্মল বাতাস শহরবাসীর আয়ু উলেখযোগ্য হারে বাড়িয়ে দেয়।
গবেষকেরা দেখতে পান, ১৯৮০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দেশব্যাপী শহরবাসীর গড় আয়ু ২ দশমিক ৭২ বছর বেড়েছে। এর মধ্যে নির্মল বাতাসের কল্যাণে বেড়েছে পাঁচ মাসের আয়ু।
নির্মল বাতাসের সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী ওয়াশিংটনবাসী।
কেননা, এখানে হৃদরোগ ও ফুসফুসের রোগ সৃষ্টিকারী বায়ুদূষণ অন্যান্য নগরের চেয়ে অনেক কম। ১৯৮০ সালের তুলনায় ২০০০ সালে এ নগরের মানুষ সার্বিকভাবে তিন বছর বেশি বেঁচেছে। এ েেত্র নির্মল বাতাসের অবদান সাত মাসের বেশি। সমীায় দেখা যায়, ১৯৮০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে নগর এলাকায় প্রতি ঘনমিটার বাতাসে এ ধরনের দূষণ ১০ মাইক্রোগ্রামেরও বেশি কমে যায়।
গবেষক দলের প্রধান ব্রিংহাম ইয়াং ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তৃতীয় সি আরডেন পোপ বলেন, বাতাসের মান উন্নয়নের মাধ্যমে আয়ু বাড়ার ঘটনা উলেখ করার মতো।
তিনি বলেন, বড় শহরগুলোতে বায়ুদূষণের মাত্রা কমে যাওয়ার ঘটনা দেশব্যাপী একটি বড় ধরনের প্রাকৃতিক পরীণ।
আমেরিকান লাঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের পলিসি ও অ্যাডভোকেসি-বিষয়ক অ্যাসি¯েটন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট জেনিস নোলেন বলেন, নতুন এ গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে নীতিনির্ধারকেরা ২০১১ সালে নতুন নীতিমালা প্রণয়নের সময় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দূষণের ব্যাপারে আরও কঠোর হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘দূষণ বাড়লে যে আয়ু কমে এবং দূূষণ কমলে যে আয়ু বাড়ে, সেটা লোকজনকে বোঝানো কঠিন। তবে এখন আমরা এই গবেষণার ফলাফলকে কাজে লাগাতে পারি। ’ সূত্রঃ ওয়াশিংটন পো¯ট অনলাইন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।