বুকের মধ্যে তখনও ভালবাসা টের পইনি। জনৈক বন্ধুর অনুরোধে জোর করে নিজের মনটা খুঁচিয়ে দেখি সেখানে কেউ নেই। তবে মনের এক কোনার দিকে একজন কে খুজে পেলাম । বন্ধুকে বলতেই কেমন করে সে আমার মনের কেন্দ্রে চলে আসল। তারপর শুরু হল আমার মনে মনে ভালবাসা ভালবাসা খেলা ।
যেখানে প্রতি মুহুর্তে তাকে নিয়ে ভালবাসার ঘর সাজাই। কোনদিন মুখফুটে বলারও প্রয়েজন বোধ করিনি। একদিন চলতি পথে তার সাথে দেখা ।
-যাচ্ছ কই?
-এইতো একটু সামনে। আমার উত্তর।
(হার্টবিট১০০০/সেকেন্ড)
-আচ্ছা ওদিকে তো পলাশদের(ছদ্দনাম) বাড়ি?তোমার সাথে কেমন সম্পর্ক ওর ?
-ভাল, কেন?
-তুমি কি আমার এই কাগজটা ওকে একটু দিতে পারবে।
মুহুর্তে আমার কাছে মনে হল দুনিয়ার সবচাইতে বড় অস্ত্র আমার দিকে তাক করা । আমাকে সাহায্য করার মতো চারপাশে কেউ নেই। পালানোর ইপায়ও নেই । কি আর করা আত্মসমর্পন করার মত করে হাত বাড়িয়ে কাগজটা নিলাম।
কাগজ যে এত ভারি হয় আগে টের পইনি । এবার পেলাম। সামান্য চিরকুটটি আমার কাছে পাহাড়সম ভারি মনে হতে লাগল।
কি আর করা কাগজখানা নিয়ে সরাসারি প্রপকের বাসায়। তারপর থেকে ওদের দুজনের কাছেই আজও শুনি ওদের ভালবাসার গল্প।
ওদের প্রেম বিরহ ভাল লাগা মন্দ লাগার কথা । কোন কিছু হলেই দুজনই সরাসরি আমার কছে অভিযোঘ দেয়। আমার কানে ওদের এসব গলিত সীসার মত লাগলেও কিআর করা শুনে যেতে হয় সুবোধ শ্রোতার মত। মনে মনে জ্বলে যাই কেবল মুখে কিছু বলিনা। আজ বলগে বললাম।
কারণ নিজের অব্যক্ত জ্বালা চাপা দিয়ে কতদিন বাঁচা যায়। সর্বশেষ খবর ওরা নাকি ভীষন সুখে আছে । কী যে করি, মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে ওদের সুখের ঘরে ঢিল দিতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।