মঙ্গলবার এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জেলা ডিবি পুলিশের ওসি মো. ইলিয়াছ ফকিরকে।
এর আগে মামলাটি রূপসা থানার ওসি (তদন্ত) শেখ মো. জিয়াউল ইসলাম তদন্ত করছিলেন।
খুলনা জেলার সহকারি পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আব্দুল কাদের বেগ জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলাটি ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত শনিবার খুলনার রূপসা ঘাট পার হয়ে মোটরসাইকেলযোগে ফকিরহাটে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে চেয়ারম্যান জাহিদকে, যিনি উপজেলা আওয়ামী লীগেরও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পরদিন নিহতের স্ত্রী শিরিনা আক্তার কিছলু বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে রূপসা থানায় একটি মামলা করেন।
ইতোমধ্যে এ ঘটনায় পুলিশ ১০ সন্দেহভাজনকে আটক করেছে।
এদিকে বাগেরহাটে জাহিদ হত্যার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা মানববন্ধন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাট-ঢাকা মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার আট্টাকী মোড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আসলাম মল্লিক, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ কামরুল ইসলাম গোরা, ফকিরহাট উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খান ওয়াহিদ ফারুক, শ্রমিক লীগের আহবায়ক শেখ সিরাজুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির কওসার আলী, সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান বাবু, ফকিরহাট উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোতোষ রায়, ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান শামীম জামান পলাশ, সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খান শামীম হাসান, মানসা বাহিরদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকির রেজাউল ইসলাম, মূলঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম পপলু ও নলধা মৌভোগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী মহসিন অংশ নেন।
বক্তারা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।