অজানাকে ভালোবাসী
দেশের নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি এ সংক্রান্ত ফাইলপত্র প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদের হাতে তুলে দিয়েছেন। ফলে পূর্বে ঘোষিত তালিকা থেকে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেয়া কিংবা তালিকায় নতুন প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে মন্ত্রীর কোনো ক্ষমতা থাকছে না। ড. আলাউদ্দিনই এখন থেকে এই দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে এমপিওভুক্তির ফাইলপত্র হাতবদল হওয়ায় আশঙ্কা আর অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন তালিকায় থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ১৩ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী।
কারণ এমপিও কার্যক্রম শেষ করার জন্য আর মাত্র দু’সপ্তাহ সময় আছে। আগামী ৩০ মে’র মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করে অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
গত ১০ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রী এমপিওভুক্তির তালিকা স্থগিত করেন। এদিকে প্রধান মন্ত্রী কোরিয়া সফরে যাবার আগে পুরো কার্যক্রমটি যাচাই-বাছাই করে তালিকা সংশোধনের জন্যও শিক্ষা উপদেষ্টাকে ফাইলপত্র বুঝিয়ে দেয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশ দেন। গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীকে উপদেশ দিতে পারেন্।
এক জন মন্ত্রীর কাজ তার করার কথা নয় কারণ তিনি সংসদের কাছে যেমন জবাবদিহি করেন না তেমনি তিনি জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধিও নন। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমদ যা করছেন তা নিয়ম এবং সংবি ধান বিরোধী এমতাবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এর পদত্যাগ করা উচিত,
উন্নত বিশ্বে কিংবা ভারতে এমনটি হলে সাথে সাথে মন্ত্রী পদত্যাগ করতেন । কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষামন্ত্রী কি পদত্যাগ করবেন?
এমন নজির এদেশে নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।