তেরোর ব্লগ মানেই হাবিজাবি !!
ব্যাথাটি সেদিন উড়ে এসে তার কড়ে আঙ্গুলে এসে বসলো যেমন ফড়িং বসে তিরতিরে ঘাসের ডগায়। নিমিষেই ব্যাথাটি ডানা ত্যাগ করলো, প্রবেশ করলো তার শরীরে। তীক্ষ্ণ ব্যাথা কড়ে আঙ্গুল থেকে ছড়িয়ে পড়লো সবগুলো আঙ্গুলের ডগায়, আস্তে আস্তে পুরো হাত সে দখল করে ফেললো একদিন। লোভী ব্যাথাটি এরপর অন্য হাতের দিকে এগিয়ে গেলো নাকি সেই তার হাত ব্যাথার জন্য খুলে দিলো তা বুঝা গেলো না। অবশেষে ব্যাথাটি তাও দখল করে ফেললো।
কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সে ব্যাথাটিকে ভালোবাসে। হয়তো এটাই স্বাভাবিক। ব্যাথাটি একটা তীক্ষ্ণ সুরের মতো আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়লো সারা দেহে। সে হয়তো উপভোগ করছে তা।
তাকে ঔষুধ দেয়া হলো, দেয়া হলো উপদেশ।
সে ঔষুধ গুলো কৌটোতে জমিয়ে রেখে দিলো। জমানো ঔষুধের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে ব্যাথাও বাড়তে থাকলো।
একদিন যখন সে জানালার পাশে বিছানায় শুয়ে ধূসর আকাশ দেখছিলো তখন ব্যাথাটি তাকে জানালো সে চলে যাবে। তার সময় শেষ। সে হতাশ হয়ে বললো থাকা কি যায় না? করুনা করেও না?
ব্যাথাটি নতুন ডানা মেলতে মেলতে জানালো না থাকাই যায় না।
তোমরা বিরক্তিকর, পানসে, হতাশ, করুণার পাত্র, ভালোবাসার না ।
অবশেষে ব্যাথাটি চলে যায়। সে ঘোলাটে দৃষ্টি দিয়ে তার চলে যাওয়া দেখার চেষ্টা করে। জানালার পাশের কার্ণিশে বসে থাকা দাঁড়কাকটা পাখা ঝাপটায়।
হয়তো সে টের পায় না, কিন্তু অন্য কোথাও কেউ ঠিক কড়ে আঙ্গুলে ব্যাথা অনুভব করে।
* ৬ মাস আগে এটা এমনেই ফেবুতে পোস্ট করছিলাম। ভাবলাম ব্লগেও রেখে দেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।