^^^^^^^^^
এক মামাকে সি-অফ করতে চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট যাওয়া, সাথে এক কাজিন। ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা পার, তার উপর কাস্টমস রাউন্ডএবাউট থেকে চরম জ্যাম। রাস্তায় সব লম্বা লম্বা ট্রেইলর সবে বন্দর থেকে ছেড়েছে। বাইকটা চালাচ্ছিল ঐ ভাই, জ্যামে চালিয়ে তেমন অভ্যস্ত না সে, আর আমাকেও কষ্ট দিতে চাচ্ছিলনা। তার এলোমেলো চালনাতে অটোয়ালারাও মনে হয় গালি দিচ্ছিল, আমি শুধু পেছনে বসে মজা দেখছিলাম।
একপর্যায়ে পাশাপাশি চলছিল একটা ভাঙাচোড়া মাইক্রোবাস, চালকের চেহারা কঠিন জাপানি টাইপ, পেছনের সিটে আরো দু'জন লোক। ভাই ঠিকমত চালাতে পারতেছিলনা বলে সে এক পর্যায়ে হর্ণ বাজিয়ে বসে, আর গাড়ির লম্বা হর্ণ শুনলেই আমার মনে হয় কেউ আমাকে গালি দিল। এরপর চলন্ত অবস্থায় হালকা কথা কাটাকাটি, একপর্যায়ে ঐ ড্রাইভারে মুখে শালা উচ্চারণ! সাথে সাথে বাইক থামাতে বলে আমার হাতে থাকা হেলমেট তার গাড়ির জানালা দিয়ে প্রায় মুখে মেরে দিয়েছিলাম। এবার আমার রক্ত হিম হয়ে আসছিল যখন দেখলাম পেছনের দু'জনের একজন ওয়াকিটকি আর অন্যজন চকচকে চুড়িজোড়ার মত কি য়েন নিয়ে মাইক্রোর বিপরীত দরজা দিয়ে নামছে। ট্রেইলরের গায়ের সাথে প্রায় লেগে থাকা মাইক্রো থেকে তাদের নামতে নামতে কাজিনকে বাইকের পেছনে পাঠিয়ে দিয়ে অন্য এক গাড়ির চিপা দিয়ে বিপরীত রাস্তায় উঠে একটানে আগ্রাবাদ, তারপর অলিগলি ধরে বাসায়।
------------------------------------------------------------
ছোট দুই ভাইয়ের একজন প্রতিদিন স্কুল থেকে এসে যেখানে জুতা খুলে সেখানেই ব্যাগটা রেখে দেয়, রীতিমত বদ অভ্যেসে পরিণত হয়েছে। গতকাল বিকেলে সে শুতে গেলে আমি ব্যাগটা নিয়ে রুমে ঢুকে বকতে বকতে তার পিঠে ছুড়ে মারি। এরপর শুনি পাশের জনের অট্ট হাসি। ঘটনা বুঝার জন্য রুমের লাইট জালিয়ে আমি পুরো থ, আমি যার পিঠে ব্যাগ ছুঁড়ে মেরেছি তিনি আমার আব্বু আর যাকে ভেবে মেরেছি সে আব্বুর পাশেই শোয়া। অন্ধকার রুম আর কম্বল গায়ে থাকার জন্য বুঝতেই পারিনি কাকে মেরেছি আর আমার আব্বুরও সেখানে থাকার কথা ছিলনা.....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।