আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন -৩



‘জলবায়ু উদ্বাস্তু’ ‘জলবায়ু উদ্বাস্তু’ এখন খুবই উচ্চারিত শব্দ। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ু উদ্বাস্তু বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের গড় তাপমাত্রা দশমিক ৫ থেকে ২ ডিগ্রি বাড়লে বাংলাদেশ সংলগ্ন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার। এতে দেশের উপকূলের ১৫ ভাগ ভূমি পানির নিচে তলিয়ে যাবে। মোট ৭১০ কিলোমিটারের এই উপকূলীয় এলাকা তলিয়ে গেলে এ অঞ্চলের দুই কোটি অধিবাসী জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে।

অনেকের আশঙ্কা, প্লাবিত এলাকার পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। ফলে সমানতালে উদ্বাস্তুর সংখ্যাও বাড়বে। এমনিতেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১২টি জেলার দেড় কোটি মানুষ লবণাক্ত পানির সঙ্গে বাস করছে। সুপেয় পানির সংকট সেখানে নিত্যদিন। নতুন করে এলাকায় লবণাক্ত পানি প্রবেশ করলে সংকটের ভয়াবহতা সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য এ দেশগুলোর দায় সবচেয়ে কম। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মানুষ নিহত হওয়ার পাশাপাশি ঘরবাড়ি, গাছপালা ধ্বংস হয়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যখন জীবিকা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়ে, তখন পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তিরা চলে যান শহরে। জলবায়ু উদ্বাস্তু প্রথমে পুরুষেরা হয়ে থাকে।

এরা শহরে এসে ভিড় বাড়ায় মূলত অস্থায়ী দিনমজুর হিসেবে। উপকূলে আমন ধানের উত্পাদন ব্যাহত হওয়ার কারণে এ সময়ে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা দেখা দিতে পারে। তবে, খাদ্যনিরাপত্তা কমবেশি সবাইকে আঘাত করলেও নারীদেরই বেশি আঘাত করে। কারণ, আমাদের গ্রামসমাজে নারীকেই খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে বেশি ভাবতে হয়। দেখা যায় তারা প্রথমে শিশুদের খেতে দেয়, তারপর সংসারের উপার্জনশীল ব্যক্তিকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে।

ফলে খাদ্যের ঝুঁকিটা নারীর ওপর ব্যাপক মাত্রায় পড়ে। পুরুষ কর্মসংস্থানের জন্য স্থানান্তর হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে নারী পরিবার নিয়ে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই থাকে, ভোগে সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার আবর্তে। এটা এসব অঞ্চলে দিন দিন বেড়ে চলেছে। উপকূলীয় এলাকায় কিছু বনায়ন কর্মসূচি আছে।

বেড়িবাঁধের ভেতরে বসবাসকারী নারীরা যেভাবে থাকে, তাদের তুলনায় বাঁধের বাইরের নারীরা কিংবা চরাঞ্চলের নারীরা সাংঘাতিক নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। ডাকাতি এবং জলদস্যুতাও এসব অঞ্চলে প্রকট। উপকূলের নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ কম। মূলত নারীরা ঘরের কাজ বা জ্বালানি সংগ্রহ এবং বিশুদ্ধ পানির অভাব হলে বা পানির লবণাক্ততা বেড়ে গেলে দীর্ঘ পথ হেঁটে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত থাকে। উপকূলে কীভাবে জলবায়ু উদ্বাস্তুর বসতি গড়ে তোলা যায়, উপকূলীয় নারীদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়—এসব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে।

প্রতিবছরের উন্নয়ন পরিকল্পনায়ও এদের জন্য আলাদা বরাদ্দ করতে হবে, না হলে এই জীবনপ্রবাহ সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পর্যায়কে স্বস্তি দেবে না। সময়ের কাজ সময়ে করার মধ্য দিয়ে একটি পথ তৈরি করতে হয়। ১৫ নভেম্বর ২০০৭-এ সিডর এবং ২৫ মে ২০০৯-এর ঘূর্ণিঝড় আইলাসহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের যে ভয়াবহ তাণ্ডব দেখেছি উপকূলে, তা থেকে বোঝা যায় জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা। এ জন্য প্রয়োজন উদ্যোগ, সঠিক পরিকল্পনা এবং যথাযথভাবে এর বাস্তবায়ন। এবার জলবায়ু সম্মেলনের পূর্বেই বিশ্বজুড়ে একটি শব্দ বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছে আর তা হলো “জলবায়ু উদ্বাস্তু”।

বাংলাদেশেই জলবায়ু উদ্বাস্তু আন্দাজ করা হচ্ছে তিনকোটির উপরে। নদীভাঙ্গা, বন্যায় নিঃস্ব হওয়া, পাহাড় থেকে উচ্ছেদ হওয়া, দ্বীপাঞ্চল ডুবে যাওয়ার কারণে উদ্বাস্তুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে দেশে। পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার কারণে জীবিকার সন্ধানেও মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে উঠেছে- এই সব ভয়াবহ চিত্র ভাবিয়ে তুলছে বহির্বিশ্বেকেও। জলবায়ু উদ্বাস্তু অভিবাসন, জলবায়ু ক্ষতিপূরণের দাবীও উঠছে আন্তর্জাতিকভাবে। সাতক্ষীরার গবুরা ইউনিয়নেই একই ঘটনা ঘটেছে তিনবার।

বারবার বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করেও সফল হওয়া যায়নি। ২০০৮ সালে বাঁধ ভাঙ্গনের ঘটনা ঘটেছে ১২ বার, যা অনেক মানুষকে উচ্ছেদ করেছে। সাতক্ষীরা জেলার প্রায় ৪২ হাজার মানুষ হঠাৎ বন্যায় লোকালয়ে লোনাপানির অনুপ্রবেশের ফলে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই পর্বে যেসব বিষয় উল্লেখযোগ্যভাবে চিত্রায়ণ ও বর্ননা করা হবে, সেগুলো হচ্ছে- ক্স ভাঙ্গন, ক্স লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ক্স ঝড় ও উত্তাল সমুদ্র, ক্স জলাবদ্ধতা, ক্স নিয়ন্ত্রিত স্থানান্তর ইত্যাদি। জলবায়ু উদ্বাস্তু এইসব মানুষের স্থানান্তর, উচ্ছেদ, কিংবা মাইগ্রেশন এখনও পর্যন্ত সীমিত অথচ ক্রমবর্ধমান।

এই উচ্ছেদ হওয়া মানুষেরা শহরের মানুষদের সহানুভূতি পায়নি বরং একটা তিরস্কারের দৃষ্টিভঙ্গি বজায় থেকেছে তাদের প্রতি। শহরের বস্তিবাসীর ওপর নানা ওজুহাতে বিভিন্ন হামলা ও বিপত্তির কথা আমরা জানি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই যে ব্যাপক স্থানান্তর হতে চলেছে, তা সমাজে কী গভীর প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে, শহুরে এলাকায় তা কী রকম সামাজিক প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে, কিংবা শহরের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় বাসস্থান ও বাজারের ব্যবস্থা হবে কিভাবে? সাম্প্রতিক সংবাদপত্রগুলোর প্রতিবেদন থেকে বোঝা যায় যে, উপকূলবর্তী মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগে ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠছে। তারা সমুদ্রতটের অন্যান্য দেশে স্থানান্তর হতে ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠছে। যদি এ ধরনের স্থানান্তর হতেই থাকে, তবে তা যেকোনো দেশের অর্থনীতি ও সমাজকাঠামোর জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে, আবার অন্য একটি দেশ এই মাইগ্রেশনকে কেমন করে নিয়ন্ত্রন করবে তাও একটি বড় প্রশ্ন।

উপকূল আতঙ্ক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে পৃথিবীর যে কয়েকটি নিম্ন আয়ের দেশ ক্ষতিগ্রস্তাংলাদেশ তার অন্যতম। আর দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে কক্সবাজার। এখানে পাহাড় কাটা, প্যারাবন ও বৃক্ষ নিধন অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে প্রতিরক্ষা বেড়িবাধ ভেঙ্গে বিলীন হচ্ছে উপকূলীয় এলাকা। ধ্বংস হচ্ছে জীব বৈচিত্র ও পরিবেশ।

ফলে উপকূলবাসীর আতঙ্ক বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সাগরে ঘন ঘন নিম্নচাপ, লঘুচাপসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতিতে উপকূলের লাখ লাখ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। তাই এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবুজ বেষ্টনী তৈরী করা দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বঙ্গোপসাগর ক্রমেই উত্তাল হয়ে ওঠেছে।

২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারী থেকে ২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ৬টি ঘূর্ণিঝড় এবং ১০৭টি লঘু ও নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্রে পানির তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় উপকূলীয় অঞ্চল ক্রমান্বয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। সাধারণত এপ্রিল, মে, জুন ও সেপ্টেম্বর, অক্টেবর ও নভেম্বরে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ও নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় এবং তা রূপান্তরিত হয় ঘূর্ণিঝড়ে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কয়েক বছর ধরে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, লঘুচাপ ও ঘূণিঝড় সৃষ্টির সংখ্যা বাড়ছে। উপকূলে বসবাসকারীদের জন্য এটা শুভ লক্ষন নয়।

সাগরে মাছ ধরা প্রায় বন্ধ: কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, একবছর ধরে সাগরে লঘুচাপ, নিম্নচাপসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই আছে। এতে ছয় হাজারের মত ট্রলারে করে মাছ ধরা প্রায় বন্ধ থাকে। ফলে এক লাখ জেলে পরিবার মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবল হক জানান, গত আগষ্টে জেলেরা মাত্র পাঁচ দিন, সেপ্টেম্বরে ছয় তিন ও অক্টোবরে ১২ দিন সাগরে নেমে মাছ ধরার সুযোগ পেয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ২৮ বছর ধরে প্রলার নিয়ে মাছ ধরেছেন শহরের টেকপাড়ার সোনা আলী (৫৪)।

তিনি জানান, চলতি বছরের গত ১১ মাসে মনে হয়, ২ মাসও সাগরে মাছ ধরা সম্ভব হয়নি। সাগরে নামলেই নানা রকমের চাপ, সতর্কসংকেত। এই দীর্ঘ জেলে জীবনে এত বেশি চাপ (প্রাকৃতিক দুর্যোগ) দেখা যায়নি। গত সেপ্টেম্বর ও অক্টেবরে একাধিক দুর্যোগের কবলে পড়ে উপকূলের নাজিরার টেক, লাবনী পয়েন্ট, উখিয়া, টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিনে ১৭টি ট্রলারডুবির ঘটনায় অন্তত ৯ জন জেলের মৃত্যু হয়েছে। জেলেরা জানান, বঙ্গোপসাগর ক্রমান্বয়ে বেশি উত্তাল হয়ে উঠেছে।

ঢেউয়ের উচ্চতা আগের চেয়ে তিন চার ফুট বেড়ে গেছে। বেড়েছে তীব্রতাও। ভাঙ্গছে উপকূল: এক দশক আগেও সাগর এখান থেকে তিন চার মাইল দূরে ছিল। এখন সাগরের করাল গ্রাসে তিন মাইল উপকূল বিলীন হয়ে পুরো কলাতলী গ্রামও তলিয়ে যাচ্ছে। সাগরের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কলাতলী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত নির্মিতব্য মেরিন ড্রাইভ সড়কও।

ভাঙ্গছে বেড়িবাঁধ: ঘূর্ণিঝড় আইলা-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দুর্যোগের কবলে পড়ে জেলার মহেশখালী, কুতুবদিয়া, টেকনাফ, সদর সহ বিভিন্ন উপকূলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এর মধ্যে ৫৮ কিলোমিটার বাঁধের কোন চিহ্নই ছিল না। পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজার অঞ্চলের উপসহকারী প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, সাগরের আগ্রাসী রূপের বেড়িবাঁধেরই বেশি ক্ষতি হচ্ছে। বরেন্দ্র মরুভূমি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত কমে যাচ্ছে। নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে পানির স্তর।

বিপর্যয়ের মাত্রা বাড়িয়েছে বরেন্দ্র এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন। এ অঞ্চলে বিভিন্ন সংস্থার অপরিকল্পিত বৃক্ষরোপণও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এভাবে দিন দিন মরু এলাকার রুক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে বরেন্দ্র অঞ্চলে। পানিপ্রবাহ গিয়ে চর পড়েছে পদ্মা নদীতে। রাজশাহী শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে সরে গিয়ে একটি ক্ষীণ ধারায় প্রভাবিত হচ্ছে এটি।

এর প্রভাব পড়ছে স্থানীয় ফসল ও মানুষের জীবনযাত্রার ওপর। কৃষি স¤প্রসার অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার নলতৈড়, কালীনগর, চকদেবীরাম, দৌডাঙ্গি, ছোটমুল্লুক, চকগোবিন্দ, থানতলা ও রামনগর গ্রামের প্রধান অর্ধকরী ফসল হচ্ছে পেঁয়াজ ও বর্ষাকালীন মরিচ। কিন্তু ৩-৪ বছর ধরে এসব গ্রামে অসময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও খরার কারণে এই দুটি ফসল ভাল হচ্ছে না। নলতৈড় গ্রামের মরিচ-চাষি তৈয়ব আলী বলেন, বর্ষাকালীন মরিচ আমাদের প্রধান অর্থকরী ফসল। গত বছর তিনি তিন বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করেছিলেন।

কিন্তু পর পর দুই বছর অতিরিক্ত বৃষ্টি ও গত বছর অতিরিক্ত খরার কারণে মরিচের গাছ বাড়তে পারেনি। কোনো ফলনও হয়নি। বনায়নের নামে বন বিভাগ ছাড়াও সরকারের আর কয়েকটি সংস্থার মাধ্যমে হর্টিকালচার পদ্ধতিতে এই এলাকার প্রায় ৮০ শতাংশ প্রান্তিক ভূমিতে গাছ লাগানো হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে মূল শেকড় কেটে গাছ লাগানো হয়। এতে উল্টো বিপদ ডেকে আনা হচ্ছে।

রোপিত গাছের প্রধান মূল মাটির গভীরে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় শাখামূল বিস্তার করে গাছ বেড়ে উঠছে। অথচ যে গাছগুলো মাটির গভীরে শেকড় ছড়ায়, সেগুলো মাটির গভীরে পনির স্তর ধরে রাখে। কিন্তু হর্টিকালচার পদ্ধতিতে লাগানোর কারণে গাছগুলো খর্বাকৃতির হচ্ছে, গাছের প্রস্বেদন হার কমে যাচ্ছে। এই গাছগুলো বাতাসে জলীয়বাষ্প বিস্তারে সহায়ক হচ্ছে না। বরং গাছগুলো কৃষিকাজে ব্যবহৃত মাটির উপরিভাগের রস টেনে নিচ্ছে।

এতে মাটির উপরিভাগে শুষ্কতা বাড়ছে। মরুকরণ ত্বরান্বিত হচ্ছে। (চলবে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.